"আমার দেশ" পত্রিকাতে দুটো লেখা পড়লাম। একটা হল একতরফা নির্বাচন নিয়ে (Click This Link), অন্যটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে।
এখানে উল্লেখ্য আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচনে অখুশী নয়। তারা ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছে কিছু দল নির্বাচনে না এলে কোন সমস্যা নেই। আর এই সরকার যেহেতু ৭ই নভেম্বরের ছুটি বাতিল করে ১৫ ই অগাস্টের ছুটি পুনর্বহাল সহ অনেক ইস্যুতে আওয়ামী এজেন্ডার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে, সেজন্য একতরফা নির্বাচনের আওয়ামী দাবীর প্রতি তারা হয়ত একাত্মতা প্রকাশ করবে।
বি এন পি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অবশেষে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন চেয়েছেন। বি এন পির এই অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ জানাই। ব্যক্তিগত ভাবে আমিও মনে করছি এই নির্বাচন কমিশনের দ্বারা কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বিএনপিকে চিঠি দেয়া সংক্রান্ত বহু বহু ঘটনা, "আমি আপনাদের আন্দোলনের ফসল" বলে আওয়ামী লীগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে সিইসি শামসুল হুদার পক্ষপাত সুস্পষ্ট। ১৮ ই ডিসেম্বরের নির্বাচন করার যোগ্যতা বা দক্ষতা কোনটাই এই নির্বাচন কমিশনের নেই। তাদের আচার আচরনে ইতিমধ্যে তা স্পষ্ট হয়েছে। বি এন পির উচিত হবে সিইসি বিরোধী এই অবস্থানে দৃঢ় অটল থাকা। কারন নির্বাচন কোন সহজ ব্যপার নয়। অদক্ষ কিংবা পক্ষপাতদুষ্ট কোন নির্বাচন কমিশন দিয়ে সেটা পরিচালনা সম্ভব নয়। এই নির্বাচন যদি কলংকিত হয় তবে সামনের কোন নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হবে কিনা সেটাই তখন বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দেবে। সুতরাং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবীতে অটল থাকাটাই বিএনপির বর্তমান করনীয়। নির্বাচন হোক, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাক। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিয়ে বি এন পির মন্দ দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:২৬