আস্তিকতা বা নাস্তিকতা আসলে কি, এটা সবাই জানে। আধুনিক সময়ে নতুন করে এর অর্থ বলার কোন মানে নেই। কিন্তু অদ্ভুদ হলেও সত্য, সময়ের সাথে সাথে আস্তিক বা নাস্তিকতা বিষয়ক তীব্রটা সত্যিই বাড়ছে।
সম্পূর্ণ নিরেপক্ষ দৃষ্টিতেই আমার মনে হয়, আস্তিকদের জন্যেই সমস্যাটা আরো ভয়াবহ হচ্ছে। না তাদের বিশ্বাসে নয়, বরং বিশ্বাসের বুলি ব্যক্তকরণেই সমস্যাটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।
শুধুমাত্র সা,ই, লক্ষ্য করলেই ব্যাপারটা পরিস্কার হবে।
১। আস্তিক বলে বড়াই:
কিছু ব্লগার আছেন, যারা নিজেদের আস্তিক বলে বড়াই করেন। নিজেকে অন্যদের থেকে মহত ভাবতে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু, এই ভালো লাগা কতখানি বাস্তব, সেটাই সন্দেহজনক। মনে রাখা দরকার, আস্তিকতা বা নাস্তিকতার এক কোন পরিমাপক বা একক নেই। মানে, কেই দশ কেজি আস্তিক অথবা সাড়ে আট কেজি নাস্তিক বলা যায় না।
২। নাস্তিকদের ব্যক্তিগত আক্রমন:
আস্তিক মাঝে অনেকেই আছেন, যারা নাস্তিকদের জারজ বা মুরতাদ বা কাফের বলে সম্বোধন করেন। কিন্তু কতগুলো নাস্তিক আছেন, যারা আস্তিকদের আস্তিকতার জন্য এভাবে গালি দিয়ে থাকেন। এখানে, বলা রাখা দরকার ছাগু মানে আস্তিকদের বোঝানো হয় না।
৩। আল্লাহ খোদাকে প্রমাণ করার চেষ্টা:
এটা হলো ভয়াবহ। আস্তিকরা ভালো করেই জানেন, তাদের কাছে আলাদিনের চেরাগ নেই। মানে, আল্লাহ খোদাকে ডাক দেবার সংগে সংগে উনি কিন্তু দৌড়ে চলে আসবেন না।
৪। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ্যভাবে ভয় দেখানো:
আল্লাহ খোদাকে ভয়ের পাত্র করে দেখানো বা জাহান্নামের ভয় দেখানো কিন্তু হিতে বিপরীতই। কারণ, নাস্তিকরা তো তাতে বিশ্বাস করেনই না, বরং আস্তিকের দেওয়া কথাটি আরো হাস্যকর হয়ে উঠে।
৫। ব্যক্তিগত দৈবিক ঘটনার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ:
সাধারণত নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া কোন অদ্ভুদ ঘটনা যা তার কাছে স্বাভাবিক কোন বিশ্লেষণ নাই টাইপ কিছু বলা। এতে স্বভাবতই নাস্তিকদের সামনে আস্তিকদের মানসিক ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
৬। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ:
এখানে আস্তিকরা সাধারণত অনেক কিছুই মূল অর্থের ভুল বা বানোয়াট অর্থ দিয়ে নিজেসহ অন্য আস্তিকদেরও বিপদে ফেলে।
৭। আস্তিকদের হেরে যাবার ভয়:
একটা প্রছন্ন ভয় সবসময়ই আস্তিকদের তাড়া করে বেরায়। এজন্য তারা সবসময়ই তাদের দলে মানুষদের আনতে চেষ্টা করে। আর, চেষ্টায় ব্যর্থ হলে বিভিন্ন ধরণের শাস্তির ব্যবস্থা হয়ে থাকে। দোররা বা পাথর ছোঁড়া পদ্ধতিগুলো পুরোনো হলেও এখনো বাংলাদেশে এর প্রচলন দেখা যায়।
আমাদের মনে হয়, জীবনের সাথে ধর্মের সহ অবস্থান নিয়ে নতুন করে ভাববার সময় এসেছে।
আস্তিকের বিশ্বাসে নাস্তিকের শক্তিশালী হয়ে ওঠা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২৩টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফিরে দেখা - ১৩ মে
১৩ মে ২০০৬
দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
কাঁচা আম পাড়ার অভিযান
গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন