কিছু কিছু মানুষ আছে যারা বিভিন্ন জায়গায় কিছু কথা দ্বারা নিজেদের অতিরিক্ত স্মার্টনেস প্রমান করার চেষ্টা করেন। যেমন: আমি যে গাড়ীতে অফিসে যাতায়াত করি। সেই গাড়ীতে আমার চেয়ে বয়সে জুনিয়ার একটা ছেলেও যাওয়াআসা করে। সে সব সময় সব কিছু বিরুদ্ধে। রাস্তায় জাম হলে এর দোষ, এইটা ওর দোষ, তার মুখে ভাল কোন কথা কখনই শুনলাম না। ওমুক দলের ওমুক লোক খারাপ, ওমুক ভালো না ইত্যাদি ইত্যাদি।
তবে তার কথায় একটা বিশেষ দলের প্রতি অনুরাগ দেখা যায়। সেটা থাকতেই পারে। কিন্তু তা সে কখনই স্বীকার করে না। যেন নিরপেক্ষ থাকাটাই খুব সন্মানের দাবী রাখে। কিন্তু আমি ইচ্ছা করেই অন্য বিপরীত দলের কথা তুলি, পত্রিকার বিভিন্ন খবর পড়ে। বিভিন্ন খবর নিয়ে আলাপ করি। তখন তার চিল্লাচিল্লী শুরু হয়ে যায়। এই ছেলেটার একটা বিশেষ সমস্যা যে সে সবকিছুতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তখন মুখ দিয়ে অশ্রাব্য গালি বের হয়ে আসে। তার মতে গালাগালি করতে পারলেই স্মার্টনেস বাড়বে। সে সবসময় মনে করে, সেই সবচেয়ে এবং সবকিছু বেশী জানে। একটা সবজান্তা শমসের। কিন্তু তাকে দেখে তা মনে হয় না। তার বয়স খুব বেশী হলে ২৭/২৮ হবে। চাকুরীর বয়সও প্রায় ২/৩ বছর হবে।
রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে মতের অমিল হবেই। কিন্তু তার হ্যাবিট যেন নিজের মত অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়া। সে নিজেকে অতিরিক্ত রাজনৈতিক সচেতন মনে করে। কিন্তু তার মত ২৭/২৮ বছরের একটা ছেলে কতটুকুই বা দেখেছে। আসলে জীবনের প্রত্যেকটা স্টেজেই শেখার বিষয়।
কথাবার্তায় নম্রতাটাই স্মার্টনেস প্রমান করে। যুক্তি সহকারে ধীরে, নীচু স্বরের কথোপকোথনই বুদ্ধির পরিচয় দেয়। অযথা চিৎকারে যতই সত্য কথা বলা হোক না কেন, সেটা শুনতে ভাল লাগে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:০৬