আকাশ সংষ্কৃতি আমরা রোধ করতে পারবো কিনা জানি না, তবে হিন্দি চ্যানেল কে আমদের কড়া ভাবে ‘না’ বলতেই হবে--বিশেষ করে ঘরে যদি বাচ্চা থাকে। যে বাচ্চা আছে তার খেলনার জগৎ নিয়ে, তার কল্পনার জগৎ নিয়ে, তাকে আপনি কিছুতেই এই স্থুলতার রাজত্বে এনে ফেলতে পারেন না।
কয়েক বছর আগে সনি চ্যনেলে একটা শো হতো- বাচ্চাদের নাচের অনুষ্ঠান, বাচ্চাদের এক একটা গ্রুপ আসতো, আর নাচত। কি নাচ-?বলিউডি ফ্লিমের নাচ। তাদের পোষাক, নাচের মুদ্রা সবই বয়স্কদের মতো। বাচ্চারা থাকবে বাচ্চাদের মতো, তার শৈশবটা আমি আমার পারভারশন দিয়ে দুষিত করতে পারি? চ্যনেলে বিচরনের সময় আমি দেখতে পেলেই স্কিপ করে অন্য চ্যনেলে চলে যেতাম। ভাবতাম যাক আমরা অন্ততঃ ভাল আছি।
কিন্ত গত কয়েক মাস ধরে একুশে টিভিতে ধুম তানা নানা নামে যে প্রোগাম টা চলছে- এটা সনির সেই প্রোগামের আইডিয়া থেকে উৎসারিত, কোন সন্দেহ নাই। এত বিভৎস শো বাচ্চাদের নিয়ে কিভাবে হতে পারে?
নাচ কি শিল্পের সুক্ষতা, আর মননের অনুশীলন নাকি মনোরঞ্জনের তালিম? এটা কি ধরনের নাচ,বাচ্চারা এই নাচের মধ্যে দিয়ে শিল্পের সুক্ষতা রপ্ত করবে, নাকি মনোরঞ্জনের তালিম নেবে? অথচ কেনা জানে সুস্থ কিছু শেখার সেরা সময়ই হলো এই শৈশব।
বাবা-মায়েরা প্লিজ-- যতদিন বাচ্চা আরও বড় না হচ্ছে-এই আত্মত্যাগ টুকু করেন, নির্মম ভাবে হিন্দি চ্যনেল গুলাকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন।পারলে টিভি কেও। তার বদলে বাচ্চাকে বই পড়তে দেন, চেষ্টা করেন কমিকস এ্যভয়েড করতে।
বিশেষজ্ঞদের ধারনা চোখের সামনে কোন কিছুর ভিজ্যুয়ালাইজেশন (টেলিভিশনের দৃশ্যপট/ কমিকস) বাচ্চাদের ইমাজিন করার ক্ষমতাকে ব্যহত করে। সে যখন বই পড়ে গল্পটার চিত্রকল্প তার কল্পনার রাজ্যে তৈরী করে নেয়, কিন্ত মুভির গল্প তাকে এই কাজ থেকে বিরত রাখে- ইমাজিসনের ক্ষমতার কোন চর্চাই আর হয় না।