somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিঙ্গাপুরের কথা - ২ (মুস্তাফা সেন্টার)

২৩ শে অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Click This Link

সিঙ্গাপুর নিয়ে আর যা কিছু লিখতে চাচ্ছি তা হল মুস্তাফা সেন্টার, সেন্টোজা আইল্যান্ড, জুরং বার্ডস পার্ক আর অতি অবশ্যই গেলাং -এর নারীসঙ্গ!

মুস্তাফা সেন্টার যেন এক টুকরো বাংলাদেশ। এখানে সিঙ্গাপুরের কোন নাগরিক দেখা যায় না। প্রায় সবাই বাংলাদেশ, ভারত আর শ্রীলঙ্কার মানুষ। আমরা যখন এই এলাকায় গেলাম দেখি পুরো এলাকা বিশেষভাবে সাজানো। ভাবলাম সিঙ্গাপুরের কোন ফেস্টিবল। পরে দেখি দিপাবলী পল সাজানো। সিঙ্গাপুরে হিন্দু কম্যিউনিটি এত বিশাল। এমনকি একটা মিনা বাজারও বসে গেছে।

সিঙ্গাপুরের পরিষ্কার পরেচ্ছন্নতার যে কথা আমরা শুনি তা এখানে পাওয়া যায় না। এমনকি ট্রাফিক আইনও কেউ মেনে চলে না। সিঙ্গাপুর ড্রাইভাররা এ কারনে এদেশীয় ও ভারতীয়দের গালি দিয়ে দেয়।

মুস্তাফা সেন্টার সেরাংগুন এলাকায়। আমাদের নিউ মার্কেট, চাদনি চক, গাউসিয়া নিয়ে যে সার্কেল এমন বিশাল এলাকা নিয়ে এই মুস্তাফা সেন্টার। আলপিন থেকে এরোপ্লেন সবই একটু কম দামে পাওয়া যায়।
প্রতিটা দোকানে বাংলা বা হিন্দিতে লেখা। দোকানেও এই সাব কন্টিনেন্টের লোক কাজ করে।

প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে বসে বাংলাদেশীদের আড্ডা। বিশেষকরে রবিবারে তো পা ফেলার জায়গা হয়না। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশী যে যেখানেই থাকুক সন্ধ্যায় মুস্তাফা সেন্টারে আসে। ঠিক বাংলাদেশের মত রাস্তার পাশে, ড্রেনের উপর, পার্কিংএ, পার্কে যে কোন জায়গায় গোল হয়ে বসে চলে আড্ডা। এমনকি ক্যারাম খেলারও ব্যবস্থা হয়ে আছে। বেশারভাগেরই মনে একটা বেদনার ছাপ। হয়ত এ ছাপটা স্বপ্ন ভঙ্গেরও।

আমি এখানে প্রথম বাংগালীদের দেখে খুব খুশী হয়ে গেলাম। বিদেশের মাটিতে দেশের মানুষ! কিন্তু তারা কেন যেন তেমন একটা পাত্তা দিল না। প্রথমে একটু খারাপ লাগলেও পরে বুঝলাম এত বাংলাদেশী এখানে যে আলাদা করে আর দেশের মানুষের জন্য কোন ফিলিংস থাকেনা।

মুস্তাফা সেন্টারের কথা শেষ করার আগে একজন বাংলাদেশীর কথা মনে না করলেই না। তিনি হল আমির ভাই। বাড়ী নোয়াখালী। সিঙ্গাপুরে একটা বাংলাদেশী সমিতি আছে। সব দেশেই প্রবাসীদের একটা থাকে। এখানে আলাদা করে একটা নোয়াখালী সমিতিও আছে। আমির ভাই নোয়াখালী সমিতির সাধারন সম্পাদক। ওখানে 'দাউদকান্দি রেষ্টুরেন্ট' এ কাজ করে। আমার এক বন্ধুর কিছু পার্সেল আনতে তার কাছে গেলাম। ডিনারও তার হোটেলে করলাম। প্রায় ১০০০/- টাকা বিল উঠার কথা। কিন্ত তিনি কিছুতেই বিল নিবে না। আমার কলিগ তার হাতে ধরে ফেলল। খুব করে রিকোয়েস্ট করল বিল নেয়ার জন্য। আমির ভাই শুধু বলল বিলের কথা বললে তিনি কষ্ট পাবেন। তারা যে কষ্ট করে ঐ দেশে থাকে তার উপর আবার এত টাকা খসল। আমাদের ভেবে খারাপই লাগল।

আরা একটু নারী সঙ্গ চান তারা অবশ্যই গেলাং এ যায়। এই গেলাং এর কথা পরের কোন পর্বে বলব।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:২৭
১৩টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

EU বাংলাদেশ, আফ্রিকা ও আরবদের সাহায্য করার চেষ্টা করে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩



EU বাংলাদেশকে বিবিধভাবে সাহায্য করে আসছে স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকে; বিশেষ করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে সচল করার জন্য সহযোগীতা করতে চায়। আমাদের দেশে ও আফ্রিকায় ভালো যা ঘটছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে কোকের আতারোট শিল্প অঞ্চলের কারখানা: ফিলিস্তিনি স্টেইটহুড, স্বনিয়ন্ত্রণ অধিকারকে অসমম্মান করে।

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৭

কোকা-কোলার পূর্ব জেরুজালেমের আতারোট শিল্প অঞ্চলের কারখানাটিকে ঘিরে শুরু থেকেই তীব্র বিতর্ক আছে। এই এলাকাটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অধিকৃত এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

জঘন্যতম রেফারির বলি বাংলাদেশ

লিখেছেন অধীতি, ১১ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:২১

আজকে রেফারি খেলছে মূল খেলা। গতকালকে পাকিস্তান লর্ডগিরি করে হারছে কিন্তু এই দিক থেকে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছে। দুইটা ওয়াইড দেয়নি। রেফারি তিনটা আউট দিছে তাড়াহুড়ো করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিপক্ক প্রেম: মানসিক শান্তি

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১১ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:৩০






জীবনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে পৌঁছানোর পর, মানুষ যখন পরিপক্ক হয়ে ওঠে, তখন প্রেমের মাপকাঠি বদলে যায়। তখন আর কেউ প্রেমে পড়ার জন্য শুধু সৌন্দর্য, উচ্ছ্বলতা, কিংবা সুগঠিত দেহ খোঁজে না।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রবীন্দ্রনাথের শেষ কটা দিন কেমন কেটেছিল?

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১১ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১১




১৯৪১ সালে জীবনের শেষ দিনগুলোয় অসুখে ভুগছিলেন কবি। সারা জীবন চিকিৎসকের কাঁচি থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছেন, এবার বুঝি আর তা সম্ভব নয়। হোমিওপ্যাথি, অ্যালোপ্যাথি চলছেই। কিন্তু কিছুতেই কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

×