somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিৎসে ও হিটলার

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জার্মান দার্শনিক নিৎসে (১৮৪৪ ১৯০০) গনতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন না; খ্রিস্টধর্মেও না, সমাজতন্ত্রেও না, প্রভূ জাতির কথা বলতেন নিৎসে। বলতেন অতিমানবের কথা ।
The Genealogy of Morals গ্রন্থে নিৎসে লিখেছেন-The sick are the great danger of man, not the evil, not the 'beasts of prey.' They who are from the outset botched, oppressed, broken those are they, the weakest are they, who most undermine the life beneath the feet of man, who instill the most dangerous venom and skepticism into our trust in life, in man, in ourselves…Here teem the worms of revenge and vindictiveness; here the air reeks of things secret and unmentionable; here is ever spun the net of the most malignant conspiracy – the conspiracy of the sufferers against the sound and the victorious; here is the sight of the victorious hated.
নিৎসে মারা যান ১৯০০ সালে।
হিটলার তখন একুশ বছরের তরুন; যেহেতু হিটলারের জন্ম ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল। তরুন বয়েসে নিৎসে পড়েছিলেন। নিৎসে গনতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন না; খ্রিস্টধর্মেও না, সমাজতন্ত্রেও না। প্রভূ জাতির কথা বলতেন নিৎসে।
অতিমানবের কথা বলতেন।
এসবই হিটলারকে উদবুদ্ধ করেছিল।নিজেকে অতিমানব ভাবতে শুরু করেছিলেন।
ভুলটা হয়েছিল ওখানেই। যেমন দূর্বল জাতি বলতে হিটলার ইহুদিদের বুঝেছিলেন।
নিৎসে সে ভাবে অবশ্য বলেন নি।
নিৎসে ছিলেন শিল্পমনস্ক। নিৎসের দুটি উক্তি পড়লেই বোঝা যায়।
An artist has no home in Europe except in Paris.
Art is the proper task of life.
শিল্পমনস্ক মানুষ কি কোনও জাতিকে ঘৃনা করতে পারে?
নিৎসের মতে দূবর্ল মানুষ আসলে শিল্পবোধশূন্য দূর্বল বোধের অধিকারী মানুষ।
যারা বাউলের ভাস্কর্য ভাঙ্গতে যায়!
কাজেই, হিটলারের হঠকারী সিদ্ধান্তের বশে জার্মান নাৎসীরা যে দু কোটি নিরপরাধ মানুষ হত্যা করল ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় -সেই মর্মান্তিক গনহত্যার সঙ্গে নিৎসের নাম জড়ানো অনুচিত।
নিৎসে ছিলেন সত্যদ্রস্টা।
তিনি চেয়েছিলেন শিল্পের শাসন, নির্বোধ মানুষের শাসন নয়।
তাঁকে আমাদের বড় প্রয়োজন। এখন।


সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৪৩
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×