বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার গুরুত্ব সার্বজনীন। কারণ এখান থেকেই মানসম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরী হয় যারা বের হয়ে দেশের উন্নয়নের চালিকা শক্তিতে সম্পৃক্ত হয়ে থাকে। দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরীর দায়িত্ব যেমন শিক্ষকদের উপর, তেমনই যোগ্য শিক্ষক নিয়োগসহ তাঁদের মান সমুন্নত রাখার দায়িত্ব নীতি-নির্ধারকদের। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষার অনেক প্রসার ঘটেছে কিন্তু এর লক্ষ্যমাত্রা ততটা সফলভাবে আগায়নি। দেশে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পরিচালনার অঢ়বী নড়ফু হচ্ছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। মাত্র ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ১৯৭২ সালে ইউজিসি এর যাত্রা শুরু হয়। পাবলিক এবং প্রাইভেট মিলিয়ে দেশে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা শতকের কাছাকাছি অথচ ইউজিসি-এর প্রসারতা কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় আনা দরকার। একজন চেয়ারম্যান এবং ৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত কমিশনের দায়িত্বের বোঝা কমপক্ষে দশগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু মৌলিক সুবিধা এবং জনবল কাঠামো সেই হারে বৃদ্ধি পায়নি। প্রয়োজনের তুলনায় সীমিত সংখ্যক জনবলের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে কমিশনের কার্যক্রমে যথেষ্ট গতিশীলতা রয়েছে। তবে পত্র পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে যদি বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিশনের অনির্ধারিত দায়িত্বের বোঝা বহন করতে হয় তাহলে এর মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ শিক্ষা ও গবেষণার তদারকি মুখ থুবড়ে পড়বে। বিশ্বায়নের স্বার্থে দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তথা টেকনিক্যাল বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার প্রসার ঘটেছে অনেক বেশি। সেজন্য ইউজিসিতে কৃষি, প্রকৌশল এবং চিকিৎসাসহ নব প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমুহকে প্রতিনিধিত্ব করবে এমন সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি সময়ের দাবী। কারণ জাতীয় স্বার্থেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাংক তাদের ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিবেদনে ইউজিসিকে আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছে। এতে মঞ্জুরী কমিশনের পুনর্গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। সুতরাং পরিকল্পিতভাবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না গেলে কাঙিক্ষত অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হবে না। উপরন্তু অব্যবস্থাপনাই বৃদ্ধি পাবে এবং সার্বিক মান নিম্নমুখী হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার গুরুত্ব সার্বজনীন। কারণ এখান থেকেই মানসম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরী হয় যারা বের হয়ে দেশের উন্নয়নের চালিকা শক্তিতে সম্পৃক্ত হয়ে থাকে। দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরীর দায়িত্ব যেমন শিক্ষকদের উপর, তেমনই যোগ্য শিক্ষক নিয়োগসহ তাঁদের মান সমুন্নত রাখার দায়িত্ব নীতি-নির্ধারকদের। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষার অনেক প্রসার ঘটেছে কিন্তু এর লক্ষ্যমাত্রা ততটা সফলভাবে আগায়নি। দেশে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পরিচালনার অঢ়বী নড়ফু হচ্ছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। মাত্র ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ১৯৭২ সালে ইউজিসি এর যাত্রা শুরু হয়। পাবলিক এবং প্রাইভেট মিলিয়ে দেশে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা শতকের কাছাকাছি অথচ ইউজিসি-এর প্রসারতা কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় আনা দরকার। একজন চেয়ারম্যান এবং ৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত কমিশনের দায়িত্বের বোঝা কমপক্ষে দশগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু মৌলিক সুবিধা এবং জনবল কাঠামো সেই হারে বৃদ্ধি পায়নি। প্রয়োজনের তুলনায় সীমিত সংখ্যক জনবলের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে কমিশনের কার্যক্রমে যথেষ্ট গতিশীলতা রয়েছে। তবে পত্র পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে যদি বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিশনের অনির্ধারিত দায়িত্বের বোঝা বহন করতে হয় তাহলে এর মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ শিক্ষা ও গবেষণার তদারকি মুখ থুবড়ে পড়বে। বিশ্বায়নের স্বার্থে দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তথা টেকনিক্যাল বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার প্রসার ঘটেছে অনেক বেশি। সেজন্য ইউজিসিতে কৃষি, প্রকৌশল এবং চিকিৎসাসহ নব প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমুহকে প্রতিনিধিত্ব করবে এমন সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি সময়ের দাবী। কারণ জাতীয় স্বার্থেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাংক তাদের ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিবেদনে ইউজিসিকে আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছে। এতে মঞ্জুরী কমিশনের পুনর্গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। সুতরাং পরিকল্পিতভাবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না গেলে কাঙিক্ষত অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হবে না। উপরন্তু অব্যবস্থাপনাই বৃদ্ধি পাবে এবং সার্বিক মান নিম্নমুখী হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মান এবং প্রাসঙ্গিক বিষয় - ১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
স্বর্গের নন্দনকাননের শ্বেতশুভ্র ফুল কুর্চি
কুর্চি
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কুরচি, কুড়চী, কূটজ, কোটী, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, বৃক্ষক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শক্রিভুরুহ, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ, মল্লিকাপুষ্প, গিরিমল্লিকা।
Common Name : Bitter Oleander, Easter Tree, Connessi Bark,... ...বাকিটুকু পড়ুন
সচলের (সচলায়তন ব্লগ ) অচল হয়ে যাওয়াটই স্বাভাবিক
যেকোন ব্লগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর, একটি ভয়ংকর খারাপ খবর; ইহা দেশের লেখকদের অদক্ষতা, অপ্রয়োজনীয় ও নীচু মানের লেখার সরাসরি প্রমাণ।
সচল নাকি অচল হয়ে গেছে; এতে সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন
হরিপ্রভা তাকেদা! প্রায় ভুলে যাওয়া এক অভিযাত্রীর নাম।
১৯৪৩ সাল, চলছে মানব সভ্যতার ইতিহাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। টোকিও শহর নিস্তব্ধ। যে কোন সময়ে বিমান আক্রমনের সাইরেন, বোমা হামলা। তার মাঝে মাথায় হেলমেট সহ এক বাঙালী... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!
এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার
চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন