somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১/৩: দশম দিন (!)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কালকে রাতে আবিষ্কার করলাম, আমি আসলে অত খারাপ কফি বানাই না! স্টারবাক্সে চার ডলার খরচ করে যা পাওয়া যায়, সেটা ফ্রি (টাকাটা আমার পকেট থেকে যায় নাই!) তে ভোগ করে নিজের প্রতি খুশি হয়ে যাচ্ছিলাম। পরমুহূর্তেই মনে পড়লো, কফি খাওয়ার আসল উদ্দেশ্য ছিলো সারা রাত তুমুল উৎসাহে কেমিস্ট্রি পড়া। জেগে থাকার জন্য ক্যাফিন ও তাজা থাকার জন্য আড়াই চামচ চিনি। সাথে হিটার, টিস্যু, মোবাইল ও মগজ। চমৎকার প্ল্যান!

সেই প্ল্যান কাজে পরিনত করতে গিয়ে লেগে গেলো দু'ঘন্টা।

(আকশাতা মাত্র বললো সেও ক্যাফিনের সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলেছে। এ মেয়েটা ক'দিন আগেও কফি মুখেই দিতে পারতো না! পরীক্ষা সবার মাথা খারাপ করে দিচ্ছে। এখন সে বলছে চব্বিশ ঘন্টা না ঘুমিয়ে থাকার চেষ্টা করবে। উনিশ ঘন্টা না ঘুমালেই যে মদখোড়দের মতো স্লো রিয়েকশন হয়, এটা জানার পর সাথে সাথে ওর ঘুম পেয়ে গেলো। হি হি হি :))

যাহা হউক, ঘটনার সারমর্ম হচ্ছে, রমজানের স্বাদ এখনও আস্বাদন করতে পারছিনা, অথচ মাসের তিন ভাগের এক ভাগ চলে গেলো প্রায়। গত বছর প্রায় সারাটা মাসই খুব ভালো কেটেছিলো, যেমন কাটার কথা। কাওকে বললে হয়তো বিশ্বাস করবে না, কারন অনুভুতিগুলো আসলেই বইয়ের শব্দের মতো। শান্তি, কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসায় মন ভরে ছিলো। মন ভালো থাকার সাথে সুস্থ থাকার 'আইন্দা-গিট্টু' সম্পর্ক হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছিলাম।

কিন্তু এ বছর কি যেন কি হয়ে গেলো। শারীরিক অসুস্থতার কারনে মেজাজ ও মন দুটোই ফ্লাকচুয়েট করছে। নিজেকে গুটিয়ে রাখতে পারছি না। সীমানা ছাড়িয়ে আরও দূরে ছড়িয়ে পড়ছি। আর ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, রোগটা বাড়ছে।

তবে, আশা করতে মানা নেই। আশা করছি আগামী বিশ দিনের কোন একদিন হয়তো আবার পথ খুঁজে পাবো। তারপর থেকে, সেটা হারালেও বেশিদিনের জন্য হারাবো না। একটা জিনিস করা শুরু করেছিলাম, প্রতি সপ্তাহে নিজের একটা খারাপ অভ্যাস দূর করা। একটু কাজ হয়েছে, যেমন এখন কাউকে নিয়ে তার পেছনে কথা বলতে একটুও ভালো লাগে না। 'গসিপ'-রোগ - যার রোগে অনেক মেয়েরাই ভুগে, তার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা অনেকদিন থেকে করছিলাম। :) আসলে, কোন কিছু থেকে বের হয়ে আসার পর সেটার আসল চেহারা দেখা যায়। তাই আমি কৃতজ্ঞ।

আবার ওটা শুরু করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে নিজেকে একটু একটু করে বদলে ফেলতে পারলে হয়তো একদিন আর কখনোই দুঃখবিলাশ করবো না। 'বিলাশ' করার মতো দুঃখ হয়তো থাকবেই না!

আশা, দোয়া, ও একটু চেষ্টা - দ্যাটস অল ইট টেকস!
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যমদূতের চিঠি তোমার চিঠি!!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮

যমদূতের চিঠি আসে ধাপে ধাপে
চোখের আলো ঝাপসাতে
দাঁতের মাড়ি আলগাতে
মানুষের কী তা বুঝে আসে?
চিরকাল থাকার জায়গা
পৃথিবী নয়,
মৃত্যুর আলামত আসতে থাকে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে
স্বাভাবিক মৃত্যু যদি নসিব... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×