somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেই পুরানো কাহিনী

২২ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যেদিন ভার্সিটিতে আমাদের ওরিয়েন্টেশন হল অনেককে দেখলাম বাবামাকে সাথে করে নিয়ে গেছে। আমি একাই গেলাম। বোরিং প্রোগ্রামের পর মামুন স্যার আমাদের একটা ক্লাসে ডেকে কিভাবে কোর্স রেজিস্ট্রেশন করতে হয় তা বলে দিচ্ছিলেন। অনেক ঝামেলা মনে হয়েছিল। এরপর আমাদের আড়াইটায় একটা ক্লাস ছিল কিছু ছেলে মেয়ে ভাবল প্রথম দিন মনে হয় ক্লাস হবে না। তাই বাসায় চলে গেল এবং যথারীতি এ্যাটেনডেন্স মিস করলো। ক্লাসটা ছিল কিংকু স্যারের। কিংকু স্যারের সাথে আমাদের ব্যাচের একটা অন্য ধরনের সম্পর্ক, আমাদের ব্যাচের আমরা যা কিছু জানি বা শিখেছি তার অধিকাংশই কিংকু স্যারের অবদান।


স্যারের ক্লাসে ঢোকার নিয়ম ছিল খুবই কঠিন। ক্লাসটাইম শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যে ঢুকতে হবে না হলে না। স্যার সবসময়ই টাইমে আসতেন। একদিন এক ছেলে ষষ্ঠ মিনিটে নক করলো দরজা, স্যার অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে দরজা খুলে বললেন, কয়টা বাজে? ও বলল, স্যার বাস আসতে দেরি করেছে আমি ঠিক টাইমেই আসছিলাম। স্যার বললেন, তাহলে কি আমি এখন বাস ডাইভার হবো তোমার জন্য?!! X((


আমরা মনে হয় ভার্সিটি লাইফের প্রথম rag কিংকু স্যারের কাছে থেকেই খেয়েছি। স্যার ফার্স্ট টার্মে কোন বইয়ের নাম বলেন নি, কোন শিটপত্রও দিলেন না। একে তো ফার্স্ট টার্ম সবাই খুবই সিরিয়াস তার মাঝখানে আমরা তেমন কিছুই বুঝি না। আমরা খেয়ে না খেয়ে ক্লাস লেকচার লিখতাম। স্যারের অত্যাচারে আমাদের রাতের ঘুম হারাম থাকতো। স্যারের একটা কোর্সেই আমরা পুরা টার্ম হন্তদন্ত হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছি। রিপোর্ট জমার আগ মুহূর্তে উনি বিকালে ক্লাস ফেলতেন যাতে আমরা আরো একটু ডলা খাই। ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে সেশোন্যাল ক্লাসে ৩০ মিনিটে একটা কেস দিয়ে বলতেন, সলভ করে প্রেজেন্টেশন দাও। তখন আবার খেয়াল করতেন কোন গ্রুপ বেশি অগোছালো আছে, সেইটাকে প্রথমে প্রেজেন্টেশান দিতে বলতেন।


ভাইভাতে ডেকে স্যার অকথ্য ঝাড়ি দিতেন প্রথমে তারপর শেষের দিকে খুব সুন্দর সুন্দর ভাল উৎসাহমূলক উপদেশ দিতেন। সেন্ট্রাল ভাইভাতে স্যার পাকা রাসেলকে সব স্যার ম্যাডামদের সামনে প্যারট বলল। রাসেল বোকা না বুঝিয়া গর্ব করিতে লাগিল এবং বাহিরে আসিয়া আনন্দ করিতে লাগিল:D:D। আমাকে বললেন, RAB মানে কি? তাও রাবেয়া ম্যামের সামনে :| (রাবেয়া ম্যামকে আড়ালে সবাই RAB ডাকে এইটা স্যার জানতেন।) আমাকে সিএসসি ডিসিপ্লিনের বাইনারী মাসুদ স্যার, জিজ্ঞেস করলেন, মেগা হলে ১০ এর পাওয়ার কত হয়? আমি বললাম, ৬। কিংকু স্যারের হাসি কি!! এর থেকে মজা তিনি জীবনে পান নি মনে হয় :( আমি ভাবলাম ঘটনা কি আমি তো ঠিকই বলেছি। পরে বুঝেছি এটাও rag /:)

একাউন্টিং কে আমি গত ৪ বছর ভয়ই পেয়েছি :|। আমরা ফার্স্ট ইয়ারে একাউন্টিং পড়তাম ’০০ ব্যাচের নাসির ভাইয়ার কাছে। ভাইয়া বলতেন, তিনি নাকি আমাদের মত এত সিরিয়াস ফার্স্ট ইয়ার দেখেন নাই যারা ভার্সিটিতে উঠেও মডেল টেস্ট দেয়!! :!>

ইংরেজি শিখে যদিও ভার্সিটিতে চান্স পেতে হয়েছিল আমাদের তবে আসল ইংরেজীর দৌড়ানি দিয়েছিল ইংরেজি ডিসিপ্লিনের ২ স্যার সরোওয়ার জাহান আরেকজন বায়োলজি স্যার (উনার আসল নাম খেয়াল নাই মাথা থেকে গলা পর্যন্ত এঁকে উনি যে কি বোঝাতেন আমরা তা বুঝতাম না :|) এই ২জন অনেক ফাকি দিয়েছেন এবং পরীক্ষার সময় মেজাজ খারাপ করা প্রশ্ন খালি রাইটিংস । সেশোন্যাল এ অনেককে অনেক প্রশ্ন করার পর দিছে সি গ্রেড আর অনেককে ২/১ টা প্রশ্ন করে দিছে সি+

রাবেয়া ম্যামও বহুত জ্বালিয়েছেন সবাইকে। ম্যানেজমেন্টে সেবার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রিটেক খেয়েছিল এবং পরে তারা আবার ম্যামের কল্যানে রি-রিটেকও পেয়েছিল। ম্যাম ফাকিবাজ ছিলেন কিন্তু অনেক সুন্দর করে কথা বলতেন। এখন আর নাই ম্যাম।

ভাবছিলাম আমাদের rag নিয়ে লিখবো লিখলাম কি!! :(


এইটা আমার ১৫০ তম পোস্ট। অনেক ভাল লাগছে আজ আমি সত্যিই আনন্দিত এবং আভিভূত :D:D:D প্রায় দেড় বছরও হতে চলেছে আমার এই ব্লগে। যদিও এটাকে ১৫০ তম করার জন্য আমাকে ২টা পোস্টকে ড্রাফট করতে হয়েছে B-)B-)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৯
৩২টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরাধের সেকাল ও একাল

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

সেকাল
--------------------------------------------------------
স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা হেনরি বেভারিজ ছিলেন বৃটিশ-ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য৷বেভারিজ ১৮৭০ সালের মার্চ হতে ১৮৭১ সালের মার্চ এবং ১৮৭১ সালের জুন থেকে ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর বরিশালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×