somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংরক্ষিত পোষ্ট-

০৯ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Click This Link এই লেখায় ত্রিভূজ কিছু যুক্তি উত্থাপন করে নাস্তিকদের ঈমানদার প্রমাণ করতে চেয়েছিলো। সেখানেই একটা আলোচনা চলছিলো। নিজের জন্যই এই আলোচনা নিজের পাতায় তুলে রাখা। ---

একটু সংশোধিত মন্তব্য থাকবে এখানে-

নাস্তিকরা প্রমাণ ব্যতিত তারা কোন কিছু মেনে নিতে রাজী নয়। সবকিছু বিজ্ঞান ও যুক্তির নিরিখে যাচাই করেই তারা কোন কিছুকে সত্য বলে স্বীকার করতে চায়। এক কথায় নাস্তিকদের 'দাবীগুলো' যুক্তি ও প্রমাণ নির্ভর।
উল্লেখ্য সৃষ্টিকর্তা আছে কি নাই তা শক্তিশালী কোন যুক্তি বা বিজ্ঞান দিয়ে কখনো প্রমাণ করা যায়নি। যা প্রমাণ সাপেক্ষ বিষয় নয়, তা মেনে নেয়া মানে না জেনে মেনে নেয়া। আর কোন বিষয়কে না জেনে না দেখে মেনে নেয়াকেই বিশ্বাস বা ঈমান বলা হয়।

তাহলে নাস্তিকরাও কি ঈমানদার বান্দা?


--------------
আমার প্রথম মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ত্রিভূজের মন্তব্যটি উল্লেখযোগ্য-

@রাসেল ( ........)
বিশাল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি সম্ভবত মূল আলোচনা থেকে ছিটকে সরে গিয়েছেন বা যেতে চান। আপনার বক্তব্যের বটম লাইন কিন্তু মূল যুক্তিটিকে নাকচ করে দিতে সক্ষম হয়নি।

যাই হোক,
মূল আলোচনা থেকে সরে গিয়েও আপনি যেসব কথা বলেছেন সেগুলো নিয়েই কিছু প্রশ্ন জাগলো মনে-


১) আপনি বলেছেন-
"মুলত মহাবিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করে এখনও বেহেশত দোজখ নামক ইশ্বর ও ফেরেশতাদের আবাসস্থলের খোঁজ পাওয়া যায় নি।"

প্রশ্ন: বেহশত, দোজখ এই মহাবিশ্বের ভেতরেই অবস্থিত এই তথ্য কোথায় পেয়েছেন?



২) আপনি বলেছেন-
"বর্তমান মহাবিশ্ব পরিচালনা করা কিংবা এটার সৃষ্টির পেছনে ইশ্বরের কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব নেই। "

প্রশ্ন: কিভাবে নিশ্চিত হলেন? কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দিয়ে প্রামাণ করা সম্ভব হয়েছে মহাবিশ্ব সৃষ্টির পেছনে কেউ নেই (কেউ যে আছে সেটাও প্রমাণীত সত্য নয় আগেই স্বীকার করে নিলাম)।


৩) আপনি বলেছেন-
ইশ্বর প্রাকৃতিক নিয়মের দাসত্বশৃঙ্খলে বন্দী।

প্রশ্ন: কিভাবে? আরেকটু বিস্তারিত আলোচনা করুন।


৪) আপনি বলেছেন-
"আপাতত বেহেশত দোজখের অস্তিত্ব কিংবা এমন কোনো স্থাপনার অস্তিত্ব বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত নয়।"

প্রশ্ন: বিজ্ঞান কি নিশ্চয়তা দিতে পারে যে বেহেশত বা দোযখ বলে কিছুর অস্তিত্ব (মহাবিশ্ব বা এর বাইরে) কোথাও নেই?


৫) আপনি বলেছেন-
"এই মহাবিশ্বে আমাদের পর্যবেক্ষণসীমা যেখান থেকে আলোর গতিতে আসলেও ২০০০ বছরের ভেতরে পৃথিবীতে পৌঁছানো সম্ভব এমন নিকট দুরত্ব থাকা আমাদের মিল্কি ওয়েতে কোনো স্থাপনার অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি।"

প্রশ্ন: সিস্টেমের ভেতরে বসে সিস্টেমের ক্রিয়েটরকে বুঝার চেষ্টাটা কতটুকু যুক্তিযু্ক্ত? সিস্টেমের প‌্যারামিটারগুলো কি এর ক্রিয়েটরের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে?


আরো অনেক প্রশ্নই করা যায় আপনার মন্তব্য থেকে.. তবে বটম লাইন হলো মূল পোস্টে দেয়া যুক্তিটি অচল করার মত কিছু আপনি বলতে পারেননি। পাশ কাটিয়ে গিয়ে যা বলেছেন, সেগুলোর উপরেই প্রশ্ন করলাম, আলোচনার খাতিরে।


প্রশ্ন: বেহশত, দোজখ এই মহাবিশ্বের ভেতরেই অবস্থিত এই তথ্য কোথায় পেয়েছেন?
---------------
প্রশ্নটা আকর্ষণীয়, তবে বুদ্ধিদৃপ্ত নয়। পূঁথির বিষয়টাতেই মনোযোগ দেই। বিশেষত প্রাকটিসিং মুসলিম হিসেবে তোমার এই বিষয়গুলোতে বিশ্বাস স্থাপন অবশ্য পালনীয় কর্তব্যাদির একটা।
বেহেশত- দোযখ বিষয়টা মহাবিশ্বের ভেতরে না থাকলে ঠিক কোথায় থাকলে সুবিধা হতো তোমার? কারণ এই প্রশ্নের উত্তরটা সহজ ভাষায় দেওয়া সম্ভব হবে না।

ধরা যাক মহাবিশ্বের ব্যপ্তির বিষয়টা- এটার ব্যপ্তি আলো ১০০০ কোটি বছরে যতটুকু পথ অতিক্রম করে ঠিক ততটাই। অন্তত আমাদের বোধগম্যতার জগতে এটা সসীম এবং সীমাবদ্ধ।
যুক্তির খাতিরে ধরে নিচ্ছি ইউনুস সাহেব আজরাইলের পাখনা ধরে মহাবিশ্বের সীমানা অতিক্রম করে চলে গিয়েছিলো।

পরবর্তীতে মুহাম্মদ মি'রাজে গেলো, সেখানে গিয়ে সকল নবীদের সাথে নামাজ পড়লো। সুতরাং এই মহাবিশ্বকে অতিক্রম করতে তার যেই সময়টুকু লাগতো সেইটুকু অন্তত তাকে দিতে হয়েছে। সময় যতটাই স্থিমিত হয়ে যাক না কেনো যেকোনো বস্তু যার সামান্য পরিমাণে ভর আছে সে আলোর কাছাকাছি গতিবেগ অর্জন করলেও সামান্য সময়ের পার্থক্য রয়েই যাবে।

সেটা আলোর গতিবেগের তুলনায় ১ মিটার প্রতি সেকেন্ডে কম হলেও, এই সময়টুকুর ঘাটতি তাকে পুরণ করতে হবে। সুতরাং ১০০০ কোটি মিটার অন্তত পিছিয়ে তাকে যাত্রা করে পুনরায় ফিরে আসতে হবে।
সুতরাং এই সামান্য গতির ব্যবধান নিয়েও যদি মুহাম্মদ মহাবিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে চায় তার সময় লাগবে অন্তত ১০০০কোটি বছর এবং সেই সাথে বাড়তি ১০০০ কোটি মিটার অতিক্রম করতে যতটা সময় লাগে ততটা।
---------------------------------------------------------------------------

প্রশ্ন: কিভাবে নিশ্চিত হলেন? কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দিয়ে প্রামাণ করা সম্ভব হয়েছে মহাবিশ্ব সৃষ্টির পেছনে কেউ নেই (কেউ যে আছে সেটাও প্রমাণীত সত্য নয় আগেই স্বীকার করে নিলাম)।
--------------

বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আদতে কি করে এই বিষয়টা সম্পর্কে ধারণা না থাকলে বিষয়টা উপলব্ধি করাটা একটু কঠিন হবে।

ধরা যাক আমাদের পর্যবেক্ষণ কি বলছে মহাবিশ্ব সম্পর্কে- আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে অন্তত ১০০০ কোটি বছর আগে মহাবিশ্বের সূচনা হয়েছিলো। এরপর থেকেই এটা প্রসারিত হচ্ছে। এবং প্রসারিত হচ্ছে। আমদের পর্যবেক্ষণলব্ধ ফলাফল বলছে এই প্রসারণ আমাদের দৃশ্যমান নক্ষত্রের ভর দিয়ে স্থগিত করে পুনরায় সংকোচন পর্যায়ে নিয়ে আসবার জন্য যথেষ্ট নয়।

প্রসারণ ঘটছে এবং এটা ঘটছে প্রাকৃতিক নিয়মানুসারে। মূলত বিস্ফোরণের পর থেকেই সীমিত মহাকর্ষের প্রভাব ব্যতিত এই প্রসারণের উপরে অন্য কোনো প্রভাবকের ভূমিকা তেমন নেই। বিশাল ব্যপ্তিতে শুধুমাত্র মহাকর্ষই ক্রিয়া করছে। এবং এই ক্রিয়ার প্রভাবে মহাবিশ্বের ভবিষ্যত কেমন হওয়া উচিত এটা বিষয়ে একটা বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যখ্যা রয়েছে। এই প্রসারণের বিষয়টাতে ইশ্বরের কোনো প্রভাব নেই। ইশ্বর নিরপেক্ষ ভাবেই এটা প্রসারিত হতে থাকবে।

সুতরাং এই মহাবিশ্ব এবং এর ভেতরে যা যা ঘটছে তা ব্যখ্যা করার জন্য কিংবা এই মহাবিশ্বে যেসব পরিবর্তন ঘটছে সেসব ব্যখ্যা করবার জন্য ইশ্বরের উপস্থিতি প্রয়োজনীয় নয়। এমন কিছু এখানে ঘটছে না যা অলৌকিক এবং আমাদের জ্ঞাত সূত্রগুলোর বিপরীতে ঘটছে।

নক্ষত্র জন্ম নিচ্ছে এবং নক্ষত্রের মৃত্যু ঘটছে। নক্ষত্রের মৃত্যুর পরে সেগুলো কোন অবস্থায় যাবে সেটাও অংক কষে বলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
আমাদের গ্রহের গতিপথ। আমাদের সূর্য্যের গতিপথ, আমাদের চাঁদের গতিপথ আমরা অবলীলায় গণনা করতে পারছি এবং এই কক্ষপথগুলো পরিবর্তিত হওয়ার কারণগুলোও আমরা জানি। সুতরাং অবধারিত পরিবর্তনের কারণগুলোও যখন জানা তখন অন্তত অঙ্ক কষে আমরা নিশ্চিত হয়েই বলতে পারবো চাঁদের পরণতি আদতে কি হবে। আর ৫০০ কোটি বছর পরে সূর্য্যের পরিণতি কি হবে সেটাও আমরা অঙ্ক কষে বলে দিতে পারি এবং তুমি যদি কোনো উপায়ে ৫০০ কোটি বছর জীবিত থাকো তাহলে বিজ্ঞানের এই ভবিষ্যত বানীর যথার্থতা দেখে যেতে পারবে।

এইখানে য কিছু ঘটে তার জন্য ইশ্বর অপ্রয়োজনীয়। তার হস্তক্ষেপ অপ্রয়োজনীয়। সৃষ্টির আদি মুহূর্তে আদতে কি ঘটেছিলো, এটা নিয়ে গবেষণাগারে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সুতরাং বিজ্ঞানীরা বিষয়টাকে যেভাবে ব্যখ্যা করছেন তা পর্যবেক্ষণ করবার প্রক্রিয়া এখানেই শুরু হয়ে গিয়েছে। অপেক্ষা করলে আগামী ২ বছরের ভেতরে সামান্য আলোকপাত করা সম্ভব আদতে কি ঘটেছিলো মহাবিশ্বের সূচনা লগ্নে।
-------------------------

প্রশ্ন: কিভাবে? আরেকটু বিস্তারিত আলোচনা করুন।

----------------------------------------

ধরা যাক আমি একটা ইট উপরে ছুঁড়ে মারলাম, আমার সর্বোচ্চ শক্তিতেই, সেটা অবধারিত ভাবে পৃথিবীতেই ফেরত আসবে।
ধরা যাক আমি ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করলাম, সেটা দিয়ে আমি ১১০ ইউনিট বিদ্যুৎএর সমপরিমাণ শক্তি পাবো না। সর্বোচ্চ ১০০ ইউনিটই পাবো বড়জোর। ইশ্বর তার সমস্ত ক্ষমতা ব্যয় করেও এই বিষয়গুলোকে বদলাতে পারবে না।

ধরা যাক আমি চাঁদ থেকে একটা টর্চ জ্বালিয়ে পৃথিবীতে আলো দিলাম, সেই আলো পৃথিবীতে আসলে অন্তত ২ সেকেন্ড সময় লাগবে। এই সময়টা কমিয়ে আনা ইশ্বরের পক্ষে সম্ভব নয়। ইশ্বর হাজার চেষ্টা করলেও পানি ভেঙে হাইড্রোজেন অক্সিজেন ব্যতিত অন্য কিছু বের করতে পারবে না।

প্রকৃতিতে যেসব নিয়ম আমরা নিশ্চিত ভাবেই জানি, এইসব নিয়মকে মেনেই ইশ্বরকে জীবনধারণ করতে হবে। ধরা যাক চাঁদ ২৭ দিনে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। ইশ্বর চাইলেও এই ২৭ দিনের পরিভ্রমনকালকে সংক্ষিপ্ত কিংবা প্রলম্বিত করতে পারবে না।

যদি এই মহাবিশ্বের যেকোনো পরিবর্তনের কথা আলোচনা করি আমি, সেগুলো ঘটবে বিজ্ঞানের নির্ধারিত নিয়মেই, ইশ্বর ঠুঁটে জগন্নাথ। তিনি শুধুমাত্র দেখে যেতে পারবেন, মানুষ কেনো সামান্য একটা পাথরকেও স্থানান্তরিত করবার ক্ষমতা তার নেই।

যদি ইশ্বর পাথরকে গতিশীল করবার বাসনা করেন তবে তাকে বৈজ্ঞানিক পন্থায় স্বীকৃত নিয়মগুলোর কোনো একটা দিয়েই পাথরের গতিশক্তিকে পরিবর্তিত করতে হবে। শক্তি আদান-প্রদানের যেকোনো অলৌকিক ঘটনাই আমরা পর্যবেক্ষণ করে ইশ্বরের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারি।

এমন ঘটনা পূর্বে ঘটেছে এমনও নজির নেই। ভবিষ্যতে ঘটবার সম্ভাবনাও নেই। যদি এমনটা ঘটে তবে ইশ্বরের অস্তিত্ব প্রমানিত হয়ে যাওয়ার একটা সমুহ সম্ভবনা আছে।
-----------------------------------------------

প্রশ্ন: বিজ্ঞান কি নিশ্চয়তা দিতে পারে যে বেহেশত বা দোযখ বলে কিছুর অস্তিত্ব (মহাবিশ্ব বা এর বাইরে) কোথাও নেই?
--------------

অন্তত আমাদের দৃশ্যমান জগতে এটার অস্তিত্ব নেই এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। অন্য কোনো মহাবিশ্বে এটা অবস্থিত হলেও সেই মহাবিশ্বের অস্তিত্ব অন্তত এ মহাবিশ্বের পরিবর্তন দেখে যাচাই করা সম্ভব। দুটো তারা কিংবা একটি তারা এবং একটি কৃষ্ণগহ্বর যদি কাছাকাছি থাকে তবে যেকোনো একটিকে পর্যবেক্ষণ করে অন্যটির উপস্থিতি, ভর এবং উত্তাপ ও শক্তি সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানা সম্ভব, জানা সম্ভব এই বস্তুগুলোর ভেতরে স্থানিক দুরত্ব কতটুকু।

যদি ২টা মহাবিশ্ব থাকে এবং তারা যদি পরস্পরকে কোনোভাবেই উপলব্ধি করতে না পারে তবে অন্যটির অস্তিত্ব অর্থহীন, সেটা আমাদের মহাবিশ্বে কোনো পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হবে না।

সুতরাং যদি মৃত্যুর পরপরই অন্য কোনো মহাবিশ্বে আমাদের পরকাল শুরু হয়, কিংবা ইউনুসের মতো স্বশরীরেই যদি কেউ বেহেশতে চলে যায় তবে সেটা মোটেও সম্ভব হবে না। অন্তত এই মহাবিশ্বে কোনো প্রভাব না রেখে এখান থেকে কোনো শক্তিই অন্য কোথাও চলে যেতে পারবে না। সেটা একটা কণাপরিমাণ হলেও সেই হিসাবটা মহাবিশ্বে থেকে যাবে এবং সেটা পর্যবেক্ষণযোগ্য।
---------------------------

প্রশ্ন: সিস্টেমের ভেতরে বসে সিস্টেমের ক্রিয়েটরকে বুঝার চেষ্টাটা কতটুকু যুক্তিযু্ক্ত? সিস্টেমের প‌্যারামিটারগুলো কি এর ক্রিয়েটরের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে?
---------------------------------------------

প্রাকৃতিক ব্যবস্থা হলে সিস্টেমের ভেতরে থেকেই সিস্টেমের পরিবর্তনগুলো অনুধাবনযোগ্য। এবং সিস্টেমের প্যারামিটারগুলোও সিস্টেমের ক্রিয়েটরকে মেনে চলতে হবে।

তুমি প্রোগ্রামিং করার সময় লাইব্রেরি এস্যাইন না করে অন্য কোনো ফাংশনকে একটিভ করতে পারবে না। সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট গতিপথ এবং নিয়ম রয়েছে। পরিবর্তনগুলোও এই নির্দিষ্ট নিয়মগুলোকে অনুসরণ করেই ঘটবে। বালির ঘর তৈরি করে তুমি যখন তার উপরে বসবে তখন বালির ঘরের ভেতরে যাই রাখো না কেনো সেটা তোমার উপস্থিতি উপলব্ধি করতে পারবে না এমনটা হয় না।

আমার নির্মিত যন্ত্র যদি তার নিজস্ব কেতায় আমার উপস্থিতি পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা রাখে তবে সে আমার উপস্থিতি দেখতে পারবে। আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স অনেক বেশী ইমপ্রুভ করছে ইদানিং, যন্ত্র নিজেই সীমিত ভাবে নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারছে। পথের মাঝে কোনো বাধা আসলে সেটাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারছে। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে পারলে একদিন যন্ত্রও তার স্রষ্টার মতোই ভাবতে শিখবে।

এবং এই ভাবনার পদ্ধতিটুকু জানতে পারলে সে ক্রিয়েটরকে অনুকরণ করে নিজের বিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হবে।

ইশ্বরের জন্য আলাদা নিয়ম অন্তত আমাদের মহাবিশ্বে প্রযোজ্য না। তিনি আমাদের সংবাদ না দিয়ে, আমাদের কোনো সংবেদ গ্রহন না করে এখানে কোনো কারিগরি ফলাতে পারবেন না।
--------------------------------------
আর কতটুকু যৌক্তিক এই প্রশ্নের অপেক্ষা না রেখেই আমরা যাচাই শুরু করেছি, ছেলেমানুষি যুক্তিগুলো নিজের খাঁচায় ভরে রেখে আলোচনা করো।

তোমার প্রথম দাবিটি ছিলো আমি মূল প্রশ্নকে পাশ কাটিয়ে গেছি, মূলত পাশ কাটিয়ে যাওয়া নয়, বরং ইশ্বর আছে কি নেই এই প্রশ্নের উত্তরটা খুঁজছি বিজ্ঞানের মাধ্যমে। যৌক্তিক ধাপগুলো কি হতে পারে?

ইশ্বর অবশ্যই আছেন। আমাদের ইশ্বরের উপস্থিতি থাকলে, পূঁথি বর্ণিত স্বর্গ নকর ফেরেশতা এবং তাদের জপ-তপ আমাদের দেখতে পাওয়ার একটা সম্ভবনা আছে।

যদি সেটা পর্যবেক্ষণ করা না যায় তবে সেগুলো অদৃশ্য- অদৃশ্য অবকাঠামোতে কোনো ব্যক্তি মানুষ কিংবা বস্তুর উপস্থিতি সম্ভব না। সুতরাং অদৃশ্য বেহেশত দোযখও অসম্ভব। পূঁথিকে বিশ্বাস করেই আমাদের ঈমানের অঙ্গ হিসেবে এসবের অস্তিত্বকে মেনে নিতে হবে।

দ্বীতিয় একটা অবস্থা হতে পারে এই মহাবিশ্বের সীমানায় বেহেশত দোযখ নেই- অন্য কোনো মহাবিশ্বে এটা অবস্থিত। সেখান থেকে এই পৃথিবীতে আদমকে টুপ করে ফেলে দেওয়া সম্ভব হলো। কিভাবে সম্ভব হলো এটাও একটা বিশাল মাপের প্রশ্ন- ২০০০ বছর আগেও যেমন ঘন ঘন ইশ্বর এবং তার অনুগত চরেরা পৃথিবী দাঁপিয়ে বেড়াতো, সেটা অন্য কোনো মহাবিশ্বের অবস্থিত হলে সম্ভব নয়। যদি আলোর গতিতেও কেউ ছুটে আসে মহাবিশ্বের কোনো এক পরিধি থেকে তবে তার এই পৃথবীতে পৌঁছাতে লাগবে ১০০০ কোটি বছর, ফেরত গিয়ে আবার ফিরে আসতে আসতে অনেক কিছুই ঘটে যাবে।

মোহাম্মদ মি'রাজে গিয়ে অন্য কোনো মহাবিশ্বে অবস্থিত বেহেশত দোযখে নবীদের ইমামতি করে ফেরত আসলে তার ১০০০ কোটি বছর এবং ১ দিন সময় লাগবে। এমনটা কি ঘটেছে?


যুক্তিগুলো উপস্থিত এখানেই, শেষ পর্যন্ত সংশয় বিষয়টা বজায় রাখা সম্ভব। কোনো যুক্তিকেই যুক্তি গ্রাহ্য না করাও সম্ভব। মূলত ইশ্বরের অনস্তিত্বের প্রমাণ বেহেশত দোযখের অনুপস্থিতি এবং অন্য কোনো মহাবিশ্বে এসবের উপস্থিতি থাকবার সম্ভবনা অতীব ক্ষীণ। সেটা অন্য কোনো মহাবিশ্বে থাকলেও অন্তত অনেকগুলো মিথ্যা দাবির উপরে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে সত্য ধর্মকে।

১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×