somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেহেদি রাঙ্গা হাতে

০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

" আফা , আম্মায় আমারে চুড়ি আর ফিতা কিন্না দিব কইসে,আফনি একটু আইন্না দেন না , আম্মায়তো ব্যস্ত ! " চাঁদ রাতের কোন plan থাকে না সাধারনত, তাও যেন একটু market এ যেতে হ্য়। রোযার সময়টা কেনাকাটা শেয হলেও মনে হয় কি যেন একটা বাকি রয়ে গেছে। বিশেষ করে বুয়া আর ছোট বোনের জন্য ! বিলকিস বুয়া ঈদের সাজটা সুন্দর হবেনা, তা কি করে হয় ! এবার আমার ছোটবোন , ঈদের latest fasion এর খবর তার চেয়ে ভালো কেউ রাখে না। তার ধারনা চাঁদ রাতে দোকানীরা নতুন কিছু রাখবেন, তার সেটা কিনতেই হবে। বাড়ির সবার ছোট, তার আবদার রক্ষা করা হয় সবচেয়ে বেশী। ছুটলাম দু'বোন ইফতারটা সেরেই। সংগে আমার বাবা। এই ভদ্রলোক আমাদের আগেই গাড়ীতে বসা। বল্লেন " ট্রাফিক জ্যাম আজকে যা হবে না , তোদের আরো আগে বেড়িয়ে পরা উচিত ছিল"। বল্লাম "ঢাকার অনেক মানুষইতো গ্রামে ঈদ করতে চলে গেছে ,তারপরও ভিড় ?"

বাবার কথাই সত্যি হ্য়। ঢাকার যানজট পেরিয়ে , shopping করে বাড়ি ফেরা সেই রাত বারোটায়।ঘরে ঢুকতেই আম্মার বকা "তোর বাবা মেয়েদের একদম কিছুই বলে না, আমাকে একটু help করবে মেয়েরা , আর সেকিনা তাদের নিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছেন! লেবু আনতে বলেছিলাম , এনেছিস ? " এই যাহ্‌ , কাঁচা বাজারেইতো যাওয়া হয়নি। আম্মা কোন কথা না বলে সোজা kitchen এ। Sorry মা !
এবার TV room এ বোনরা সব গোল হয়ে বসে মেহেদি লাগানোর পালা। কার design কত বেশী সুন্দর হবে তার একটা প্রতিযোগীতা চলে।পাশের বাড়ির কেয়া ভাবী খুব ভালো আঁকেন, চাঁদ রাতে উনি আমাদের বাড়ির বিশেষ অতিথি। কিন্তু আম্মার হাতে মেহেদি প্রতিবার আমি লাগাই। দু'জনে তখন টুকটাক গল্প করতে ভালোলাগে আমার। তার হাতে মেহেদির রং খুব গাঢ় হয়।
TV দেখা হয় সবাই মিলে। প্রায় মনে হয় আমাদের ছোটবেলার সেই BTV র ঈদের program অনেক বেশী ভালো ছিল! এখন আর তেমন নেই। তাও সবার সংগে বসে সময়টা খুব ভালো কাটে। তবে ভাইয়ারা সব উৎপাত শুরু করে দেয়। ওদের পান্জাবী iron করে দিতে হবে তখুনি।একজন ঘড়ি খুঁজে পাচ্ছে না, অন্যজনের ফোনের charger টা যেন কোথায় ....( ঈদের সকালে special text message পাওয়ার আশায়!) আরও কতকি ! আসলে কাল ভোর ৬ টায় বাবার বকা খাওয়ার দৃশ্যটা ভেবে ওদের জন্য একটু মায়া হয়! কাজ শেষ করে কখন যে রাত দু'টো বেজে যায়, ঢ়ের পাই না। সবাই যে যার মত ঘুমিয়ে পরে।জেগে থাকে শুধু একজন, যার রান্নার ঘ্রানে সারা বাড়ি মৌ মৌ করে।উনি আমার মা। ঈদের সকালে যাঁর মেহেদি রাঙ্গা হাতে পরিবেশিত হবে সবার পছন্দের খাবার।


সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৩৮
২৬টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×