আমার বাড়ী কলকাতায়। কর্মসুত্রে থাকি ব্যাঙ্গালোরে। অন্য সব বাঙালী হিন্দুদের মতই আমিও ভেবেছিলাম যে শারদ উৎসবে এই পরবাস থেকে সাময়িক মুক্তি নিয়ে বাংলা মায়ের আঁচলে স্হান নেব। কিন্তু বিধি যে আমার জন্য অন্য রকম পরিকল্পনা করেছেন তা কী আর তখন জানতাম? এবার পুজায় আর বাড়ী যাওয়া হয়নি। ছুটি পেয়েও তা বাতিল হল নতুন কাজ আসার জন্য। বাধ্য হয়ে টিকিট বাতিল করতে হল।
কাল আমাদের ব্যাঙ্গালোরে আয়ুধা পুজার জন্য ছুটি। এটা এখানকার খুব বড় উৎসব।স্হানীয় কন্নড় ভাষায় আয়ুধা মানে অস্ত্র। আগে দক্ষিনের রাজারা নবরাত্রির শেষে এই পূজা করে যুদ্ধে যেতেন। এখন প্রতি স্হানীয় অফিসে এই পূজা হয়। তবে অস্ত্র নয়, যন্ত্রপাতি ও কম্পি্উটারের জন্য। অস্ত্র আর কম্পি্উটারের মিলটা আজও খুঁজে পাইনি।
স্হানীয় বাঙালীদের মাত্র কয়েকজনকেই আমি জানি। যাদের জিজ্ঞাসা করছি তারাই বলছেন তারা বাড়ী গেছেন কলকাতা, খড়গপুর, বাঁকুড়া ইত্যাদি। আমার ভ্রমনসঙ্গী প্রফেসর মল্লিক আগের সপ্তাহেই তার দেশের বাড়ী পশ্চিমবঙ্গের অশোকগড়ে গেছেন। তাই একা একা মাছি মারব ভেবেছিলাম কাল। পরে ভাবলাম অন্ততঃ এখানকার পুজাগুলো দেখে নিই। কাল সকাল থেকে বেরিয়ে পড়ব এখানকার নানা দূর্গাপূজা দেখতে। প্রবাসী বাঙালী সমিতি আয়োজিত দুর্গাপুজা হয় আলসুর বলে একটা জায়গায়। এছাড়া অন্য অনেক জায়গাতেও বাঙালীরা দুর্গাপুজা করেন যেমন ইয়ালঙ্কা, কোরামঙ্গলা, জয়মহল ইত্যাদি। কাল সকাল সকাল ক্যামেরা নিয়ে একাই বেরোবো। কাল মায়ের দর্শন করব, বাঙালী খাবার খাবো পূজার স্টলগুলোতে, মেলার ও মায়ের ছবি তুলব, আর ধনুচী নাচ দেখব।
সব ব্লগার বন্ধুকে জানাই শারদ শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৪