পাকিস্তানপ্রেমী মানবতা্রোধী জামাতে ইসলামী মিলায় হাত করতে নরপিশাচদের দালালী
তাদের ধিকৃত সৃষ্টি রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস্ ঘাতকচক্র সংহারে বাঙ্ঘালী।
-ডঃ এ এইচ মঈনুদ্দীন আহমেদ এর "বাংলা মায়ের ডাক" এর দুটি পংক্তি
কসাই রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় না হওয়ায় খুব কষ্ট হচ্ছে? মনের যত ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন কি-বোর্ডে? চলুন এবার রাজপথে নামি।
অবিলম্বে আপিলের মাধ্যমে কসাই কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং টিএসসির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করবে।
যদি আজকের রায় আপনাকে এতটুকুও কষ্ট দিয়ে থাকে তাহলে দলমত নির্বিশেষে এ বিক্ষোভ ও কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে মশাল মিছিলে যোগ দিন।
স্বশরীরে যোগ দিতে না পারলে শেয়ার করুন।
সর্বশেষ আপডেটঃ
যোগ দিয়েছেন মন্ত্রী থেকে রিকশাওয়ালা পর্যন্ত। এসেছেন কিশোর-তরুণ-বৃদ্ধ। নারী-পুরুষ সবাই এক কাতারে। আছেন শিক্ষক, আমলা, সংস্কৃতি কর্মী। সবার কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে একটি স্লোগান- “এই রায় মানিনা, কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই।”
এই চিত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসটি থেকে শুরু হয়ে মিলিত হয়েছে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত; যেন জনতার স্বতঃস্ফূর্ত এক বিস্ফোরণ! এটা কোনো সংগঠিত অংশগ্রহণ নয়। কিন্তু সবার অভিন্ন অপ্রতিরোধ্য দাবিতে শাহবাগ যেন পরিণত হয়েছে, এক প্রতিবাদী ঐক্যমঞ্চে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদেশের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অপেক্ষা করছিলেন কাদের মোল্লার ফাঁসির সংবাদের। কিন্তু প্রত্যাশিত রায় না পাওয়ায় সবার মধ্যে দেখা দেয় ক্ষোভ আর হতাশা।
এর পর থেকে ‘কসাই কাদেরের যাবজ্জীবন সাজা মানি না’, ‘আর কোনো রায় নাই, কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই’, ‘রাজাকারদের সঙ্গে বসবাস করতে চাই না’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ এসব স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে শাহবাগ মোড়।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, আন্দোলন চলবে সারারাত। সবার দাবি, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন নয়, ফাঁসি চান তারা। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। আগামীকাল বুধবার আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা ও দেওয়া হচ্ছে।