somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্রেনে একরাত.....................

১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকাল ১১ টা

ঢাকা যাব। যাবার কথা ছিল বৃহস্পতি বার। আমি সব সময় দেরিতে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে দেখি বাংলাদেশের খেলা। তাই ঢাকা যাওয়া বাদ দিয়ে খেলা দেখতে বসলাম।

বিকেল ৫ টা

খেলা শেষ। নদীর তীরে প্রচুর মানুষ। তাই হেটে ব্রিজ পার হতে হল। রাতে ঢাকা যাওয়ার জন্য ট্রেনই ভাল। কিন্তু কোন টিকিট পেলাম না।


রাত ১০ টা ৩০

দারিয়ে যাবার সিদ্বান্ত নিলাম। বসেছি ট বগিতে। এখনো কিছু সিট ফাঁকা আছে। কিন্তু সামনের স্টেশনে সিট ছেরে দিতে হবে। আমার ডান পাশে বসেছে মুক বধির একটি ছেলে,
উলটো দিকে ডাক্তার একজন, বামে অন্য দিকে বসেছে মুক বধিরের বন্ধু , অন্য একজন মহিলা। আমাদের কারও সিট নেই।

মুক বধিরদের দেখে বেশ অবাক হলাম। এরা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ এ খুব চালু। সবাই ওদের লক্ষ্য করল। ওদের টিকিট লাগে না। আইডি দেখালে চলে।

ডাক্তার ভদ্রলোক চুপচাপ আছেন। একটু পরপর পাশের মেয়ে্টির দিকে তাকাচ্ছেন। ওনার সাথে কথা বলছি, হঠাৎ কে যেন ডাকলো, আমি বুজলাম সময় হয়ে গেছে। সিট ছেরে উঠে..............................।



রাত ১২ টা ৩০



হাটছি আর হাটছি............এক জায়গা হতে অন্য জায়গা। আরো মানুষ উঠছে। কোথাও কোন সিট খালি নেই। অনেকে তিনজন তিনজন করে বসেছে। আমি চিন্তা করছি আমিও এভাবে বসব নাকি। কিন্তু কাওকে অনুরোধ করতেও ইচ্ছা করছে না............।

রাত ১ টা ৩০


ঘুরে ফিরে কেবল আগের জায়গায় ফিরে আসছি। অনেকে কারড খেলছে। অনেকে রেলের স্টাফদের বলে জায়গা ম্যানেচ করে নিয়েছে। আমি কেবল ভবঘুরের মত ঘুরছি ( একা না, আমার মত অনেকেও ঘুরছে ) মনে হয় এক আঙ্কেলের আমার অবস্থা দেখে দয়া হল।
তিনি তার পাশে বস্তে বললেন। বসলাম। পড়ালেখার কথা জিজ্ঞেস করলেন। আরও অনেক কথা হল। আমার বেশ খারাপ লাগলো যে ওনি কত কষ্ট করে রাতে না ঘুমিয়ে যাচ্ছেন, পরনের কাপড় জুতার অবস্থা খুব খারাপ কিন্তু ওনি বেশ শিক্ষিত, ছেলে মেয়েরা পড়াশুনা করছে। ওনাকে আগের কথা জিজ্ঞেস করলাম ( আমি পুরোনো কাউকে পেলে তখনকার কথা জিজ্ঞেস করি )

মনে একটা প্রশ্ন জাগলো, আমাদের বাবা -মা রা যে এত কষ্টো করছেন, প্রতিদানে আমরা কি দিচ্ছি? দেশে এত ভাল সুযোগ পাচ্ছি, দেশকে কি দিচ্ছি? পড়ালেখার কথা বাদই দিলাম,
আর কি করছি? অন্যায় হলে চুপ করে থাকি, নিজেদের দেশের ইতিহাস জানি না, সংস্কৃতি
সম্পরকে কিছু নাই বা বললাম। আসলে আমরা গোলক-ধাঁধায় ঘুরছি...........................নিজেদেরকেই তা চ্ছিন্ন করতে হবে........................তা না হলে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
( this is my 1st blog. sorry to disturb u guys by this crappy writing )
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:২৮
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×