somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা কাদের বিরুদ্ধে করা উচিত.??? "ক্ষ" ব্যান্ড বনাম শীর্ষস্থানীয় দেশের সঙ্গীত শিল্পী

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজন করা হয় ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ শীর্ষক অনুস্ঠান। ওই অনুষ্ঠানটিতে সঙ্গীত পরিবেশনকারীরা সকলেই বুকে আড়াআড়িভাবে হাত রেখে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। অনুস্ঠানটির আয়োজন করে নেদারল্যান্ড ভিত্তিক গ্রামীন ফোন কোম্পানি টেলিনর। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার রীতিকে বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও জাতীয় সঙ্গীত শুরুর আগে পাশ্চাত্যের অপেরা পরিবেশনার ঢঙ্গে সমবেত কণ্ঠে কিছু অপ্রোয়োজনীয় শব্দ উচ্চারণ করেন তারা,


জাতীয় সংগীত শুরুর আগে হামিং করা হলো, 'ও হো, হো হো, হো হো, হো হো'! এই হামিং কি আমাদের জাতীয় সংগীতের অংশ? কবে থেকে?
সংগীত আয়োজককে এই মশকরা করার অধিকার কে দিয়েছে? সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কি চোখ-কান বন্ধ করে দিয়েছে যে প্রকাশ্যে জাতীয় সংগীতের বিকৃতি চললেও কিছু বলা হবে না?

জাতীয় সংগীত গাওয়ার ব্যাপারে আমাদের নিজস্ব নিয়ম আছে। এটি শুধু রীতি নয়, আইনের দ্বারা সুরক্ষিত। মন্ত্রিসভার ১৯৭৮ সালের ২৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন, যা ২০০২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সংশোধিত হয়েছে, সেখানে জাতীয় সংগীত গাওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে। ইউনিফর্মধারী পেশাজীবী যেমন_সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বর্ডারফোর্স_এদের সদস্যদের জন্য জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় স্যালুট প্রদান বাধ্যতামূলক এবং বেসামরিক উপস্থিতির জন্য সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সম্মান জানানোই নিয়ম।


যা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের প্রচলিত রীতিবিরোধী। বেসরকারি মোবাইল অপরাটের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোনের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার শুরুতে ভিন্ন ধরনের সুর ও দাঁড়ানোর ভঙ্গির বিষয়টি নিয়ে তার মনেও প্রশ্ন জেগেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময় দু’হাত দু’পাশে ঝুলিয়ে রাখতে হয়।’ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব সঙ্গীত শিল্পীকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল এতে সংগীত পরিচালনা করেন।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল জানান, জাতীয় সঙ্গীতের শুরুতে আমি ‘প্রারম্ভিক সুর’(prelude) আরোপ করেছি। তবে সমর দাসের মূল রেকর্ডে এ সুর নেই। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার রীতি প্রসঙ্গে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কামাল লোহানী বলেন, ‘বুকে হাত দিয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের রীতি আমাদের এখানে নেই। এখন জোর করে কেউ তৈরি করতে চাইলে কী বলার আছে?’এ প্রসঙ্গে সাংস্কৃতিক কর্মী ও নাট্যকার তানভীর আহমেদ সিডনী বলেন, ‘আমাদের দেশে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে দু’হাত পাশে ঝুলিয়ে রাখতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকেই এই রীতি মেনে চলা হচ্ছে।’অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় অংশ নেওয়া বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী বলেন, ‘আজকে নতুন কিছু হলো। বুকে হাত রেখে জাতীয় সংগীত পরিবেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘দৃষ্টিনন্দন যদি না হয়, তবে ভবিষ্যতে হয়তো আর গাওয়া হবে না।’বুকে হাত রেখে জাতীয় সংগীত পরিবেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে থেকে এরকম কিছু আমি জানতে পারিনি। মঞ্চে ওঠার পর জুনিয়র কয়েকজন শিল্পী আমাকে বললো, আজ আমরা এভাবেই গাইবো।’ তবে তিনি বলেন, ‘দেশাত্ববোধক গান গাওয়ার জন্য এ রীতিটি ভালোই হতে পারে।’

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন রুনা লায়লা, সৈয়দ আবদুল হাদী, আব্দুল জব্বার, খুরশিদ আলম, এন্ড্রু কিশোর, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, আইয়ুব বাচ্চু, জেমস, কণা প্রমুখ।

Click This Link

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আপনারা বড় মাপের শিল্পি আপনারা যেভাবে গাইবেন সেটাই কি ঠিক..??
আপনারা “ক্ষ” ব্যান্ডের গাওয়া সোনার বাংলা গানকে বলছেন বিকৃত । তাহলে আপনাদের টা কি..?? কোন সংবিধানে এই ভাবে গান করার কথা লেখা আছে..??

আপনারা বলেছেন এর জন্য রাষ্ট্রদ্রহীতার মামলা হওয়া উচিত…?? সেটা তো আগে আপনাদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত নয় কি..?? আপনারাই তো পথ প্রদর্শক ।।

“ক্ষ” ব্যান্ডের ভোকাল তাদের গাওয়া গানটি সর্ম্পকে যদি গানটি গাওয়াতে রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল অপরাধ হয়, এতে তাকে যা শাস্তি দেওয়া হবে, এমনকি মৃত্যুদন্ড দেওয়া হলেও তিনি তা মাথা পেতে নিতে রাজি । আপনারা রাজী তো..???


নিউজ রিপোর্ট মত দ্বিমত এর কিছু লিংক.

Click This Link

Click This Link



৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×