গরীব দেশ বাংলাদেশ। তলাবিহীন ঝুড়ি। এটাই শুনে আসছি এতদিন যাবত। এদেশেই কেউ কেউ খাবারের কতটুকু অংশ উচ্ছিষ্ঠ রাখা যায় এটা নিয়ে প্রতিযোগীতা করে, আবার সেই উচ্ছিষ্ঠ খাবারের জন্য ডাষ্টবিনের পাশে মানুষের অধীর অপেক্ষা করতেও দেখা যায়। এখানে কারো উষ্ছিষ্ট অন্য কারো জন্য সেটা খাবার। কি বিচিত্র এই দেশ! এমন দৃশ্য দেখার চেয়ে মরে যাওয়া ভাল।
কিন্তু বার বার এমন কষ্টকর দৃশ্যগুলো যাতে না দেখতে হয় সেজন্য চেষ্টা করি। কিন্তু তারপরেও চোখে পড়ে যায় চলার পথে। দেখি ছোট ছোট বাচ্চা গুলো ডাষ্টবিন ঘাটাঘাটি করছে, হোটেলের পাশে, কমিউনিটি সেন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে আছে কখন খাদ্য বর্জগুলো ফেলা হবে অন্যকোথাও।
৩৭ বছরেও আমরা দাঁড়াতে শিখিনি। শুধু শুধু পায়ে পা বাঁধিয়ে মারামারি করে যাচ্ছি। কারো মধ্যে উদারতা দেখিনা। কারো মধ্যে কোন ফোরকাষ্টিং দেখিনা। কাউকে দেখলাম না একটা সুন্দর ভবিষ্যত প্ল্যান আমাদেরকে দিলো।
তবে গতকালের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমদ চৌধুরীর কথা শুনে বেশ ভালোই লাগলো। উনি বলেছেন, "বাংলাদেশে বর্তমানে যে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে, ১৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরও অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে।" উনি সিঙ্গাপুরের সাথে তুলনা করেন।
আশায় বুক বাঁধলাম। মাননীয় উপদেষ্টার কথাই যদি সত্য হয় তবে তো আর মাত্র দশটা বছর। মানে ২০১৮ সাল। আল্লাহ যেন আমাদের বাঁচিয়ে রাখেন সেই স্বপ্নের সিঙ্গাপুর দেখার জন্য।
এখন আমার প্রশ্ন (মাননীয় উপদেষ্টার কথার সূত্র ধরে), তাহলে কি বাংলাদেশে এখন স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে? তবে এটা কিসের স্থিতিশীলতা? রাজনৈতিক? অর্থনৈতিক? সামাজিক? না অন্য কিছু?