ধরাধামে কবিকূল সব মাতোয়ারা, সৃষ্টির নেশায় নির্ঘুম, শব্দ সমারোহে হাতড়ে খোঁজে মনপ্রিয় সব শব্দ চাঁদের অফুরন্ত বিলানো আলোয়। সামহয়্যারেও কবিকূলের মনের বাঁধ মানছেনা। কবিতার ফোয়ারা থামছেনা অনেকের। চাঁদ ছুয়েছে কবি মন সব আলোর দরে।
আর এই আজকের দিনে এত ব্যাথা মনে , কেমনে কাটবে ঘন গভীর রাত। সাথে আবার মাথায় ঘুরছে কৃষ্ণকলি মেয়েটার মন মাতাল করা গানের সুর--“ সোনার ও পালংক মাঝে , লিখে রেখে ছিলাম দ্বারে/যাও পাখী বল তারে, সে যেন ভোলে না মোরে/ সুখে থেক ভাল থেক, মনে রেখে এই আমারে/ বুকের ভেতর নোনা ব্যাথা, চোখে আমার ঝরে কথা, এপাড় ওপাড় তোলপাড় একা/ মেঘের উপর...”
উহ! নোনা ব্যাথা ; ভুলে যায় মন ছন্দ কথা, কবির কবিতা সব সেই নোনা ব্যাথার উপশমে জরো হয় মনের অদৃশ্য হৃদপিন্ডের চারধারে। মুহূর্তে স্মৃতির তোরজোড়ে কবিতা হয়ে ওঠে ব্যাথার নকল ঔষধ। কাজ হয়না। পায়ের শব্দ শুনতে পাই, কণ্ঠের আবেগ আর কান্নার তরঙ্গে তার আন্দোলিত হই , হতেই থাকি। “জীবন কেনো এমন হয়”--প্রশন টা ফিরে আসতে যায়; কিন্তু না কেবলই শুণ্যতায় তলিয়ে যায় সময় , গভীর রাত; চাঁদ কাঁদতে থাকে একজন অর্বাচীন কবির স্পর্শ বঞ্চিত হতে থাকায়। জীবনে ভূলের কোন সমাধান নেই। কারন জীবন একটাই , জীবন চাঁদের মত বারবার ফিরে আসনো প্রতি পূর্ণিমায় ঝলমলে রূপে; তাই সেই মিষ্টি হাসি এক জীবনে একবার যখন হারিয়ে যায় আর খুঁজে পাওয়া যায়না , কেবল শোনা যায় মনের গভীরে, যেখানে কষ্টের কাপালিকরা ভীষন উল্লোসিত , যেখানে পূর্ণিমার আলো পৌঁছে না, যেখানে অহর্নিশি অনাদিকাল কেবলই অমাবশ্যা।
১৫/১০/০৮
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:২৭