এক লালনের লুটিয়ে পড়ায় জোরসে করতালি
জয়ের শিঙা ফুঁকে শয়তানের দল।
চেহারায় নূরের ঝলক দ্যাখে বেহেশতী ভেলকী!
মূর্তি করেছে ধ্বংস
বেহেশত হচ্ছে পোক্ত;
কোরাস কন্ঠে উল্লম্পের গান
বাংলা হবে আফগান।
রবীন্দ্র-নজরুল, মিনার-স্তম্ব, শিখা চিরন্তন
এটেনশান! এটেনশান!!
মুদ্রার এ পিঠ
সরে যাবে অপরাজেয়, শিখা চিরন্তন
মুছে যাবে দেয়ালিকা যতো বুকের মাটিতে
মিনার, স্তম্বসব মাথা খেয়ে পড়লো...
অত:পর ?
সাদা সাদা শয়তান কাকতাড়ুয়ার মতো
এখানে সেখানে মোড়ে, কোণে
চৌমুহনা, তেমোহনায় দাঁড়িয়ে থাকলো!
ধর্ষক শ্বাপদের গোরের পাশে মুসাফির ডাকলো-
আসসালামুআইলাইকুম ইহ আহলাল কবুর
বেহেশতী ফুলে ভরলো রাজাকার মাজার।
শরাবাতরের আশ্রাফী ঘ্রানে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের
কোথাও লালন-হাসন-আব্বাস-আলীম নেই!
... সাদা সাদা শয়তান স্বপ্নে বিভোর।
মু্দ্রার ওপিঠ
শানপাথরে শানের শব্দ হাঁতির ডাকের মতো
আকাশ ধরছে- দিনের শুরু থেকে শেষ
কেবলই ঝড়ের প্রস্তুতি। রক্তচাপ উর্দ্ধমূখী
নভোজানের মতো; অসহায়ের ঘৃনার জমিন
উর্বরতা ফিরে পাচ্ছে...
অশ্বগতির শাণিত যুবা ছুটে আসছে,
নিভে যাচ্ছে অমাবস্যার চাঁদ।
এখন কি আর আঙ্গুল চোষার সময় আছে!