somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হায়রে বাংলাদেশ! হায়রে গ্রাম! হায়রে সাধের কম্পিউটার!!!

১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ ভোর ৫:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নেটে ঘুরতে ঘুরতে কেমন কইরা যানি এই ব্লগটার সন্ধান পাইলাম। এই কাহিনী বেস পুরাইন্নাই কওয়া যায়।
বিশেষ কইরা এইটা ভালোলাগার কারন হইল আমাগো মাতৃভাষায় করা হেই লাইগ্গাই।

যাইহোক,
আমার কয়েকজন দোস্ত আছে অনলাইনে, কইতে পারেন হ্যারাই আমারে এই লাইনড্যা চিনাইছে। হ্যাগো কইলাম আমারে একটু হেল্প না কি যানি কয় ওইডা করতে।
একজনে কয় "সরি রাজিব, আমি বাংলা লিখতেতো যানিই না এমনকি লেখা পড়তেও পারি না"
যদিও আমি এই লাইনে (অনলাইন) নতুন, তারপরও এই কথা সুইন্না আমিতো অবাক! /:)

আমি ভাবতেই পারিনাই, যারা এত শুদ্ধ কইরা কথা কয় তারা বাংলা পড়তে পারেনা?
বাঙালী হইয়া বাংলারে অবগ্যা করা এই যা। হায়রে আমার বাঙালী জাতি (কিছু অংশ) ।

হ্যাগো কথা বাদ এইবার আসি আমার কথায়,
আমি বাংলা পড়তেও পারি, আর লেখতেও পারি ১৯৯২ সাল থেইক্কাই (যতদুর মনেপড়ে), যদিও ওই টাইমে আমি তালপাতায় দোয়াত কালি (ডুপ্লিকেট) দিয়ে লেখতাম।

আর ওই টাইমেই আমার দোস্তরা এই কম্পিউটার যানে, পার্থক্য আমারডা ওইলো বাংলাদেশ আর তারা ইউরোপ আমেরিকা।

তার মানে কি দাড়াইলো? তাদের কিবোর্ড আর আমার তালপাতা।

আমাগো এলাকাডা আওয়ামিলীগ এর রক্তের, কাম ওইবে কি, খালেদা যহন খমতায় আইল, হ্যায় চিন্তা করছে কি, এইডাই আগে দরি,

মাশাআল্লাহ, একেবারে ব্রীজ,কালভার্ট, কারেন্ট, ইসকুল সব হইছে।

আমিও আগাইছি, মানে "প্রাইমারি শেষ করেছি,আমি এখন সিক্সে, রুখবে আমায় কে?"

শেখ হাসিনা আইছে, এলাকার মাইয়া স্কুলে কম্পিউটার দিছে, আহা কি আনন্দ!!!

যাইহোক মনে আসা যাগছে এতদিনে এই জিনিসটা কি তা ভালোকরে যানতে পারবো, তার আর হইল কই? স্যারেরা কয় আগে নাইনে ওঠ পরে এইডা যানতে পারবা ।

আমাগো ইস্কুলে সিক্সে ১০০ ভর্তি হইলেও নাইনে আইসা পাইছি ১৭ জন, কারে আর দোস দেবেন ভাই, বেশিরভাগেরই তিন বেলার যায়গায় দুইবেলা খাইতে হইতো।

কথায় ফিরি,
আমাগো কম্পিউটার ম্যাডাম বাংলা পড়াইতেন, ওই পদে চাকরি পাইলেন আবার কম্পিউটার যানেন না, কিভাবে চাকরিটা পাইলেন তা আমি আপনি না যানলেও, সরকারদের কিছু কর্মচারি কর্মকতা ঠিকই যানেন। আমাদের যেনেও লাভ নাই।
যাইহোক ওই ম্যাডামের জন্যই হয়তো, মাধ্যমিক লাইফটা কসটেপ দিয়ে মোড়া কার্টুনই দেখে যেতে হল।

বেশিদিন না, ২০০৫ সালে কলেজ ত্যাগ করেছি, ওই সময়ে অতিরিক্ত বিষয়রে নম্বর যোগ হতনা, ওই বস্তুটা কি যানতে আমি বিষয়টা নেই, দুঃখের বিষয় হল ২০০৩-২০০৪ শিক্ষাবর্ষের ওই বিষয়ের সময় যোগ করলে আমার মনটা উত্তর দেবে ০০০ দিন।

এতো গেল শিক্ষাজীবন,
আব্বা বললেন অনেক হয়েছে আর পারছি না, এখন নিজে কামাই কবো। বেচারাও কি দোস দেব, গরিবের তকমা লাগানো সংসারটা টানতে যে তার কষ্ট হচ্ছিল এটা আমিও বুঝতে পেরেছিলাম

অভাবকে জয় করানোর আসায় প্রথমে ধান বিক্রিকরে পাসপোর্ট করতে গেলাম, বয়স লাগবে ২৪,
অফিসার বললেন, আমাকে বোকা বানাতে চান? এই ছেলের ২৪ বছর বয়স দেওয়া যাবে না। আকুতি মিনতী করেও কাজ হলনা ।
কি আর করার নিরুপায় হয়ে ফিরে আসার সময় অফিসের পিওন বললেন ২০০০ টাকা দেন স্যারকে দিয়ে সিস্টেম করিয়ে দেই। পিওন কত খেয়েছে এটি আমি না যানলেও, টাকাটা নিয়ে ওই অফিসারই যে কাজটা করেছিলেন তার প্রমান আমি এখন মধ্যপ্রাচ্যে এসেছি ওই পাসপোর্টএ।

এবার পার্থক্য করি এখান আর ওখানের সাথে,

অনেকে বলেছিল, বাংলাদেশের এই লেখাপড়া দিয়ে বাইরের দেশে কোন লাভ নাই।
আসলে লাভ যে হচ্ছে কিনা, তা আমার দেশে পাঠানো ক্ষুদ্র রেমিটেন্সই এর প্রমান, যদিও আমি সুশিক্ষিত নই।

আমি যানি অনেক সুশিক্ষিত লোক বাইরে এসে সুবিধা না করতে পারলেও তাদের সংখ্যা খুব কম, বরং অনেক স্বল্পশিক্ষিত লোক কাজের তাগিতে অনেক কিছু শিখছে।
কলেজে আমার অধিকার, আমার শিক্ষাকে যখন শিখায়নি, এখন এরা নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে আমাদের বিশেষ ট্রেনিং করাচ্ছে। হয়তো যার একটু অংশের কল্যানে আমার মত হাবা আজ ইন্টারনেটে একসেস করতে পারছি, যদিও এটি এমন কঠিন কোন কাজ না। কিন্তু কোন একসময়তো ছিল কল্পনাতীত।

পরিশেষে তাদের উদ্দেশ্যে বলব, একটু সদয় হন, আমাদের মত মানুষদের এই আধুনিক শিক্ষাটা থেকে দুরে রাখেন না।

আর প্রবাসী ওই দোস্তদের বলব বাংলা শিখতে হলে সামহ্য়্যারইনব্লগ তো আছেই অতয়েব আর কষ্ট কেন?

অনলাইনে আমার প্রথম পোস্ট এটি দয়াকরে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:২২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×