ঈদের এই কয়েকদিন ছুটিটা একটু ভালই কাটলো। সারাদিন বাসাতেই ছিলাম। আবার কাল থেকে অফিস। আবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাওয়া আর রাতে বাসায় ফেরা। ওহ! কিন্তু কি আর করা!
একটা জিনিস ভালো লেগেছে, এই কয়েকদিন কখনই ইলেকট্রিসিটি যাইনি। বেশ আরামেই ছিলাম। এটা কি সরকারের সাফল্য নাকি অফিস আদালত সব বন্ধ ছিল এই জন্য? যাই হোক সেটা জেনে আমার লাভ নেই। ইলেকট্রিসিটি রেগুলার পেয়েছি এতেই খুশি। কিন্তু বিকেল থেকে মেজাজটা একটু চড়ে গেল আমার।
দোকানে গিয়ে শুনি সিগারেট নেই, সাপ্লাই বন্ধ। বাজ মাথায় পড়লো। আমার পছন্দের ব্রান্ডের সিগারেট নেই। অন্য সিগারেট আছে। এটা কি করে সম্ভব? দোকান থেকে দোকানে ছুটোছুটি করেও পেলাম না। সিগারেট না পেয়ে দোকানীদের দুদন্ড কথা শুনতেও ছাড়িনি। ষ্টক করে রাখতে পারে না। যত্তোসব.....
কিন্তু তারপরেও তো সিগারেট চাই-ই। হাঁটা দিলাম। যদিও আমার আবাস শহর থেকে একটু পেরিফেরির দিকে। তাই দেখি সামনের দিকে কিছু পাওয়া যায় কিনা। অবশেষে অনেক দুরে গিয়ে একটা দোকানে পেলাম। বেচারা বোচকার নিচ থেকে একটা ভচকানো সোনালী প্যাকেট বের করে আনলো। ভাবটা এমন যেন অবৈধ কোন মাল আমার কাছে বেচছে। তাও আবার দাম শুনে আমার তো মেজাজ আরো চড়ে গেলো। একেকটার দাম সাড়ে পাঁচ টাকা।
কি আর করা! অগত্যা ওটাই নিলাম। দোকানীকে ধন্যবাদ দেয়ার বদলে সিগারেট কোম্পানীর গুষ্টি ধুলাম কিছুক্ষণ। একটা সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে পারে না। কি করে চলবে এই দেশ? পাবলিক ডিমান্ড বোঝেনা।