বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা যতই থাকুক, সফলতা যে নেই একেবারে তা বলা যাবে না। রাজনৈতিক সরকার যেখানে কোন আইন করতে হিমসিম খায় সেখানে এই সরকার দ্রুত অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আইনের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংস্কার ইত্যাদি করে দেখিয়েছে যে, তারাও পারে কোন বাধা বিপত্তি ছাড়া। এই সময়ের মধ্যে দেশে কোন (জাতীয়ভাবে দেশব্যাপী) হরতাল হয়নি। হরতালের নামে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়নি, দেশের অর্থনীতির গতিশীলতা স্থবির হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের চুপ থাকতে দেখা গেছে। তারা রাজনীতির মাঠ গরম বক্তৃতা দিতে না পেরে বেশ বেফাস কথা বলেছে।
দেশের সাধারণ মানুষ যতই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিই হোক না কেন, এখনও তারা বেঁচে আছে। বাজারে গেলে দেখা যায় জিনিসের দাম যাই থাকুক, তার মুখ কালো করে হলেও সেটি কিনে বাড়ি ফিরেছে। রাজনীতির খিস্তি খেউর শুনতে পায় নি। আমাদের সরকার ক্ষমতায় থাকলে ৮ টা কেজি চাউল দেশের জনগণকে দিতাম, জিনিসপত্রের দাম এতো বৃদ্ধি পেত না ইত্যাদি ধরণের কথা শুনলেও এতে মানুষের তেমন উৎসাহ দেখা যায়নি। কারণ মানুষ জানে তাদের অবস্থার কোন পরিবর্তন কেউ করে দিবে না। তার চেয়ে যেমন চলছে চলুক।
আমি বর্তমান রাজনৈতিক নেতাদের বাগাড়ম্বর বক্তৃতায় বেশ হতাশ। সাম্প্রতিক সময়ের নেতাদের বক্তৃতা বিবৃতিতে এটাই মনে হচ্ছে যে, দেশ আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। যেখানে মানুষরে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে নানা ধরণের অসহিষ্ণু রাজনৈতিক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠেলে দেয়া হবে চরম নিরাপত্তহীনতায়। অর্থাৎ যেই লাউ সেই কদু অবস্থা।