somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১১ তারিখের আড্ডা জনিত ব্লগীয় ক্যাচলের ধারাবাহীকতায় আমার দুটো মনের কথা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এত ক্যাচালের পর ...কি কি বলা উচিৎ সেটাই নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
খুব সংক্ষিপ্ত সারে বললে বলতে হয়, আড্ডা জনিত ক্যাচাল এই প্রথম নয়, এর পূর্বেও আমরা আডডার পরবর্তীতে নানা ক্যাচালের অবতারণা দেখেছি। মনে হয় তাই, একদল ক্যাচাল বাঁধানোর জন্যই ব্লগার হয়েছেন। কোন ইস্যুই তারা মিস করতে চান না। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো , পৃথিবীতে ইস্যুর কোন অভাব কচ্ছিন কালেও হয়না হয়নি, হবেনা।

কিন্তু কথা থাকে এই বারেরর ক্যাচলের কারণ- ব্লগের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি ত্রিভূজ এসেছিল।

ব্লগের পূর্বেকার সকল আড্ডা ( যতগুলাতে আমি গিয়েছি, গোটা ৭/৮ তেক এর কমনা) , অপেন ফর অল টাইপই ছিল বলে আমার জানা এবং দেখা। তবে একটা আড্ডা ছিল কোন এক ব্লগারের বাসায় যেখানে ক্যাচাল জনিত কারণ এর ব্যাপকতা বৃদ্ধির কারনে দাওয়াত দেয়ার রেওয়াজ চালু হয় সেই আড্ডার ক্ষেত্রে । কিন্তু সেই আড্ডা টি শেষ পর্যন্ত সফল হয়নাই। আমার বিশেষ ভাবে মনে থাকার কারন, আমি দাওয়াত পাওয়ায় নির্ধারিত দিনে রেডি ছিলাম, কিন্তু শেষ মুহূর্তে কপাল গুণে হোস্টকে ফোন করায় ক্যানসিল সংবাদটা পাই।

সুতরাং ওপেন আড্ডায় কে আসবে , আর কে এল, আর কে ঘোষনা দিল আসবে বলে, কে ঘোষনা দিলনা আসবে বলে সে সব বিচার করার অবকাশ কি করে থাকবে তাদের কাছে সত্যিকারে যারা এরকম আডডায় আসতে চান।

এখন আড্ডা এভাবে ঘোষনা ছাড়াও হয় , হয়েছে, হবে। ইনটিমিসি এক এক জনের সাথে এক এক রকম গড়ে উঠেছে। সেটাই স্বাভাবিক। আজিজের সামনে িতনজন ব্লগারেরর দেখা হয়েই যেতে পারে, আডাও হতে পারে। সেটা ওপেন আড্ডা নয়। অঘোষিত, সেখানে আপনি বা আপনারা কাউকে এলাউ করতে না ও পারেন।

কিন্তু ওপেন আড্ডায় কোন ব্লগারকে এড়াবেন কি করে? কেন এড়াবেন?
যাকে ব্লগে ব্লগার হিসাবে মেনে নিয়ে ব্লগে লিখতে পড়তে আসতে পারেন, তাকে আড্ডায় দেখলে গা গুলিয়ে ওঠাটা স্ববিরোধি মনোভাব।

তারপরও কথা থাকে , সাচ্চা মনের মানুষ হলে , যদি সত্যিকার প্রমাণ সহকারে দৃঢ় বিশ্বাস হৃদয়ে লালন করে কেউ কারও বিরুদ্ধে, তবে প্রকাশ্যে আড্ডায় তার বিরুদ্ধাচারণ করা অত্যাবশ্যক। সেটা দায়িত্বও বটে।
আড্ডার পরে ব্লগে এসে মেকি ভালোমানুষি দেখানো টা দৃষ্টি কটু মনে হচ্ছে।

আমি নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে মনে প্রাণে রাজাকার হারামী কুত্তাগুলারে মহাঘৃণা করি। কিন্তু আমারা নিজেরা ওই কুত্তাদের কাছ থেক কিছু বদগুণাবলী অর্জন করে ফেলেছি, যেটা হলো নিজ জাতির প্রতি ঝগড়াঝাটির উস্কানী।

কই সাধু সুবোধ ব্লগার , যারা বলছেন , ভুল করে আড্ডায় এসেছিলেন, তারা ত্রিভূজকে চলে যেতে বলতে পারতেন, কেনো এসেছে জিজ্ঞেস করতে পারতেন।
প্রকাশ্যে অন্তত বলতে পারতেন ত্রিভূজ থাকে যেখানে সে আড্ডা হবেনা। কিন্তু তা না করে পিছে গিয়ে ফুসফাস করছেন।


বুঝিনা, একটা ছেলে, এক ত্রিভুজকে এত বেশী পাত্তা দিয়ে হিরো বানানোর কি আছে!


কে জানি বলেছেন, আড্ডার ঘোষণা দেয়া পোষ্ট দুটো মুঝে দিয়েছি। আসলে মুছিনি। ড্রাফট করেছি।অপ্রেয়াজনীয় পোষ্ট মনে হয়েছ তখন যখন বুঝিনি এত ক্যাচাল হবে , মুছেছি তখন।

তবে মনে হয় সেকানে ঢু মারার কিছূ নাই। সম্ভবত যতদূর মনে পড়েত্রিভূজ বলেছিল, হয়তো আসতে পারি।



শেষ কথা বলতে চাই----সমাধান নিচের তিনটির যেকোন একটিই আসলে
(১) ওপেন ব্লগ আড্ডা বন্ধ করে দেয়া
(২) কোন আড্ডা নিয়ে কোন ক্যচাল এর ইস্যু না খোঁজা, অথবা
(৩) ওপেন আড্ডায় ব্লগের মত সকল ব্লগারের উপস্থিত মেনে নেয়া


আরেকটি কথা ব্যক্তিগত, আমি আছি যে কোন আড্ডায় সময় প্রাপ্তি সাপেক্ষে , কারও গুহ্যদারে হাত ঢুকিয়ে চলিনা, কে আইলে আর কে আইলো না তার জন্য আমার যাওয়া বন্ধা করার মত হীন মানসিকতা আপাতত নেই। আমার স্বাধীন বাংলার পথের যেকোন স্থানে আমি আড্ডা দেব , কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের জন্য পথ থেকে চলে আসব বা আসতে কেনো চাইব।?
২১টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×