অনেক গুলো বসন্তের উচ্ছাস পেরিয়ে এই আমি
রাঙ্গা জটলায় লীন হতে মূর্হুমূহু ব্যার্থ সেও জানি
ক্ষণহতে ক্ষীণ রাঙা ভোর,অতপর বিরাজ মান থাকে সন্ধ্যা
স্রোতস্বীনী আমাকে দেখে থমকে দাড়ায় না আমি ?
গগন বিদারী ক্রন্দন রোল উঠে হৃদয় ফাড়ি,
তবু আমি নিশ্চল,নিথর।
এক্ষণ রাঙ্গা নশ্বরে আমার আমিকে নিবীড় করতে কুন্ঠিত।
কেন নয় যেখানে প্রবঞ্চনা প্রতারনা আর নানান অলীক ঝৌলস,
চির পিত্ত জালার বন্দোবস্ত।
উলু বনে মুক্তো ছড়াতে কিংবা অরন্যে রোধন
কোনটাতেই অব্যস্ত নই হতে চাই না।
চাই, শুধু তোমাকেই চাই নিবিড় করে ।
গ্রীষ্ম থেকে বসন্তে, বৈশাখ থেকে চৈত্রে ,
অনন্ত কাল আদিগন্তে ।
কালের আর্বতে মহাকাল পরকালে।
বিচিত্র তুমি অপরুপ তুমি -তোমার সৃষ্টি ভান্ডার।
আমাতে রুপ দাও, গুন দাও, নৈকট্য দাও তোমার
হে অর্ন্তযামি।।