Variable মানুষের চাইতে Constant মানুষের মূল্য অনেক বেশী!
মানুষ Variable বলে মানুষের মূল্যটাও Variable! কখনো বাড়ে কখনো কমে! কিন্তু Constant মানুষের(মৃত) মূল্য বাড়তেই থাকে... কমে না!
লক্ষ্য করে দেখুন, হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকতে হয়তোবা এতটা মূল্যবান ছিলেন না; অন্তত ফেইসবুকে তো নয়ই! এখন ফেইসবুকেও তিনি অনেক মূল্যবান! তার করা বিভিন্ন উক্তিই এখন অনেকের লাইক পাবার প্রধান হাতিয়ার; অনেকের অনুভূতি প্রকাশের সর্বোৎকৃষ্ট ভাষা!
আমার এ Variable-Constant থিউরি টা হয়তো অনেকেই মানতে পারছেন না! অনেক Constant মানুষের মুল্যও তো কমে যাচ্ছে! তাদের জন্য বলছি, আমি অমানুষদের নিয়ে ডিল করছি না!
আচ্ছা ঠিক আছে। বিষয়টা বুঝি এভাবেও ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। কাছের মানুষ আর দূরের মানুষ! না, এই কাছ এবং দূরের মাঝে অন্য কোন দূরত্ব নেই; আছে শুধু ভৌগোলিক দূরত্ব।
কাছের কেউ দূরে চলে গেলে তার গুরত্ব কতটা বৃদ্ধি পায় একবার চিন্তা করে দেখুন! বাড়ির বাইরে থাকা ছেলেটার জন্য মায়ের আদর টাও যেন একটু বেশী থাকে, বিদেশে থাকা লোকটার জন্য এলাকাবাসীর সমিহটাও যেন একটু বেশী! আর যে মানুষটি পৃথিবী থেকে বহু দূরে চলে যায়, তার জন্য পৃথিবীবাসীর মায়াটাও হঠাৎ করেই যেন একটু বেশীই বেড়ে যায়! বেড়ে যায় তার মূল্য, বেড়ে যায় তার গুরুত্ব!
অনেকেই হাসছেন! অন্তর্নিহিত কারণটা সবাই কমবেশী জানেন! বাড়ির গরু যে উঠোনের ঘাস খায় না! কাছে থাকলে কেউ তোমার কদর করবে না! হওনা কেন তুমি বড় কবি, বড় সাহিত্যিক, বড় দার্শনিক, বড় প্রেমিক অথবা অন্য বড় কোন কেউ! তোমার চেয়ে ঐ সাদা চামড়ার ভিনদেশীদের গুরুত্ব অনেক বেশী! শীতার্ত মানুষের আহাজারির চেয়ে ঐ উইলিয়াম-কেটের অবকাশ যাপনের খবরের গুরুত্ব অনেক বেশী! নিজের মূল্য পেতে চাও? তাহলে দূরে চলে যাও! প্রয়োজনে মরে যাও!
শানে নুযূল টা মনে হয় অনেক বড় হয়ে গেল। বলছিলাম, আমরা কেন জীবিত গুণী মানুষটার মূল্য দিতে পারিনা? কেন দেশের ঠাকুরের চেয়ে ভিনদেশী কুকুর আমাদের কাছে এত মূল্যবান? কেনই বা দেশি প্রডাক্টের প্রতি আমাদের এত অনীহা?
কেন???
উত্তর আমার জানা নেই। আমি জানিনা। তবে এতটুকু জানি মানুষ বেঁচে থাকাতেই তার মূল্যায়ন করা উচিৎ; ভিনদেশী কুকুর ছেড়ে আমাদের দেশী ঠাকুরদের মূল্যায়ন করা উচিৎ; দেশী জিনিস ব্যবহার করা উচিৎ। এই দূর নীতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিৎ! মরণোত্তর পুরষ্কারে যে মৃত ব্যক্তির কোন উপকার নেই এ সত্যটা বুঝাও উচিৎ।