আব্দুর রশিদ গাছে চরলেন
অথচ তার হাত দুটো কাজ করছে না
নিথর হাতদুটো কেমন তার গলায়
দড়ি পড়িয়ে দিল নিমিষে!
এই বাংলায় সবই সম্ভব,
মৃত শরীরে পরগাছা হয়ে ঝুলে পড়াও।
আব্দুর রশিদ হেঁটে যাচ্ছিলেন,
মধ্যপথে আটকে দিলো কে?
আর কেউ নয় ক্ষুদ্র ঋণের লোকে।
ক্ষুধার্থ পেটে দু'চার ঘাতো সয়
এমন করে অমানুষিক নির্যাতণ তো নয়।
আর কি হবে, কুড়িয়ে পাওয়া প্রাণে
আর কটা দিন টিকতো হয়তবা
কি হায় আর আড়াল থেকে টানে
কে শেখাবে কঠিন মরতবা?
হায় , শেখাটাই হলো কাল
জীবন ফের পালটে যাবে ভেবে
পঁচিশ হাজার ঋণের বোঝা টেনে
পালিয়ে কি বাঁচে জান-মাল?
আব্দুর রশিদ গাছে চড়লেন
ক্ষুধার্থ পেটে, মেরুদন্ডে ভাঙা হাড়
নিথর হাতদুটো পরে থাকে পাশে
ফ্যাকাশে চোখে পৃথিবীকে জানায়
বিদায় সম্ভাষণ
আর সব ঠিকঠাক জানিয়ে
কর্তৃপক্ষ দায়ের করে মামলা; অপমৃত্যুর....
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৫