somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাটের বেদন: কখন আসবে দমকল?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সোনার বাংলা কখনো ছিল কি না সন্দেহ, কিন্তু এমন দিন ছিল যখন সোনার বাংলার স্বপ্ন জাগ্রত ছিল। আর ছিল পাটের গরব। সেটা ষাট দশকের কথা। পাটের সোনালি আঁশকে ঘিরে সোনার বাংলার স্বপ্ন উড়াল মেলেছে কেবল। জাতীয়তাবাদ তথা জাতীয় উন্নতির খুঁটি হয়ে উঠেছিল পাট ও পাটকল। সেসব দিন কর্পূরের মতো উবে গেছে। পাট এখন এক জাতীয় ট্র্যাজেডির নাম। রাষ্ট্রীয় লুণ্ঠন আর ধ্বংসাÍক কায়কারবারের এত বড় শিকার বোধ হয় অর্থনীতির আর কোনো খাতে হয়নি। পাটের বেদন তাই জাতীয় বেদন। পাটের কাহিনী তাই আমাদের দুর্নীতি, অবয় ও আÍঘাতী খাসলতের নিরেট কাহিনী। এবং কাহিনীটি চাপা দেওয়া হয়েছিল। তারপরও বারবারই পাটশ্রমিকদের ক্ষোভের আগুন আর হাহাকারের অশ্র“তে সেই কাহিনী সরব হয়েছে। আবারও খুলনার ২৭ শ্রমিকনেতা গায়ে কেরোসিন ঢেলে মরতে গিয়ে পাট খাতের শ্রমিকদের বেশুমার দুর্দশার দিকে দৃষ্টি কেড়েছেন। ফাঁস করে দিয়েছেন পাটকল নিয়ে চলতে থাকা অনাচারের গুমর।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক জন্মপ্রক্রিয়া যদি অর্থনীতির কোনো একক খাতের কাছে ঋণী থাকে, তবে তা পাট ও পাটকল। পাটের বিকাশ আর বাংলার বিকাশ একসময় সমার্থক ছিল। গত শতাব্দীর প্রথমদিকের কথা। কি রাজনীতি, কি অর্থনীতি, কোথাও পূর্ববাংলার কৃষকদের কোনো ঠাঁই নাই। তা হলে কী হবে, ইতিহাস তাদের জন্য একটা সুযোগ হাজির করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বিশ্ববাজারে পাটের দাম অনেক বাড়ে এবং কোরিয়ার যুদ্ধ পর্যন্ত একনাগাড়ে তা বহাল থাকে। এর পূর্ণ সুযোগ নেয় বাংলার পাটচাষিরা। পাটের ফলন চাষির সামর্থ্য বাড়ায়। পাটের বাণিজ্য গ্রামগঞ্জের একটা ব্যাপারিগোষ্ঠীকে সবল করে। এই নতুন গ্রামীণ চাষি-জোতদার আর ব্যবসায়ীরা দুটি ক্ষেত্রে তাদের নতুন অবস্থানকে কাজে লাগায়: শিক্ষা ও রাজনীতি। কৃষকের সন্তান প্রথমবারের মতো আধুনিক শিক্ষা নিতে যায় মফস্বলে, সেখান থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায়। তালে তালে ঢাকা প্রাদেশিক রাজধানী হওয়ায় আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পাওয়ায় তাদের বিকাশ হয় অপ্রতিরোধ্য। তারা সরাসরি মাথার ওপর চেপে বসা জমিদারদের রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ জানায়। এরা কত বলবান ছিল তার প্রমাণ শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টির উত্থান। এই উদিত রাজনৈতিক শক্তি তাঁর নেতৃত্বে ১৯৩৫ সালের নির্বাচনে হিন্দু জমিদার আর মুসলিম নবাব-নাইটদের হটিয়ে প্রাদেশিক সরকার পর্যন্ত গঠন করে ফেলে। তাঁর হাত ধরেই পূর্ববাংলা রাজনৈতিকভাবে একদিকে কংগ্রেস আরেকদিকে মুসলিম লীগÑএই দুই অভিজাত বৃত্তের বাইরে এসে দাঁড়ায়। পূর্ববাংলায় আধুনিক গণতান্ত্রিক রাজনীতির সূচনালগ্নও সেটি। অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে পাটের ভালো ফলন আর বর্ধিত দাম এই জয়যাত্রা সম্ভব করেছিল।

পরের কালে পাট রপ্তানির হিস্যা নিয়ে শেরেবাংলার উত্তরসূরিদের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানি পুঁজিপতিদের বিরোধই ঠিক করে দেয় পাকিস্তানের ভাগ্য। পূর্ব-পশ্চিমের এই বৈষম্য থেকেই স্লোগান ওঠে, ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন?’। পাটচাষিদের জেদ আর পাটশ্রমিকদের লড়াকু মনোভাবের তাকদ পূর্ববাংলার মধ্যবিত্ত সমাজের স্বাধিকার আন্দোলনকে গণভিত দেয়। ঢাকার আদমজী-বাওয়ানি আর খুলনা-যশোরের শ্রমিক আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কৃষক-সন্তানেরাই ছিল সে সময়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বর্শাফলক। বাঙালি জাতীয়তাবাদের নির্মাণ, সোনার বাংলার মিথ তৈরির শিরোপা আর সমৃদ্ধির সোনালি বলয় তাই পাটচাষি ও পাটশ্রমিকের মস্তকেই শোভা পাওয়ার কথা। কিন্তু যা হওয়ার কথা এই পোড়ার দেশে তার বিপরীতটাই যে ঘটে!

একাত্তরের পর আর সবকিছুর মতো পাট খাতেও শুরু হয় অধঃপতন। দেশভাগের পর পূর্ববাংলায় বেশ কটি পাটকল বসে। আদমজী এর প্রধানতম। তখন আদমজী কেবল জাতীয় শিল্পের মেরুদণ্ডই ছিল না, তা হয়ে উঠেছিল আইয়ুব-ইয়াহিয়াশাহি-বিরোধী আন্দোলনেরও ঘাঁটি। পাটশ্রমিকদের এই অবদান কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ তো দূরের কথা, বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো তাদের সঙ্গে। স্বাধীন বাংলাদেশ অনেকেই হঠাৎ রাজা বনে গেল আর দিনকে দিন রুগ্ণ ও আহত হলো পাট চাষ ও পাটশিল্প। পাটের সেই মরণযাত্রার চিত্রটি এ রকম:

১৯৭২ সালে ৬৯টি পাটকলে শ্রমিক ছিল এক লাখ ৬২ হাজার স্থায়ী এবং বদলি ৮০ হাজার। ১৯৮২ সালে এর ৩৫টি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলে স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় দেড় লাখে। ১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের ৩০ হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পর স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৫ হাজার। বিজেএমসি ৩২ হাজার বললেও বর্তমানে ওই সংখ্যা ২৬ হাজারে ঠেকেছে। ১৯৭২-এ উৎপাদিত হতো প্রায় এক কোটি বেল পাট, এখন হয় ৪০ থেকে ৫০ লাখ বেল। যে দেশে একদা বৈশ্বিক পাট রপ্তানির ৭০ শতাংশ উৎপাদিত হতো, সে দেশে এখন ১০ শতাংশও হয় কি না সন্দেহ। পাটশিল্পের এই রুগ্ণতা শুরু হয় সত্তরের দশকে। মৃত্যুযাত্রা দেখা যায় আশির দশকের সংস্কার কর্মসূচির সুবাদে। বিশ্বব্যাংক ১৯৯২ সালে ‘দ্য জুট ম্যানুফ্যাকচারিং স্টাডি’ এবং ‘বাংলাদেশ রিস্ট্রাকচারিং অপশনস ফর দ্য জুট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক দুটি সমীা চালিয়ে তাদেরই অর্থায়নে পাট খাত সমন্বয় ঋণ কর্মসূচি (জেএসএসি) হাতে নেয়। এই কর্মসূচি মোতাবেক ১৯৯৪ সালেই বাংলাদেশকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার কথা। কিন্তু মাঝপথেই প্রতিশ্র“ত অর্থ আসা বন্ধ হয় এবং পাটশিল্পেরও মৃত্যুঘণ্টা বাজে। বন্ধ হয়ে যায় এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজী। আদমজীর বন্ধ হওয়ার এক বছর পর এক শ্রমিক সংবাদপত্রে বলেছিল, যেদিন কারখানার ভেঁপু বন্ধ হলো সেদিনই আমাদের ভাগ্যের কবর হলো।

আদমজী বন্ধের বছরই ঘোষণা করা হয় জাতীয় পাটনীতি। বলা হয়, মোট রপ্তানি আয়ের ৮ থেকে ১২ শতাংশ আসছে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৩-০৪ সালে এই হার চার শতাংশে নামে। মনে করিয়ে দিই, ১৯৭২-৭৩ সালে রপ্তানি-আয়ের ৯০ শতাংশই আসত এই খাত থেকে। যে দেশের আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূল এবং চাষিরাও বিশেষভাবে দ, যে দেশের সেরা জাতের পাটের চাহিদাও বিশ্বে বর্ধিষ্ণু, সেখানে এমন হওয়ার কারণ কী?

বিপরীতে, ২০০৫ সালে ঘোষিত ভারতের পাটনীতিতে রপ্তানি-আয় এক হাজার কোটি রুপি থেকে ২০১০ সালে পাঁচ হাজার কোটি রুপিতে তোলার ল্য ঠিক করা হয়। যে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে পাটকল বন্ধ এবং পাটচাষিদের ভর্তুকি রদ করার কথা বলে, তারাই আবার ভারতকে পাট খাত চাঙা করায় ঋণ দেয়। ভারত ৫১৪ কোটি রুপি বকেয়া ঋণ এবং সুদ মওকুফ করে, এর পাশাপাশি ৩০২ কোটি রুপি ভর্তুকিও অব্যাহত রাখে। আমাদের শাসকদের আর তাদের শাসকদের এই ভিন্ন আচরণের মধ্যেই বাংলাদেশের শিল্প ধ্বংস আর ভারতের শিল্প-বিকাশের রহস্য নিহিত বললে ভুল বলা হয় কি? এমনও উদহারণ রয়েছে, পাটজাত পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে বিজেএমসি দর দিয়েছে ৪০ ডলার আর ভারত দিয়েছে ৩৯ ডলার। পরে বাংলাদেশের কাছ থেকে ৩৫ ডলারে কিনে, সেই পাট ৩৯ ডলারে বিক্রি করে কইয়ের তেলে কই ভাজা হয়েছে। বিশ্ববাজারে কাঁচা পাট রপ্তানিতে ভারত বাংলাদেশকে পরাস্ত করেছে বাংলাদেশেরই পাট কিনে বিক্রি করার মাধ্যমে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সচিব, পাট মন্ত্রণালয়ের সাবেক পরিচালক মো. সিরাজুল হক খান খেদের সঙ্গেই বলেন, ‘ভারতকে হটিয়ে বিশ্ববাজার দখলের ল্য ছিল আমাদের। এখন তারাই আমাদের হটাতে উদ্যত হয়েছে।’ কোন পথে কাদের কারণে তা হয়েছে, তা নিয়ে অজস্র তথ্য ও যুক্তি দেওয়া যায়। কিন্তু এখানে এতটুকুই বলা যথেষ্ট যে পাট খাতের দম বন্ধ করার জন্য দায়ী আমাদের শাসক-কর্মকর্তাদের সাগরসমান দুর্নীতি, অদতা ও স্বার্থপরতা। অথচ বিস্ময়, দুর্নীতি নিয়ে গাজির কিসসা চলল, কিন্তু অর্থনীতির একটি স্তম্ভকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অপরাধটি আলোচনাতেই এল না! আলোচনায় এল না, শিল্পবিরোধিতা আর রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনার ‘দুজনে দুজনার’ সম্পর্কটি। পাটের কাহিনী তাই বাংলাদেশের সার্বিক অবয়েরই কাহিনী।
সর্বদাই পাট সরকারের কুনজরে ছিল। বিজেএমসি সময়মতো পাট কেনার টাকা পায়নি। প্রথম আওয়ামী আমলে পাটকল সংষ্কারের জন্য মাত্র ১৭ কোটি টাকা যোগানো যায়নি। তারওপর দলীয় পাণ্ডারা জাতীয়করণের নামে কারখানাগুলোর বারোটা বাজায়। সরকারি নির্দেশে পাটের মৌসুমে বিজেএমসিকে পাট কেনা থেকে বিরত রাখা হয়, যাতে দলীয় ব্যাপারিরা একচেটিয়া ব্যবসা করতে পারে। কৃষক বাধ্য হয় কম দামে ফড়িয়াদের কাছে পাট বেচতে। সেই পাটই আবার সরকার কেনে চড়া দামে। এভাবে লাভের গুড় পিঁপড়ায় খাওয়ায় পাটচাষি ও পাটকল উভয়ই সর্বস্বান্ত হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এই ধারাই ঘটে চলেছে। আর পথে বসে লাখ লাখ পাটশ্রমিক। দেশের সুপার মলগুলো ঠিকই বিদ্যুৎ পায় কিন্তু পাটকলে পৌঁছতে পৌঁছতেই তার দম ফুরায়। সরকারি দলের লেজুড়-পাণ্ডবেরা শ্রমিকনেতা সেজেও কম খেয়োখেয়ি করেনি। কিন্তু সব দোষ শ্রমিকের ঘাড়ে চাপানো হক কথা নয়, সত্যভাষণ নয়। পাট মন্ত্রণালয়ের এক সমীক্ষা অনুযায়ী ২০০৬ সালে লোকসান হওয়া ৪২১ কোটি টাকার মধ্যে শ্রমিক আন্দোলনের দায় মাত্র ৩০ কোটি টাকা। অন্যদিকে পাট কিনতে দেরির তি ১৪০ কোটি টাকা এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটসহ বিবিধ অশ্রমিক কারণে লোকসানি ১৩০ কোটি টাকা। গত ৩৫ বছরে এ রকমটাই চলেছে। অথচ এর জন্য আজ অবধি কোনো মন্ত্রী, আমলা, রাজনীতিবিদদের শাস্তি হয়নি, মা চায়নি বিশ্বব্যাংকের রাশভারী আমলারা।

ক্ষমতা ও দণ্ড সব সময় নিম্নগামী। তাই যারা পাটের সর্বনাশ ঘটিয়ে গর্দান মোটা করে তারাই আবার সর্বসম্মতভাবে সবার পাপের শাস্তি শ্রমিকের ঘাড়ে চাপায়। যুগ যুগ ধরে অর্জিত শিল্পদ শ্রমিক সব ভুলে পরিণত হয় রিকশাওয়ালায়, শ্রমিকের স্ত্রী-কন্যারা চলে যায় আদিম পেশায়, সন্তানদের লেখাপড়ার পাট চুকে যায়। না খেয়ে মরে অনেকে। কিন্তু জানতে সাধ হয়, এই খাতের সম্ভাবনা, অর্জিত অভিজ্ঞতা, শ্রমিকের মেহনতের গরব, পাটের সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ঐতিহ্য; সব ভাসিয়ে দেওয়ার সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মাশুল কি এসবের হোতাদের শোধ করতে হবে না? অর্থনীতির এই সোনার হাঁসকে যারা গোষ্ঠীস্বার্থের আগুনে ভাজা ভাজা করে খেল, হবে না তাদের বিচার? এই অভিজ্ঞতা, এই দতা এই প্রাযুক্তিক জ্ঞান কি মতাবানদের হামবড়া আর বিশ্বব্যাংকের কানপড়ায় অপচয়ের খাতে বিলীন হবে? নাকি অনন্ত দায়মুক্তির এই দেশে, সব অপরাধ জনগণের, খেটে খাওয়া মানুষের। তাদের ছাড়া আর সবারই থাকবে দেশের সম্পদ ও স্বাধীনতা উপভোগের অধিকার সবার, কেবল শ্রমিক হবে বঞ্চিত! একেই বলে মগের মুল্লুক। আমাদের ইতিহাস ও অর্থনীতিতে পাটশ্রমিক ও চাষীদের স্থান পিতৃতুল্য। তাই পাট ধ্বংস পিতৃঘাততুল্য অপরাধ।

তাই, কদিন আগে খুলনার ২৭ জন শ্রমিকনেতা যখন কাফনের কাপড় পরা শরীর কেরোসিনে ভিজিয়ে, সন্তানদের বুক চাপড়ানো কান্না সরিয়ে আত্মাহুতির আগুন জ্বালান, যখন ক্ষুধার্ত-নিঃস্ব শ্রমিকদের বাঁচাতে ব্যর্থ হয়ে নিজেদের পুড়িয়ে সবার অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করতে নামেন, তখন পাট খাতের শতবর্ষের বঞ্চনার ছাপই যেন তাঁদের চেহারায় ধরা পড়ে। ধরা পড়ে সত্যিকার শ্রমিকনেতার নৈতিক বল ও সৎ সংকল্প। আমাদের রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের কাছ থেকে শিখতে পারতেন নিষ্ঠার ব্যাকরণ, দেশপ্রেমের আচরণবিধি।

পুলিশ তাঁদের আটকিয়েছে। দমকল বাহিনী পানি ছিটিয়ে তাঁদের হাতের আগুন নিভিয়েছে, গায়ের কেরোসিনকে ধুইয়ে দাহিকাশক্তি নাশ করেছে। কিন্তু কে নেভাবে তাঁদের ক্ষুধার আগুন, তাঁদের প্রিয় পাটকল ধ্বংসের ফরিয়াদের জবাব দেবে কে? যে দুর্নীতির দাবানলে একটি জাতীয় শিল্পের অপমৃত্যু ঘটছে, তা নেভাবে কোন দমকল? কখন আসবে তারা?

১৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×