কিন্তু তারা কখনও এক টেবিলে বসেননি। কেন বসেননি তা আমরা কেউ জানি না। বসলে কি কোন ক্ষতি হত ? কী ক্ষতি হত ? আমরা সবাই জানি, ক্ষতি তো হতই না বরং বিভিন্ন সময়ে রাজপথে যে রক্তের বন্যা বয়ে গেছে তা ঠেকানো যেত। হরতাল মিটিং মিছিলের নামে যে জ্বালাও পোড়াও হয়েছে তা ঠেকানো যেত। মানুষের জান মালের ক্ষতি ঠেকনো যেত। লগি বৈঠার দাপট ঠেকানো যেত। বাস ট্রাক ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা থামানো যেত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা কখনও এক টেবিলে বসেননি। এটার নাম নাকি রাজনীতি। ওনারা এক টেবিলে বসলেই নাকি রাজনীতির সকল রহস্য শেষ হয়ে যাবে।
আজিব ব্যাপার। তাদের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ হয় না তা কিন্তু নয়। জাতীয় সংসদে একই সাথে দুজনে বহুবার উপস্থিত হয়েছেন। মুখোমুখি বসেছেন। সেনাকুঞ্জে দুজনে একসাথে উপস্থিত হয়েছেন। কিন্তু কথা বলেননি। ভাণ করেছেন কেউ কাউকে চেনেন না। কেন চেনেন না ? চিনলেই রাজনীতি থাকবে না। রাজনীতি না থাকলে তারা কোথায় থাকবেন ?
তাদের এক টেবিলে না বসার কারণে কত লোকের ভাগ্য ফিরে গেল। মিছিলে লোক সাপ্লাই দিয়ে কত লোক টেন্ডার বাগিয়ে নিল। দাঙ্গা হাঙ্গামা ফ্যাসাদ করে রাস্তা থেকে প্রাসাদে উঠে গেল। কিন্তু তাদের বোধোদয় হল না। তারা আপসহীন নেত্রী হয়েই থাকলেন।
তারা যদি এক চেয়ারে বসতে পারেন, তবে এক টেবিলে বসতে আপত্তি থাকা উচিত নয়। তারা এক টেবিলে বসলে দেশ থেকে দাঙ্গা হাঙ্গামা বিদায় নেবে। তারা এক টেবিলে বসলে দেশ থেকে দুঃখ কষ্ট চলে যাবে। তারা এক টেবিলে বসলে কোটি কোটি মানুষের ভাগ্যের দুয়ার খুলে যাবে।
হে দয়াময়, এই রমজান মাসে দোয়া করছি, তারা যেন এক টেবিলে বসে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৭