somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেন্দ্রবিমুখী বলের বৃত্তচাপে আমি, আমরা

০৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের ক্রিকেটের মতোই বাংলাদেশের রাজনীতি। আজ সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে জাতীয় দলের এবং লাহর বাদশাহর সঙ্গে ঢাকা ওয়ারিয়র্স-এর দুটি খেলায় বেদম পিট্টি খেয়েছে বঙ্গ সন্তানরা। এই মার খাওয়ার ব্যাপারটা আমাদের এখন অবশ্য গা সয়ে যাওয়ার কথা। খেলার মাঠ থেকে রাজনৈতিক ময়দান সব জায়গাতেই চলেছ মার খাওয়া। বাজারে যাচ্ছেন মার খাচ্ছেন দামের কাছে। সিনেমায় যাচ্ছেন মার খাচ্ছেন রুচির কাছে। রাজনীতিতে যাচ্ছেন তো মার খাচ্ছেন আদর্শের কাছে। এতো মার খেতে কার ভালো লাগে বাপু। মার খেতে খেতে আমাদের চেহারা ভচকে গেছে।

এখন তাই দ্রব্যমূল্য ও বাস ভাড়া বাড়লেও আমরা পোতানো মুড়ির মতো নিশ্চুপ। রাজনীতির ময়দানে শেয়ালের পিঠা ভাগাভাগি দেখেও আমাদের মুখ থেকে সাইল্যান্সার নামে না। আমরা আর গর্জে উঠি না। টুকটাক কিছু ভালো খবর পেলে রোদে শুকানো বালিশের মতো ফুরফুরে হয়ে উঠি- ক্ষণিকের জন্য- তারপর আবার পোতানো দশা।

দিনকে দিন বিভিন্ন জায়গায়- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা মার খেতে খেতে এখন কী হাল ছেড়ে দিয়েছি? সব কিছুতেই কেমন একটা অবসন্ন ভাব? দেশে বছর ধরে জরুরী অবস্থা চলছে, কারো কোনো বিকার নাই। যেন দেশের রাজনীতি নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কী আছে- এমন একটা ব্যাপার। নতুন প্রজন্মের অধিকাংশ বোধহয় শুধু রাজনীতি শব্দটার সঙ্গেই পরিচিত কিন্তু এর অর্থ বিকেন্দ্রিক জ্ঞান (কোনোটেশন) নাই। শব্দটার সঙ্গে কোনোভাবেই তারা সক্রিয়ভাবে যুক্ত নয়। এর পেছনে আছে বাংলাদেশের রাজনীতির নানা নেতিবাচক দিক।

যারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিল তারাও দেখি আজকাল হাল ছেড়ে দিচ্ছে। 'এই দেশে আর কী হবে?' এই কথাটা এ যাবৎকালে এবং এখন পর্যন্ত বহুল ব্যবহৃত। ইদানিং এ কথা বলার মানুষ আরো বেড়েছে। এটা জেনেও যে রাষ্ট্রের কোনো কাজই অরাজনৈতিক নয়। সবকিছুই রাজনীতি। আমাদের বাজার করা, বাসে চড়া, কর পরিশোধ করা ইতি এবং আদি। কিন্তু তারপরও আমরা কেমন দূরে দূরে থাকতে চাই। যে রাজনৈতিক চক্করে আমরা এখন পড়ে গেছি সেই চক্করের কারণেই আমরা স্বভাবত অবস্থান করছি একটি বৃত্তের বৃত্তচাপে। এবং আমরা যে বল অনুভব করছি তা কেন্দ্রবিমুখী বল- রাজনীতি বিমুখতা। দুষ্টু চক্রের চক্কর কে বন্ধ করবে, কারা করবে, কখন করবে, কীভাবে করবে- এগুলোই এখন প্রয়োজনীয় প্রশ্ন। আশা করি চক্কর বন্ধ করে আমরা সুস্থির হয়ে বসতে পারব একদিন এবং সকলেই কেন্দ্রের কাছাকাছি থেকে আমাদের স্বপ্নগুলোকে কেন্দ্রীভূত করে বাস্তবে রূপ দিতে পারবো।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×