somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আইসিএলের হাতছানি: ব্যক্তিস্বার্থ যেখানে বড়: কিন্তু সেটাই যে সময়োপযোগী

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্যক্তিস্বার্থ বড় জাতীয় বা বৃহত্তর স্বার্থের চেয়ে ...
সাধু কথার ফাঁদে ফেলে উপরের বাক্যটিকে অনায়াসে নেতিবাচক হিসেবে আখ্যা দেয়া যায় খুব সহজে , কিন্তু সেটা হবে তাত্ত্বিক কথা। বাস্তবতার নিরিখে বর্তমান কলিযুগীয় অবস্তার প্রোপটে ঐ বাক্যটি খুবই ইতিবাচক। তা কেবল কোন বিশেষ েেত্র নয়, ব্যক্তি হতে সামাজিক, সাংসারিক, বানিজ্য, রাজনীতি সর্বেেত্রই তা আমার খুবই ভালভাবে প্রতীয়মান পাই। আর আমাদের মত হিংসার রাজনীতির দেশে তো স্বার্থ সর্বং জয়া ব্যাপার। ১/১১/২০০৭ এর পর তা বুঝতে বাকী থাকলেও বর্তমানে সাধারণ মানুষ তা খুবই বুঝতে পারছে।

না , রাজনীতি নিয়ে কিছু বলার মানসে এই লেখা লিখতে বসা নয়। সঙ্গত কারন বিদ্রোহী ক্রিকেটার্স এর বর্তমান বহুল আলোচিত ঘটনা নিয়ে। ক্রিকেট ভালবাসি বলেই এই বিষয়ে একটু লেখার ইচ্ছের হন্তারক হতে পারলাম না।

আইসিএল বা আইপিএল নিয়ে আমি খুব একটা বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে পারি নাই। আজও। তবে আইপিএল এর খেলা দেখে খুব উপভোগ করেছি। খেলা যদি উপভোগ্যর বিষয় হয় , তবে নিঃসন্দেহে ঐ প্রতিযোগীতা স্বার্থক।
এখন ভারত কেনো আইসিএল আর আইপিএল নামে দুটি আলাদা আয়োজন করে হুলুস্থুল কান্ড বাঁধাচ্ছে , সেটার মাঝে যেন মনে হয় ভারতের ব্যাপক স্বার্থ খুঁজে পাই। অঢেল বানিজ্য স্বার্থ তো স্পষ্ট দৃশ্যমান। সাথে ক্রিকেট জনপ্রিয় করণ। আর নেগেটিভ হিসেবে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের মাঝে জাতীয় স্বার্থ পরিত্যাগের মানসিকতার মাধ্যমে জাতীয় দলকে দুর্বল করার একটা পরো বিষয় দেখা যেতে পারে।

আমাদের বেশ ক’জন খেলোয়াড়রাও সেই আইসিএল এর আর্থিক লোভে লালায়িত হয়েছে, জাতীয় স্বার্থ ভুলেছে।
শুনেছি , আইসিএল মূলত আয়োজনের উদ্যগ নেয়া হয়েছিল অবসর প্রাপপ্ত খেলোয়াড়দের জন্য। সে হিসেবে বিষয়টা র্আও সমাদৃত হওয়াই উচিৎ। পুরাতন খেলোয়াড়দের দেখা যাবে খেলতে , খুবই উপভোগ্য হবে ক্রিকেট প্রেমিকদরে জন্য।

এখন কথা থাকে , খেলার জন্য কোন নির্দিষ্ট বয়সের সীমা নেই যে বয়সে অবসর নিতেই হবে। কেউ ৪০ বয়সেও খেলার সুযোগ পায় , কেউ ২০ বয়সেই ঝরে পরে। জাতীয় দলে খেলাটা কেবল বয়স দিয়ে হয়না, সেখানে ভাগ্য এবং ধারাবাহিক যোগ্যতাও লাগে।

আমাদের উদিয়মান খেলোয়াড়রা কেউই ধারাবাহিক পার্ফরমার নয়। সে েেত্র সাময়িক বিশাল অর্থ উপার্জনের হাতছানি লুফে নেয়া আমার মতে তেমন একটা অন্যায় নয়, যেহেতু আমাদের জাতীয় দলে সম্পূর্ণ নিরপেতাও পালিত হয় বলে মনে হয়না।

সে কারনে পাকিস্তানের নামী দামী খেলোয়াড় ইউসুখ ও পদত্যাগ করে আইসি এল এ খেলতে আসছে শুনলাম। জীবন মানেই রিস্ক। অবশ্য দেশপ্রেম বলে একটা কথাও আছে।

দেশপ্রেম এই জন্য বললাম, আইসি এল এ গমন কৃত ১৩ জন বাংলাদেশী খেলোয়াড়ের মধ্যে আফতাব এবং শাহরিয়ার নাফিস বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য বর্তমানে অনেকটাই আবশ্যক খেলোয়াড়।
তারা নিশ্চিত অনেকদিন খেলার সুযোগ পেত , যদি ধারাবাহিক খেলার সামর্থ্য ধরে রাখতে পারে। হয়তো তাদের কনফিডেন্স নেই।

কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় , আইসি এল এ বাংলাদেশ থেকে ঢাকা ওয়ারিওর্স নামে যে ১ ৩ জনের দল যোগ দিয়েছে, তারা কতটা আর ভাল খেলবে? বেশীদূর এগোবে বলে আশা করা উচিৎ হবেনা। অল্প কয়েকটা খেলাই না হয় খেলবে, তার জন্য ভবিষ্যত খেলোয়াড় জীবন কে অবসরে ভাসিয়ে দেয়ার সাহস কেনো করল তারা ক’জন?

বাশার এর কোন দোষ নেই। তার যা দেয়ার দেশকে সে মনে হয় দিয়ে ফেলেছে। বাকী রফিক, মঞ্জুরুল ইসলাম, শরীফ ও অনেক দিয়েছে দেশকে।
মোশারফ চান্স না পেতে পেতে হতাশ হয়েছে, জায়গা নেই ভেবেছে আরও স্পিনারের চাপে।
তাপস বৈশ্য আর কাপালি এত বার টানা হেঁচড়া র মধ্যে পড়েছে যে তারাও আসলে উদাসীন হওয়াটাই স্বাভাবিক।

মাহমুদুল করিম ও গোলাম মাবুদ বোধহয় জাতীয় দলে চান্স পাওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে ভীত।

ধীমান এর টাকার প্রয়োজন পারিবারিক কারনে পত্রিকায় পড়লাম।
বেশী প্রশ্ন উত্থিত হবার কথা বাকী তিনজন নাফিস, আফতাব আর ফরহাদ রেজার জন্য।

ফরহাদ দলে বিশেষ প্রয়োজনে থার্ড বার ফোর্থ সীমার হিসাবেই থাকে, তারও আশা হত হবার ই কথা।
নাফিস আর আফতারব এর বিষয় ঠিক বুঝতে পারছিনা। ....

ঐ সব বিচারে তাই সম্ভবত খুব বড় দোষ করেনি তারা। অবসর তো নিতেই পারে। তাইনা। এরা সব যে এক গরীব দেশের স্বর্ণ বিহীন সোনার ছেলেরা অত রিস্ক কিভাবে নেবে, যেখানে সহজ লোভের নিশ্চিত হাতছানি।


লুকোচুরি গুলো খুবই দৃষ্টিকটু হয়ে গেলো অবশ্য। তাদের জন্য নানা শাস্তির কথা আসঠে । এত নাটক কেনো, বুঝলাম না। আবার অবাধে তারা ভারতে ও চলে যাচ্ছে। তার মানে আইনী সমস্যা নেই , যদি অবসর নেয়। বিসিব হম্বিতম্বি করলে তাই সেটা বৃথা আস্ফালনই মনে হচ্চে।

তবে দেশের ভবিষ্যত জাতীয় দলের জন্য আরও সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা, আর্থিক উন্নতি এবং সুষ্ঠ পরিচর্চা বাড়ানোর জন্য এই নিরব অবসর কিছুটা আলোড়ন তুলতে একটা পজিটিভ দিক ও খুঁজে পাওয়া যাবে।


শেষমেষ যাই বলি, আমি ঢাকা ওয়ারিওর্স এর সাফল্য কামনা করি। যদিও আশা খুব একটা নেই যে তারা আইসিএল এ ভাল করবে। সে ক্ষেত্রে তাদের ক্রিকেট জীবনই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কেউ ই আর ডাকবেনা, না দেশে না বিদেশে।
একবােেরই সব উপার্জন করে ফেলবে ভেবে যদি তারা িিগয়েই থাকে সে ব্যক্তিস্বাথী খুব একটা বেমানান না, যুগোপযোগীই হয়েছে মনে হয়। ..

দেশের যে ছেলেঠি লেখাপড়ার সর্ব ক্ষেত্রে প্রথম হওযার পরও দেশের জন্য কাজ না করে, দেশের সেবা না দিয়ে আমেরিকা, কানাডা বা অষ্ট্রেলিয়াতে পারি জমায় তার টা যদি কোন ক্রমেই অন্যায় না হয়, ক্রিকাটেরদের এই উদ্যগ ও কোন ক্রমেই অন্যায় নয়। তবে লুকোচুরি সর্বদাই পরিত্যাজ্য।
স্পষ্ট স্বচ্ছ থাকা উচিৎ কৃত কর্মে। যেটাও আসলে সমসাময়িক বাস্তব নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৮
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

**অপূরণীয় যোগাযোগ*

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ২৮ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:১৯

তাদের সম্পর্কটা শুরু হয়েছিল ৬ বছর আগে, হঠাৎ করেই। প্রথমে ছিল শুধু বন্ধুত্ব, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা গভীর হয়ে উঠেছিল। সে ডিভোর্সি ছিল, এবং তার জীবনের অনেক কষ্ট ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার যুদ্ধ কতদিন চলবে?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার আগে মহাবিপদে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷ এক বছর ধরে ইসরায়েলিরা তার পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন৷ আন্দোলনে তার সরকারের অবস্থা টালমাটাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাঙ দমনের নেপথ্যে এবং রাষ্ট্রীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭


ব্যাঙ দমনের বাংলায় একটা ইতিহাস আছে,খুবই মর্মান্তিক। বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানির কোন সার কেনা হতো না। প্রাচীন সনাতনী কৃষি পদ্ধতিতেই ভাটি বাংলা ফসল উৎপাদন করতো। পশ্চিমবঙ্গ কালক্রমে ব্রিটিশদের তথা এ অঞ্চলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×