সৈয়দ মুজতবা আলী সম্ভবত বাংলা সাহিত্যের সবচাইতে শক্তিশালী যাযাবর লেখক। আমি সৈয়দ মুজতবা আলীর লিখা অনেক পছন্দ করি। তাঁর নিজের একটা স্টাইল আছে। " ভ্রমণাত্মক রোমান্টিক গল্প" আর কি বলতে পারি। নিঃসন্দেহে ভ্রমন কাহিনীনা। সৈয়দ মুজতবা আলী ফেমাস তার রোমান্টিক গল্প গুলার জন্যে। কিন্ত তার রোমান্টিক গল্প গুলার স্থান কাল পাত্রের মধ্যে একটা অন্তত হবে অচেনা।
টুনি মেম দারুন একটা উপন্যাস। চা বাগানে খুনের তদন্ত করতে গিয়ে বের হলো অসামান্য একটা প্রেমের গল্প। পাশ্চাত্যের শেতাংগ সাহেব আর সাওতাল কুলীর প্রেম। সৈয়দ আলীর আরেকটা ছোট গল্প যেটা কেউ ভুলতে পারবেনা, সেটা হচ্ছে "বেঁচে থাক সর্দি কাশি" এখানে অবশ্য সবাই বিদেশি, কিন্তু আরেকটা বিখ্যাত গল্প নোনাজল। সিলটি এক খালাসী ফ্রান্সের এক শহরে আটকা পড়লো, পরে এক ফরাসীনিকে বিয়ে করলো, দেশে মাএর কাছে আর ফিরে যেতে পারবে না। ফিরতে হলে বাচ্চা আর বৌকে নির্বাসন দিয়ে আসতে হবে। দারুন রোমান্টিক গল্প। এছাড়া পন্ডিত মশাই এর গল্পটা তো পাঠ্য বই থেকেই সবাই পড়ে আসছে।
একটু আগে সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে বিদেশে পড়লাম। অসাধারণ লাগলো। রেশ কাটছে না। আফগানিস্তান, দেশটা সম্ভবত প্রস্তর যুগ থেকে ২০০৮ একেই ভাবে চলে আসছে। দারুন লাগলো বই টা। অসাধারণ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:০২