somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেম-১২

২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্ব
Click This Link

প্রিয় পাঠক,
আপনাদের প্রতি রইলো আমার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। একদিন খেয়ালের বশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেম সিরিজটি শুরু করি। আপনাদের ভাললাগা দেখা আমি মুগ্ধ। পাঠক হলো কোন লেখার সঠিক বিচারক।
লেখথে লেখতে খেয়াল করলাম আমি শুধু আমার মনের কথা গুলিই বলতে পারছি। কিষাণী মনের কথাগুলি ঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তাই কিষাণীর দারস্ত হলাম। সে তার মনের কথাগুলি বলতে রাজী হলো।

এই সিরিজে কৃষক এবং কিষানী দুইজন মানুষ। তারা তাদের স্মৃতিচারন করবে একই নিকে। দেখুন কাহিনী যায় কোথায়। আশাকরি সঙ্গে থাকবের পূর্বের মতো। ভালো লাগলে জানাবেন খুশী হবো। খারাপ লাগলে বলবেন শুধরে নেবার চেষ্টা করবো।

আপনাদের আবার ধন্যবাদ


কৃষক



কিষাণীর আজকে লিখেছে কিছু কিন্তু বিদ্যুতসমস্যার জন্যে পোষ্ট করতে পারেনি। অটো ড্রাফটে ছিলো তাই দিয়ে দিলাম -
কিষানী এখনও জানে না। ;)

কিষাণীর আজকে লিখেছেঃ
আঠারো বছর বয়সের একটি মেয়ে যখন পরিবারের শাসন বারণ এর বেড়াজালের গন্ডি পেরিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ উপবোগ করার পথে পা রাখলো, তখন তার চোখে মুখে শুধু বিস্ময় আর মুগ্ধতা। অজানাকে জানার আনন্দ।

মেয়েটি চঞ্চল, প্রানোচ্ছল,অস্থির: সিনিয়রদের সাথে বেশ ভাব, বান্ধবীদের সাথে বন্ধুত্বের বাইরেও একটু যেন মাতব্বরী ভাব।

ছেলেটি ভীষণ দুষ্টু, প্রাণবন্ত, উচ্ছল, বোহেমিয়ান এবং অসম্ভব মেধাবী। সহপাঠি এবং সিনিয়রদের সাথে তার সহজ স্বভাবিক সম্পর্ক। যে কোন কঠিন বিষয় অল্প সময়ে বুঝে যেত। দুষ্টুমি খুনসুটিতে সারা ক্লাশ মাতিয়ে রাখতো। গলা ছেড়ে ভুল সুরে গান গাইতো, চিৎকার করে আবৃত্তি করতো। আঁতেল টাইপের বন্ধুদের নাস্তানাবুদ করতো। সহজ, সাবলীল, প্রানবন্ত এই ছেলে টি আমার সব কাজের সাথী হয়ে থাকছে এতে আমি খুউব খুশি। এত ভাল ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও মুধুমাত্র অস্থিরতার জন্য তার ভাল রেজাল্ট হতো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে আমার পড়ার চেয়ে ঘুরে বেড়ানোর দিকেই বেশী ঝোঁক। নবীনদের আগমন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখা, নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়ানো এসবই হল মূল কাজ। উপরন্তু এখানকার পড়াশোনার স্টাইল SSC, HSC র মত না। কাজেই ক্লাশের পড়া, assignment, peridical পরীক্ষা র মাথামুন্ডু কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এহেন অবস্থায় নীরস assignment এর ভুতটিকে নিয়ে আমার যখল বেহাল অবস্থা তখন ত্রাণকর্তার মত আবির্ভৃত হলো বন্ধুটি, যে আমার পাশে বসে ক্লাশ করে, পাশাপাশি রোল। কিভাবে, কোন কাগজে, কোন স্টাইলে assignment করতে হয় আমাকে বুঝিয়ে দিল, বেশ বুঝতে পারলাম ও আমাকে একসাথে assignment করতে না ডাকলে আমার নাকানি চুবানির একশেষ হতো।

আমি তো আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম, বুঝলাম সে সিনিয়রদের কছ থেকে এগুলো আগেই জেনে নিয়েছে; উদাসীন আমি যার কিছুই করিনি। আমি কি আর তাকে ছাড়ি, আঠার মত লেগে রইলাম; কে জানতো তাকে ছাড়া আমার আর চলবেই না! শুরু হল আমাদের একসাথে পড়াশোনা।

আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় একটি মেয়ে চাইলেই যা খুশী করতে পারে না। ইচ্ছে মতো একা একা ঘুরতে পারবে না, সমাজের চোখরাঙানী এড়াতে তার অতি অবশ্যই একজন সংগী লাগবে। চোখেমুখে অনাবিল আনন্দ আর বিপুল বিষ্ময় নিয়ে আমি যা দেখতে চাই, উন্মোচন করতে চাই, সে জন্য আমার একজন সাথী লাগবে।আমি বেশ বুঝলাম আমার অতিব ভাল বান্ধবীরা আমার এহেন এডভেন্চার এ কাজে আসবে না। অগত্য...

চলবে....

পরের পর্ব
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:১৬
৮টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×