কোমর পুর বলে যে জায়গা আছে আমরা ওখানে যাবো।
আমরা তিন গবেষক। ধড়িবাজ। ওখানে গিয়ে
দেখে আসবো
মায়াবতী চোখের বাজারে চা বিক্রেতাদের খালি গা। তাদের হাতের বানানো
চায়ে চুমুক দিয়ে আমরা খুঁজবো দরিদ্র জেলে। গরিব দিনমজুরদের
হাসি। ওদের জন্য পলিসিমেকারদের ঘুম হারাম।
আমরা দেখতে থাকি
মুদি দোকানদাররা পানখাওয়া দাঁতে হাসি তুলে দিচ্ছে
খোলা আকাশের দিকে। এখানে
রিকসা-ভ্যানে করে নারী-পুরুষরা গল্প করতে করতে শহরের দিকে যায়
ছোট কালো পিচের রাস্তা দিয়ে অনেকে পায়ে হেটে
চলা ফেরা করে। আমরা তিন জন নামে গবেষক
এইসব দেখি, ওদের সঙ্গে কথা বলি, ওরা সরল চোখের গ্রাম নিয়ে কথা বলে। কোমর পুর কোন দিকে?
এই কথায় ওরা মিটি মিটি হাসে, চোখাচোখি করে
আমরা অচেনা এইটা তারা বিশ্বাস করে না যেন। তারপরও আমরা বলি কোমর পুর কোন দিকে?
ওরা বলে যে, সামনের দিকে যান, এই চোখের বাজার থেকে
তিনমাইল দূরে, পশ্চিমে শোভারামপুরের খাল, পুবে
সুন্দরীবুড়ির জলাশয়; এখন বছরে তিন-চার মাস পানি থাকে
মাছ নাই
উত্তরে মুসলমান পাড়া তার পাশে বড়ো বটগাছের নিচে হাট বসে
রাস্তা পাকা হয়েছে, ঠিক ওর দক্ষিণ পাশে কোমরপুর।
ওটা জেলেদের গ্রাম।
বৈভবহীন জেলেপাড়ায় এখন আর কোন মাছের আঁশটে গন্ধ নেই
পাঙ্গাশ মাছের চাষ করেন যারা পুকুরে
ওইসব মৎস্য চাষীদের কামলা এখন এইসব জেলে।
আমরা কোমরপুরের দিকে রওনা দিই।
রিকসায়। সিগারেট ধরাই, ধোয়ার রিং উড়িয়ে দিই রাস্তার পাশের
টাটকা সবুজের ভেতর।
আমরা কোমরপুর খুঁজে পাই না, গ্রামের পর গ্রাম অতিক্রম করে
চলে যাই, লোকজনদেরকে জিজ্ঞাসা করি, ভাই কোমরপুর কোন দিকে?
তারা মিটি হাসে আর চোখাচোখি করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৩৫