সময়টা মনে নেই ,প্রথম আলোর শনিবারের ম্যাগাজিন ছুটির দিনে তে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ গল্প বই নিয়ে একটা লেখা ছাপা হয়েছিলো। নিষিদ্ধ বই গুলো ছিলো হুমায়ন আজাদের নারী,সমরেশের প্রজাপতি,তসলিমা নাসরিনের 'ক'।আরো কয়েকটা নাম ছিলো মনে পড়ছে না।মানুষের এই এক অদ্ভূত স্বভাব--- নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি অপরিসীম কৌতুহল।আর বয়সটা ও তখন ১৮+ হয়ে গেছে।২ বান্ধবী মিলে ঠিক করলাম তসলিমা নাসরিনের 'ক' আমাদের পড়তেই হবে ।না পড়লে যে ১৮+ এর স্বার্থকতা রইলো না।কি এমন লেখা আছে 'ক' তে যার জন্য সরকার ব্যান করে দিলো--তা নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। তসলিমা নাসরিনের মোটামোটি সব বই পড়া হয়েছে।কিছু ভালো লেগেছে কিন্তু লেখায় যখন পরিমিতবোধটা ছাড়িয়ে যায় তখন আর ভালো লাগে না।
প্রাইভেটের কথা বলে বাসা থেকে বেশী টাকা নিয়ে ২ জনে মিলে গেলাম নীলক্ষেত।ফুটপাতের দোকানদারকে যখন বললাম 'ক' বইটা চাই দোকানদার বললো--"আয় হায় আফা এইডারে তো সরকার ব্যান করছে"
--"ব্যান করছে তো কি হয়েছে ।সকালে ব্যান করলে দুপুরের মধ্যেই কি সব বই ফেলে দিয়েছ।দাম বেশী নিয়ে বই দাও"।
--"আফা দেওন যাইবো ত্য় কভার পেজ ছাড়া"।উপায় না থাকাতে কিনলাম।কণা বললো বইটারে মলাট দিয়ে নাম লিখে রাখলে কোন সমস্যা রইলো না।২ জনে মিলে পড়ার পর কি যে হতাশ হয়েছি।তেমন কিছুই না ।লেখিকার কখন,কার সাথে,ভালোবাসাবাসি কোন পর্যা্য়ে ছিলো তার কাহিনী আর কি।টাকাটা জলে ভেসে গেলো বলে কণা মুখ কালো করে বসে রইলো।তবে লাভ একটাই হয়েছে লেখক ইমদাদুল হক মিলনের লেখায় অতি রোমান্টিকতার কারণটা বুঝতে পেরেছি।
বাসায় বুক-শেলফে বইটা সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছি।যে দেখে সেই বইটা পড়ার জন্য নিতে চায়।মনে মনে হাসি (খ্যাক-----খ্যাক----খ্যাক-----খ্যাক) আর ভাবি তোমরা যে বইটাতে কি পড়তে চাও সেটা তো আমি জানি।
গতকাল দেখলাম বইটার জানে আর প্রাণ ণাই।তসলিমা নাসরিনের 'ক'এর উপর দিয়ে যে কত ধকল গেছে তা আর না--ই বললাম.......................।