somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিরে আসছে বাংলাদেশ...ইয়াহু!

১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১/১১ এর সরকার আসার পর থেকে বাংলাদেশের টিভির খবর দেখার একটা নিয়মিত অভ্যাস হয়ে যায়। তা ছাড়াও দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের কাছে দেশের খবর শুনে অবাক হতাম। রাস্তায় জাম নাই, মিছিল নাই, মিটিং নাই, নেতানেত্রীদের হুংকার নাই। কথায় কথায় রাস্তায় বাসে আগুন নাই। মানি না মানবো না নাই। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা নাই।

বলে কি এই সব! দেশের মানুষ এতো নাই এর মধ্যে বেঁচে আছে কিভাবে? আজন্ম যা দেখেছি তাইতো নিয়ম হওয়ার কথা - এখন যদি তা না থাকে তবে কি সমস্যা হওয়া উচিত নয়?

প্লেনের টিকেটের তারিখ তিনবার বদলানোর পরও যখন এয়ারপোর্ট গিয়ে ২২ ভ্রমনের ১২ ঘন্টা বসে থাকতে হয় হরতালের জণ্যে - তখন প্রবাসীদের মুখে একটাই কথা থাকে - "ইনহাস্থ ওয়াতানাম" - এইতো আমার দেশ। কিন্তু গত দুই বছর এই বিষয়টা না থাকায় কেমন যেন নিজের দেশকেও পরদেশ মনে হচ্ছিলো।

কিন্তু গত দুই সপ্তাহের ঘটনাবলীতে আমি আবার আশাবাদী হয়ে উঠছি - আমরা আমাদের দেশটাকে ফিরে পাবো - আগের মতো করেই -

দেখছি আমাদের জননেত্রী আরো গাঢ় রংগে লিপস্টিক পড়ে যথারীতি গুগলি ছুড়ছেন মুখ থেকে - যা বিপক্ষে দলের হৃদপিন্ডের মধ্য ভাগে গিয়ে আঘাত করছে।

দেখছি দেশনেত্রী জেলে থেকে হারানো জৌলুশ ফিরে পেতে মুখে আরেক প্রলেপ গাঢ় ম্যাকআপ মেখে আরাম কেদারায় বসে মাথা নাড়ছে আর মুচকি হাসছে। ভাবে প্রকাশ পাচ্ছে - চিটাগাংএ যা বলেছি তাই সই। আপোষহীনের কথার নড়চড় নাই। নির্বাচন না হলে সামরিক শাসন আসবে - তাতে আমাদের কি?

দেখছি একজন নেতা বলছেন - মিছিল মিটিং হলো নূন্যতম মৌলিক অধিকার। মৌলিক অধিকার? যে দেশের কোটি মানুষ একবেলা খেয়ে পরের বেলা কি খাবে - যে দেশের কোটি যুবক চাকুরী পায়না - যে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুস বিনা চিকিৎসায় মারা যায় - সেখানে মিছিল করে রাস্তা বন্ধ করে শ্রমঘন্টা নষ্ট করা 'মৌলিক অধিকার'? মৌলিক অধিকার যে কি জিনিস বুঝার মতো জ্ঞানও মনে হয় আমরা হারিয়েছি। ড. ইউনুসের কাছে ঋণ হলো মৌলিক অধিকার। বটে।

সাহসী হচ্ছি দেখে আল্লার মাল থিয়োরীর প্রবর্তক গলায় গাঁদা ফুলের মালা নিয়ে হাসতে হাসতে হাসপাতাল কাম জেল খানা থেকে বেড়িয়ে আসে। এরা কথা বলে এমন ভাবে যেন ২ বছর মহাকালের কাছে তুচ্ছ।

প্রায় হতাশ হয়ে যাচ্ছিলাম - আমরা বোধ হয় দেশটাকে হারাতে যাচ্ছি। যেখানে ঘুষখোরদের সম্পদের উপর চাঁদা চাইলে সরকারী বাহিনী বিনাবিচারে হত্যা করে আর একটাই গল্প নির্বিকার চিত্তে পাঠ করে সংবাদ পাঠকগন। যেখানে সরকারের দূর্নীতি বিরোধী অভিযানের মধ্যেও জাতীয়তাবাদী অথবা আইনজীবি আর চিকিৎসকগন নীতি আর্দশের তোয়াক্কা না করে দূর্নীতিবাজদের মুক্ত করার পন করে। যেখানে একজন বিচারপতি কয়েক সেকেন্ডে একজন দূর্নীতিবাজকে মুক্তি দেয়। সেখানে হয়তো কেন একজন নেতা বা নেত্রী বলে উঠবে - ২০২০ সালে আমি দেশটাকে এইভাবে দেখতে চাই। আরেকজন বলে উঠবে না না আমি আরো উঁচুতে দেখতে চাই। ভয়েই ছিলাম - এই বুঝি দলের নেতারা নেত্রীবন্দনা বা দিয়ে আলোচনা করবে ২০২০ সালে আমাদের শিক্ষার হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেবো বা সবাই চিকিৎসার মৌলিক অধিকার পাবে।

আমার হতাশা কেটে গেছে। নেতারা ঠিক আগের মতোই ডজ ৬.০ থেকে উইন্ডোজ ৩.১ এর মধ্যে উঠানামা করছে। সেই পুরানো সুর - সেই পুরানো গান - মানি না মানবো না - নাই গদি ছাড়তে হবে।

আমি আরো আশাবাদী জামায়াতের সার্কাস দেখে। জামাত নির্বাচন নিয়ে বেকায়দায় পড়ে দুইনেতা বিএনপকে একটা লাগ ভেলকি লাগ বলে জেলে ঢুকে গেছে। যে মুজাহিদকে প্রশাসন খুঁজেই পেলো না - শুধু সেই না - বড়টাকে নিয়ে জেলে ঢুকে গেল। কি তামশা। আর রাস্তার যথারীতি পুলিশের মৃদু লাঠিচার্জের উদ্বোধনী অনুষ্টান হলো বাইতুল মোকাররমে উত্তর গেটে একদল নির্বোধ দলীয় কর্মীকে রাস্তায়ে ঠেলে দিয়ে। জামাতে আন্দোলনে এই অতি উৎসাহ আমাদের পুরানো বাংলাদেশই ফিরিয়ে দেয়। জামাতের সার্কাস দেখে নিম্চিত হলাম ফকরুদ্দীনরা দেশের কোন ক্ষতিই করতে পারেনি।

আবারো আমরা রাজনীতির লেখা দেখবো - দেখবো আমাদের পুরানো বাংলাদেশটাকে আসল রূপে।

ইয়াহু!
(ছবি - দৈনিক আমাদের সময়)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:২২
১৬টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×