বিস্মৃতির জাহাজ এসে ভিড়েছে ঘাটে
ভোরের আকাশে ধোয়া উঠা মেঘে - আমি আর তাকে
ফিরে পেতে চাই না সবুজে মিশে গেছে - ঋণচাওয়া মুখের ক্লেদ
যে সমস্ত আলতা পা আঙুলেরা গভীর স্তব্ধবাড়ি থেকে
বের হয়ে আর ঘরে ফেরেনি
তাদের হৃৎপিন্ডে আমি রোদশব্দের আচড় কেটে দেখি
তোমার আদল কুহু ডাকের শব্দে চূড়ির রিমঝিমে
অনেক রাতের গভীরতা এনে আমাকে জাগিয়ে রাখছে সবুজে
পাশফেরানো মুখের দিকে তাকিয়ে দেখছি
আমার দৃষ্টির মধ্যে তুমি
ঘুড়িগুলি একে একে উড়িয়ে দিচ্ছো পাখিগুলিকে খাচা থেকে ছেড়ে দিচ্ছো
আমি আরো একাকী রাতের খামে
গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ি ছাদের কার্নিশে
ফিরেও আসি একাকী
সহজে তোমার নথে এই শহরতলির রঙে
পাখিহীন আকাশের তলে আমার সবুজ নেশার ত্রিশূল
আর ট্রেনের কামরা
এক হয়ে ওঠে পাশাপাশি জেগে থেকে একে অপরের হাতের ভেতর
জমে ওঠে ফোটা ফোটা ফের বৃষ্টির শব্দ রুমাল
সমাজমনষ্ক সমস্ত বেড়াল আর ইঁদুরের লাফালাফিতে
গভীর রাতে
চেনা মুখের মেঘে যে সমস্ত তারাগুলা জ্বলে
সেখানেও দেখি তুমি কাঠ খোদাইয়ের হরফে গড়ে তুলছো
চশমার দোকান
সেতুপারাপারের জোনাকরোড
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৭