somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেই গল্পটা! (শেষ নয়)

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আদনান বাসায় ফিরল মন খারাপ করে।
মা পৃথিবীটা বড়ই আশ্চর্যের! একটা ছেলে আমাদেরকে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ালো, সেকি উৎসাহ তার! আমরা খেয়েদেয়ে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ প্রশংসা করায় সে আবার আরেকটা খাওয়া দেয়। সেই প্রাণোচ্ছল ছেলেটা আজ আর নেই। কেন এমন হুটহাট মানুষ চলে যায় মা?
যদি জানতাম ছেলেটা এভাবে চলে যাবে তাহলে ওকে আরেকটু ভালোকরে দেখতাম। অনুভব করতাম গভীরভাবে।... এখন খুব খারাপ লাগছে মা!
মিন্টুদের বাড়ি গেছিলি? ওর খুব খারাপ অবস্থা নারে?
হ্যাঁ মা, তবে ও মোটেও ভেঙে পড়েনি। অনেক স্ট্রং। পাগলামীটা স্্েরফ পরিশুদ্ধতার প্রতীক। মানুষের এমন বিনয়ীই হওয়া উচিৎ। ইংরেজরা কার্টেসি করে কথায় কথায় স্যরি বলে, এক্সকিউজমি বলে, তাদেরকে কেউ পাগল বলে না, বলে পৃথিবীর সবচে সভ্য জাতি। অথচ আমাদের দেশের কেউ এই বিনয় দেখালে আমরা ব্যাপারটাকে দেখি ভিন্নচোখে।...
-প্রচলন নাইতো, তাই। তোরও দেখছি অবস্থা বেশি ভালো না। আসলি ঈদ করতে, মিন্টুদের বাড়ি গিয়ে এলি মন খারাপ করে! আমার উচিৎ হয়নি তোকে...
-দুঃখকে চাপা দিয়ে সুখি হওয়া খুব কঠিন মা। তারচে দুঃখবে ফেইস করে যে সুখ সেটাই প্রকৃত সুখ।
-আঘাত পেলে মানুষের ভেতরের মানুষটা জেগে ওঠে। তোর কথাগুলো সেই ভিতরের মানুষের কথা।... কিন্তু এরকম বেশিণ ভাবনায় থাকলে আমিও কিন্তু মিন্টুর মায়ের মতো অসুস্থ হয়ে যাবো।...
মাথা থেকে চিন্তাটা ঝেড়ে ফেলে একটু ছেলেমানুষ হ। সাবিহা এসছিল। তোর সাথে নাকি রাস্তায় দেখা হইছে। তুই নাকি বাসায় আসতে বলেছিস!
তাই নাকি! আদনান একটু ভড়কে যায়। মেয়েটা বড় হয়েছে। ওদের সঙ্গে এখন কথা বলতে অনেক সাবধান হওয়া উচিৎ! কোন আচরণে কী ভেবে কী প্যাঁচ বাধে কে জানে। আর গ্রামের মানুষতো ১২ বছরকেও আঠার বছর বানিয়ে ফেলে।
হ্যাঁ আসতে বলেছিলাম, মানে এই আরকি, রাস্তায় দেখা হলো, বললাম বাসায় আসিস! ও আর কি বলল?
- কই আর কিছু না। মা হয়ত ছেলের বিব্রতবোধটা টের পেলো। আদনানের কানটা গরম হয়ে ওঠে। বোধয় একটু লালও হয়।
- ঠিক আছে, মা আমি একটু গোসলে যাচ্ছি।...


কেমনকরে যেন ভাবনায় সাবিহা নামের মেয়েটি ঢুকে পড়ে। আদনান চেষ্টাকরে যায়গা না দেওয়ার। লজ্জাও হয় কেন মেয়েটি বারবার ভাবনায় আসছে।... ভেবে ভীষণ বিচলিত বোধ করে সে। তারপর চেষ্টা করে আসুক, আর তাড়াতে চেষ্টা করবো না।

এদিকে আদনানের সেলফোনটা বেজেইে চলছে। একবার থামার পর আবারও বাজল। এবার মা ফোনটা হাতে নিয়ে স্ক্রিনে দেখার চেষ্টাকরে জে.এ.এন লেখা। পরিচিত কারও নাম নয় বলে ফোনটা আর মা রিসিভ করেন না। আদনান বের হলে জিজ্ঞেস করে তোকে একজন ফোন দিয়েছিল... কী যেন নাম জ্যান, কে?
আদনান সাধারণভাবেই ফোনটা হাতে নেয়। কিন্তু লিস্টে নামটা দেখে চমকে যায়। জ্যানতো নয় এটা জান। আবারও তার বিব্রত হওয়ার দশা। মাকে সে কী বলবে? জ্যান?
ওহ! হ্যাঁ মা জ্যান মানে জানুয়ারি! সংপ্তি!
এই নামে মানুষ আছে নাকি?
না, মানুষ নেই তবে... জ্যান বলে যেই মেয়েটা.. জিভ কাটে আদনান। একটা মেয়ে আছে আমাদের দুবছরের জুনিয়র, ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রী ছিলতো, তাই ইংরেজি উচ্চারণ করে একটু অন্যভাবে, জানুয়ারিকে বলে জ্যান, ফেব্র“য়ারিকে বলে ফ্যাব, আগে আমাদের খুব বিরক্ত লাগতো; এখন অবশ্য ওকেই অনেকে অনুসরণ করে। সবাই সংপে রাস্তায় আসছে মা!
-হু
-খেতে বস। তোকে নিয়ে একটু মার্কেটে যাবো। কিছু কেনা কাটা আছে।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রম্য

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৬ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১


জাতীয় পরিচয় পত্রে ভূল সংশোধন কক্ষে মহিলা অফিসার বললেন - কি করতে পারি?

- সুতির নাইটি টা ঠিক করতে হবে।

এই শুনে মহিলা তো রেগে আগুন। খেঁকিয়ে উঠলেন রীতিমতো।
- অসভ্যতা করছেন?... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওহাবী বাতিল মতবাদের স্বরূপ উন্মোচন

লিখেছেন মীর সাখওয়াত হোসেন, ২৬ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭

নজদী ওহাবীদের সম্পর্কে আলােচনা করার পূর্বে নজদ দেশ সম্পর্কে আলােকপাত করতে চাই। আরবের মক্কা নগরীর সােজা পূর্ব দিকের একটি প্রদেশের নাম নজদ । এখন উক্ত নজদ দেশটি সৌদি আরবের রাজধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘূর্ণিঝড় রিমাল সর্তকতা।

লিখেছেন কাল্পনিক_ভালোবাসা, ২৬ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩

প্রিয় ব্লগারবৃন্দ,
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে এবং ইতিমধ্যে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর ব্লগারদের কাছে যদি স্থানীয় ঝড়ের অবস্থা এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফ্রিল্যান্সার ডট কম

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৬ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৭

কাজের বুয়া ফ্রিল্যান্সার মাসে কামায় লাখ
হুমড়ি খেয়ে ডিগবাজি তায় পঙ্গপালের ঝাঁক
টিপলে বাটন মোবাইলটাতে ডলার আসবে রোজ
ডট কম কোচিং সেন্টার আমরাই দেব খোঁজ।

অমুকের বউ তমুকের ঝি হাতিয়ে নিচ্ছে সব
তোমরা মিছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে চিরতরে যুদ্ধ বন্ধের একটা সুযোগ এসেছিল!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৬ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩


মনে হয় শুধু মানুষের কল্পনাতেই এমন প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন সম্ভব- যদি বাস্তবে হত তবে কেমন হত ভাবুন তো?
প্রত্যেকটি দেশের সমস্ত রকমের সৈন্যদল ভেঙে দেওয়া; সমস্ত অস্ত্র এবং সমর-সম্ভার, দুর্গ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×