somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাধু সাবধান!!!

০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

”গত দু’বছর দেশের অনেক ক্ষতি হয়ছে, আমার পরিবারের উপর অনেক অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে...” আমাদের একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রির এই বক্তব্য আবারও আমকে গত ২৮ অক্টোবরের কথা মনে করিয়ে দিল। যে ঘটনা নিয়ে ”সুরজ্ঞিত সেনগুপ্ত” টেলিভিশনের টকশোতে হাসতে হাসতে বলছেলিনে ”আমরা যদি আজ প্রতিবাদ না করতাম, এ রকম ঘটনা যদি রাজপথে না ঘটত তাহলে কি এই সরকার ক্ষমতায় আসতো”, ঢাকা ইউনিভার্সিটির র্পাথ’র মৃত্যুর আগের দিন গোপন মিটিং এ সিদ্ধান্ত: ”একজনকে ফেলে না দিলে হল দখল করা যাবেনা, আলোচনায় বসানো যাবেনা ওদেরকে” এবং পরদিন পার্থ জীবন দিল! আসলে এরই নাম রাজনীতি! যাহোক যা বলছিলাম, এই সব ঘটনার জন্য কে দায়ী? কারা এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, কারা? খাম্বা মামুন কার র্স্বাথে সৃষ্ট? ফালু’র উত্থান কার ফায়দা লুটতে ”উই আর লুকিং ফর শত্রুজ” কে কারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রির পদে বসয়িছেলি এবং কার র্স্বাথ হাসিল করতে? টঙ্গিতে প্রবীন সাংসদকে হত্যা করে কারা ফায়দা লুটতে চেয়েছিল?
এ সবই তাদের কর্মের ফল। তবে আমি শুধু নিদিষ্ট একটি দলকে আঙ্গুল তুলে বলছি না, বলছি ঐ সব রাজনীতিবিদদের যারা আজকের পরিস্থিতির জন্য দায়ী। মুলত প্রধান দুই দলের নীতিভ্রষ্ট রাজনীতিই এই সব পরস্থিতির সৃষ্টি করছে। এক দলের প্রবীণ রাজনীতিবিদ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের ”বার” বাজিয়েছেন, আর এক দলের নবীন এবং মাথা গরম রাজনৈতিক নেতা ”সোনার ডিম পাড়া হাসকে এক বারে জবাই করে খেতে চেয়েছিল”। এই তফাত। নিজেদের রাজনৈতিক র্স্বাথকে বড় করে দেখতে গিয়ে মাঝখান থেকে রাজকার দ্বারা গঠিত ”জামাতে ইসলামী”কে দেশের তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে আর্ভিভুত হতে সাহায্য করল! এদের কাছে আসলে ক্ষমতাই হচ্ছে বড়, দেশ জনগন কিছুইনা।

কিন্তু এত কিছুর পরও কিছু হলনা। ঐ সব লোভী, ভন্ড জনদরদীর কাছেই আবার আমাদের আত্মসর্মপন করতে হচ্ছে। দুর্ভাগ্য এই দেশের জনগনের যে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিই এই দেশের রাজনীতির ভিত। ভেবেছিলাম একটা পরিবর্তন আসবে, স্ব-ইচ্ছায় ভোটার হয়েছিলাম ৩৮ বছর বয়সে জীবনের প্রথম ভোট দেবার জন্য। ভোট দেবনা, জাতীয় আই.ডি র্কাড যত্ন করে রেখে দিয়েছি আলমারীত, সুভেনির হিসাবে থাক ওটা। সকলের কাছে অনুরোধ দু’টাকা, দু’শ টাকা নিয়ে নয়, নিজের অভজ্ঞিতার আলোকে ভোট দিন যাতে কোন মুক্তিযোদ্ধা সরকারের করুনার সার্টিফিকেট নিয়ে রাস্তায় চানাচুর বিক্ত্রি না করে। নিজের জোয়ান ছেলেকে মুক্তিযুদ্ধের মাঠে বলি দিয়ে বুড়ো বাপ আজ রিক্সা না চালায়, লোক দেখানো মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিতে কোন রাজাকাররে কাছে সুপারিশ নিয়ে যেতে না হয়, মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে যেন ভিক্ষা করতে না হয়। যেন সোনার ডিম পারা হাস এই দেশটার অভাগা জনগন দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পায়। বাড়ি ঘর নদীর কাছে সপে দিয়ে ঢাকা শহরের খোলা ফুটপাতে বউ বাচ্চা নিয়ে কাউকে রাত কাটাতে না হয়, রিক্সা ভ্যানকে বিছানা বানিয়ে তাতে ঘুমাতে না হয় সারাদিনের পরিশ্রম করা ভ্যান ড্রাইভারক।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যমদূতের চিঠি তোমার চিঠি!!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮

যমদূতের চিঠি আসে ধাপে ধাপে
চোখের আলো ঝাপসাতে
দাঁতের মাড়ি আলগাতে
মানুষের কী তা বুঝে আসে?
চিরকাল থাকার জায়গা
পৃথিবী নয়,
মৃত্যুর আলামত আসতে থাকে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে
স্বাভাবিক মৃত্যু যদি নসিব... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×