পৃতিবীর প্রতিটা মানুষ বিশ্রাম নেয় নিজের তাগিদে। সে ক্ষুধা লাগলে খায়, বাথরুম পেলে হাগে, ঘুম পেলে ঘুমায়।
দুনিয়াতে একমাত্র আবদুল জলিলকে পাওয়া গেল, তিনি বিশ্রাম নেবেন না কুস্তি করবেন, সেটা তার নেত্রী ঠিক করে দ্যায়। তার নিজের কোন বোধ নাই।
কিছুদিন আগে যখন তিনি জামিন পেয়ে সাধারণ সম্পাদক হয়ে বসলেন, তখন কিন্তু একবারও মনে হয়নি, তার বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। ভায়াগ্রা তেজে তিনি তখন মাঠে নেমেছিলেন। দলের গঠনতন্ত্র তার মুখস্থ, জামিনের চোটে সকল তার আইনী বাঁধা দূর হয়ে গেছে। কোথায় ক্লান্তি, কোথায় জরা। আমরা তখন দেখলাম- একজন ২২ বছরের তরুণ আ: জলিলকে। তিনি নেত্রীর মুক্তি চাইলেন। কেন্দ্রীয় নেত্রীত্ব আসে নাই- তাতে কি- তিনি একাই এক হাজার হয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে তেজী একটা বক্তৃতা রাখলেন। ভাবখানা এমন, বিনা যুদ্ধে নাহি দেবেন সূচাগ্র মেদেনী।
সেই বাইশ বছরের টগবগে তরুণ, নেত্রীর ফোনের পর তারুণ্যের ভায়াগ্রা তেজ তার কোথায় চলে গেলে, কোথায় গেল গঠনতন্ত্রের বুলি, কোথায় গেল সা.সম্পাদকের পদ পদবী। তিনি বিশ্রামে চলে গেলেন, তার কাছে এটাই এই মুহুর্তে সবচয়ে দরকারী কাজ মনে হল, কেননা নেত্রী বলেছেন, তার বিশ্রাম দরকার।
খবর অনুযায়ী, নেত্রী তাকে চিন্তাভাবনা করতেও নিষেধ করেছে। অবস্থাদৃষ্ট মনে হচ্ছে জলিল সাহেব আপাতত চিন্তাভানায়ও ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন।
আহা , আমরা যদিও জলিল সাহেবের মতো চিন্তামুক্ত হতে পারতাম, যদি বিশ্রামে যেতে পারতাম---কতই না ভাল হতো।
আমরা ক্লান্ত, খুব ক্লান্ত।
Click This Link