লালনের সাথে আমার যোগাযোগটা পুরা কাকতালীয়।
প্রথম যোগাযোগ
এই ঈদে একটা ঈদ সংখ্যা কিনেছিলাম। বাংলাদেশের সকল বিখ্যাত লোকের লেখা সেখানে ছাপা হয়েছে। দু একটা লেখা পড়েই বমি ভাব জাগলো। সেই বমি ভাবটা কাটাতে শারদীয় দেশ সংখ্যা কিনলাম, ওখানে সুনীলের একটা উপন্যাস ছাপা হয়েছে। শুরুটা দারুন।
ভোররাতের দিকে কবিরাজ মশাইয়ের ঘোড়া চুরি করতে গিয়ে এক চোর ধরা পড়েছে। তাকে আচ্ছা করে প্যাদানো হয়েছে। চোরটাকে উঠানে একটা খুটিতে বেঁধে রাখা হয়েছে। কবিরাজ মশাই নিজে এসে ফাইনাল বিচার করবেন। কবিরাজ মশাই চোরকে বললেন, তুই তো বোকা চোর...আমার ঘোড়া দশ গ্রামের মানুষ চেনে- এই ঘোড়া চুরি করে --তুই তো বিক্রি করতে পারতি না কোথাও ...
তখন চোর বললো, সে ঘোড়া চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েনি। সে ঘোড়া ফেরত দিতে এসে ধরা খেয়েছে।
মানে?
সে গত কয়েকমাস ধরে রাত্রে বেলা আস্তাবল থেকে ঘোড়া খুলে নিয়ে মাঠে চলে যায়, জ্যোছনা রাত্রে মাঠে মাঠে ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ায়, ভোররাতের দিকে ঘোড়া আবার আস্তাবলে ফেরত দিতে আসে। আজ তেমনি ঘোড়া ফেরত দিতে এসে ধরা পড়েছে।
কবিরাজ মশাই ঘটনা শুনে বললেন, ওরে পাগল , এটা তোর একটা অসুখ। এই অসুখের নাম গরীবের ঘোড়া রোগ। তুই ভাত পাস না ...কিন্তু রাত্রে ঘোড়ায় চড়ে ঘুরসি, এটা তোর শখ ....এরই তো কয় ...গরীবের ঘোড়া রোগ।
চোরটার নাম লালু ....উপন্যাসে প্রায় অর্ধেক শেষ করে বোঝা যায়, এটা লালন ফকির ....
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:২৯