somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুঠোফোনের আদবকেতা

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জনসমক্ষে
যেকোনো পাবলিক প্লেসে (জনসমক্ষে) মুঠোফোন ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। বাসে, ট্রেনে বা লঞ্চে চড়ে কথা বলার সময়ে খেয়াল রাখুন অন্য কেউ বিরক্ত হচ্ছেন কি না। এসব স্থানে উচ্চ স্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। অফিস বা ব্যাংকে গেলে মুঠোফোনে কথা না বলাই উত্তম। এখানে সাইলেন্ট (শব্দহীন) রাখা ভালো। অনেক সময় কোনো অনুষ্ঠান বা নিমন্ত্রণে গিয়েও অনেকে উচ্চ স্বরে মোবাইলে কথা বলেন। এতে পাশের মানুষটি কিন্তু বিরক্ত হন।

অচেনা নম্বর হলে
মুঠোফোনে কল এসেছে। কিন্তু নম্বরটি আপনি চিনতে পারছেন না। তখন যদি কলটা ধরেন, কথা বলার সময় অবশ্যই মার্জিত থাকুন। শুরুতেই শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। এরপর বিনয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় জানতে পারেন। অপরিচিত লোকের সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা না বলাই ভালো। বড় কাউকে ফোন দেওয়ার আগে এসএমএস করতে পারেন। কারণ, অনেকে অপরিচিত নম্বর রিসিভ করেন না।

রং নম্বর হলে
কেউ যদি আপনার মুঠোফোনে ভুল করে কল করে থাকেন, তাঁকে বুঝিয়ে বলুন। এর পরও যদি তিনি কথা বলতে থাকেন, তাহলে তাঁর আগ্রহের দিকটি বুঝে উত্তর দিন। আপনার ভালো না লাগলে তাঁকে অনুরোধ করুন ফোন রেখে দিতে। অথবা নিজেই যদি ভুল করে ফোন করে থাকেন তাহলে দুঃখ প্রকাশ করে রং নম্বর বলে রেখে দিতে পারেন।

কাজে থাকলে
গাড়ি চালাচ্ছেন বা রাস্তা পার হচ্ছেন, এমন সময় ফোনে একদম কথা বলা উচিত না। তা ছাড়া জরুরি ফোন না হলে কোনো কাজ বাদ দিয়ে কথা বলার দরকার নেই। সভাকক্ষে ফোন সাইলেন্ট বা বন্ধ করে রাখা উচিত। আপনার সামনে কেউ দাঁড়িয়ে কথা বলছেন, বেজে উঠল মুঠোফোন। ফোনটি ধরার আগে দেখে নিন আপনার সামনের মানুষটি নাকি কলার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কলার গুরুত্বপূর্ণ হলে সামনের লোকটির কাছে অনুমতি নিয়ে ফোন ধরুন। অথবা পরে ফোন করবেন বলে রেখে দিন। চাইলে একটি এসএমএস আগে থেকে ঠিক করে রাখতে পারেন। যাতে কেউ ফোন করলে বুঝতে পারেন আপনি এখন কাজে আছেন। অনেক মুঠোফোনে কিছু বার্তা তৈরি করাই থাকে।

সময় বুঝে ফোনকল
হুটহাট কাউকে ফোন করা ঠিক না। কারও সঙ্গে কথা বলার আগে তাঁর সময় চেয়ে নিতে পারেন। বেশি রাতে ফোন করা উচিত না। তা ছাড়া কারও অফিসটাইমে ফোন করলে তাঁর অফিসের ফোনেই কথা বলা উচিত। কাজের চাপে থাকলে বিরক্ত না করাই ভালো। অনেকে লাউডস্পিকারে কথা বলেন, এটা অপর প্রান্তের লোকটিকে না জানিয়ে করা উচিত না। এতে করে তাঁর প্রাইভেসি নষ্ট হয়। তা ছাড়া অনেক মানুষের সামনে লাউডস্পিকার দিয়ে কথা বলা ঠিক না। বেশি শব্দের ভেতরে কথা না বলে নিরিবিলি কথা বলুন।

যেমন হবে রিংটোন
মোবাইলের রিংটোন আপনাকে চেনার একটি বড় দিক। তাই আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায় না এমন টোন ব্যবহার না করাই ভালো। মার্জিত টোন ব্যবহার করা উচিত। রিংটোনের শব্দ কতটা হবে, সেটাও ভেবে নিন। তা ছাড়া অনেকে মুঠোফোনে ওয়েলকাম টিউন ঠিক করেন। এখানেও গান, আবৃত্তি বা কথা সেট করার আগে ভেবে নিয়ে সেট করুন। কারণ, ওয়েলকাম টিউন আপনার ব্যক্তিত্ব অপরপ্রান্তের মানুষটির কাছে তুলে ধরে।

মিসড কল
কাউকে মিসড কল না দেওয়াই ভালো। অযথা মিসড কল দিলে তিনি বিরক্ত হতে পারেন। অনেকে ফোনে টাকা কম থাকায় মিসড কল দেন। তার চেয়ে ১০ সেকেন্ড ফোন করেই কথাটি জানাতে পারেন তাঁকে। এতে করে তিনি আপনাকে ফোন ব্যাক করতে পারেন।

খুদেবার্তা পাঠাতে
মুঠোফোনে আছে খুদেবার্তা বা এসএমএস পাঠানোর অপশন। তাই যেখানে কথা বলা সম্ভব না, সেখানে খুদেবার্তা দিতে পারেন। অল্প কথা সারতেও এটি ব্যবহার করেন অনেকে। বার্তার ভাষা ব্যবহারে মার্জিত থাকুন। তার আগে ভাবুন আপনি কাকে মেসেজটি লিখছেন। কারণ, বন্ধুর কাছে যেমন মেসেজ দেওয়া যায়, সেটা অন্যকে না পাঠানোই ভালো। অর্থাৎ যাঁকে মেসেজ দিচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা মাথায় রাখুন।

মুঠোফোন ব্যবহারে
নিজের মুঠোফোনটি যত্নে রাখা উচিত সবার। কথা বলা শেষে বা বাইরে থেকে এসে ফোনটি ছুড়ে না মেরে আস্তে রাখুন। যে মুঠোফোন ব্যবহার করছেন, সেই ব্যাটারি ছাড়া অন্য কোম্পানির ব্যাটারি লাগানো থেকে বিরত থাকুন। এতে মুঠোফোনের ক্ষতি হতে পারে। চার্জার ব্যবহারের পর সাবধানে খুলে রাখুন। মুঠোফোনের ফাঁকা স্থান দিয়ে ভেতরে ময়লা বা ধুলা জমতে পারে। নরম কিছু দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। ফোনের পর্দায় কোন ছবি ব্যবহার করছেন তা বুঝে নিন। কারণ, এটিও আপনার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটায়। পানির কাছে বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকক্ষে আপনার মুঠোফোন বেশি ঠান্ডা হয়ে পড়ে। তাই বাইরে এসেই ভালো করে মুছে নিন। মুঠোফোনের সুরক্ষায় কভার ব্যবহার করতে পারেন।
সবকিছু লক্ষ রেখে মুঠোফোন ব্যবহার করুন। আর হয়ে উঠুন সাধারণের মধ্যে অসাধারণ।

এ ধরনের আরও অসংখ্য ফিচার দেখতে এখানে ক্লিক করুন
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×