somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোজনামচা

০৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এতো খারাপ আবহাওয়া গত ৫/৬ বছর দেখিনি। সামারের লেশমাত্র না দেখিয়ে শীতের আগমনি বার্তা। যদিও ক্যালেন্ডারের পাতায় মাত্র ফ্রুলিক্সের শুরু। শরতকালের এই করুন অবস্হা। কোন কারন ছাড়াই টুপুর টুপুর বৃষ্টি শুরু। সাথে ঠান্ডা বাতাস। গাছের পাতাগুলো হলুদ, লাল আরও হরেক রকম রঙে রাঙায়িত। দেখতে ভালোই লাগে। হালকা রোদ দেখে যদি কেউ ভাব ধরে সামারের কাপড় নিয়ে বের হয় তাহলে ফিরতি পথে বাসায় না এসে হাসপাতালেই যেতে হবে।

ঈদ বরাবরের মতোই পানশে। ঈদের রাতে ছোটবোন এসে বলতেছে ভাইয়া তুমি কি আমার হাতে মেহেদী লাগিয়ে দিবে? যদিও কাজ থেকে এসে মাত্র ইফতার করেছি। বেশ ক্লান্ত। ভাই-ভাবীও এসেছেন। ভাবী ডাক্তার মানুষ। সারাদিনের ঝামেলা শেষে এসেছেন সেই কথা চিন্তা করে হয়তো উনার কাছে আবদার করেনি। বল্লাম ঠিক আছে। মনে মনে চিন্তা করলাম কখনো কি নিজে মেহিদী লাগিয়েছিলাম? মন খারাপ হয়ে গেলো। ভাবী শুনে দিলো একটা ঝাড়ি। উনি কোনমতে মেহেদী লাগিয়ে দিয়েছেন। এদিকে পরেরদিন ওর ক্লাস টেষ্ট। অবশ্যই স্কুলে উপস্হিত থাকতে হবে। দেশে থাকলে কতো রঙে-ঢঙে ঈদ হতো। অথচ কাল ঈদের দিন ও স্কুলে যাবে। বাসায় ফিরে হয়তো কোথাও বেড়াতে যাবে অথবা হোমওয়ার্ক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে। দেশের ঈদের আমেজটা কখনোই হয়তো পাবে না।

শুক্রবার সরকারী ছুটি ছিল। এইদিন পুর্ব-পশ্চিম জার্মানী এক হয়েছিল। আমাদের ঈদের পার্টি তাই শুক্রবার। যারা ছাত্র ছিলাম তারা এখন সবাই মোটামুটি কামলা দেই। প্রত্যেকের জন্য একটি/দুটি আইটেম রান্নার দায়িত্ব ছিলো। প্রায় ২৫জনের দাওয়াত। আইটেমও মাশাআল্লাহ ১০/১২টা। আমার দায়িত্বে ছিলো গরু মাংস। বছরখানেক থেকে রান্নার সাথে যু্ক্ত না। মা-বাবার সাথে থাকি। যা রান্না হয় তাই খাই। কোন চাওয়া-পাওয়া, অভিযোগ নেই। মাকে এসে বল্লাম ৪কিলো মাংস রান্না করতে হবে। ব্যস, মা-বাবা দুজন মিলেই রান্না করে ফেল্লেন( আমার কাছে রান্না করা খুবই সহজ একটি কাজ কিন্তু পেয়াজ কাটা সবচে বড় সমস্য। বিগত ১০/১২ বছর থেকে রান্না করি কিন্তু পেয়াজ কাটা আয়ত্বে আসে নাই)। সবাই জায়গামতো সবার নিজস্ব আইটেম নিয়ে হাজির। প্রথমেই সেমাই তৈরী করা হলো। ঈদের ৪দিন পর ঈদের সেমাই/:)। তারপর নামায পড়ে মেইন খাবার। এতোগুলো আইটেম খাওয়া সম্ভব না। আর সবাই যেহেতু এখন ইনকাম করে তাই আগের মতো টানতে পারে না। আমি সালাদের উপর দিয়েই স্টীম-রোলার চালালাম।

বিভিন্ন অযুহাতে স্কুলগুলো এতো বেশি বন্ধ থাকে। সামারের সময় ৬ সপ্তাহ বন্ধ, তারপর শরতের সময় ২ সপ্তাহ, ক্রিসমাস উপলক্ষে ৩ সপ্তাহ। মার্চে মনে হয় কি উপলক্ষে আরও ২ সপ্তাহ বন্ধ। শনি-রবি তো আছেই। তারপর বিভিন্ন সরকারি ছুটি। যাদের বাসায় স্কুল পড়ুয়ারা আছে তারাই শুধুমাত্র স্কুল বন্ধের আরামটা হাড়ে হাড়ে টের পায় :((

কামলা জীবনেও খুব একটা শান্তিতে নাই। সবাই মোটামুটি ভয়ের উপরই আছি। বিভিন্ন কোম্পানি কামলা ছাটাই শুরু করে দিয়েছে। দেশ থেকে বন্ধু আসতেছে। ইচ্ছে না থাকা স্বত্বেও অফিস কামাই দিতে হবে। মোটামুটি চিপার মধ্যেই দিনযাপন :|
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:১৬
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×