somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গদ্য : গল্পের কথা

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গল্প কী? গল্প আসলে তেমন কিছু না। আমার কিংবা আপনার কথা তোমাকে বা তাকে শোনানো। এই ক্ষেত্রে আমি বা আপনি বক্তা হলে তুমি বা সে শ্রোতা। আমি বা আপনি লেখক হলে তুমি বা সে পাঠক, প্রকারান্তে পাঠিকা। আমার কথাই গল্প। আমি কেমন করে যাই, কেমন করে গাই, কেমন করে বাঁচি, কেমন করে মরি, কেমন করে ভালোবাসি, কেমন করে মুখ ভেংচাই, দাড়ি কাটি, ক্ষুর ধরি ইত্যাকার বিষয়াদি। এখন এর ধরন কী? এর আসলে কোনো ধরন নাই এখন। একবাক্যে গল্প হয়; কাফকার গল্পে এমন উদাহরণ পাই। আবার চাইলে এক শব্দেও গল্প হয়। ধরেন, আপনি লিখলেন, ‘লাল’। এই একটা শব্দের ভিতর যে মাইল মাইল গল্প নিহিত তা প্রলম্বিত করবে পাঠক তার মাথার ভিতর। এই উদাহরণ পৃথিবীর মহান গল্পকারগণ আরো ষাট/সত্তুর বছর আগে দেখিয়ে গেছেন। আপনি পাঠক এইসব আপনি খুঁজে নেবেন। আচ্ছা, আমি একটা গল্প লিখি, আপনারা পড়ে দেখেন,

‘রবিনাথ বললো, কী বেদনা তুমি জানো, ওগো মিতা? আরিফ মনে মনে ভাবে তার দাড়ির সংখ্যা কতো হতে পারে। আরিফের মাথার ভিতর ঘুরছিলো ব্রহ্মাণ্ড। সে কী যেনো বলেছিলো, ...আমি যদি তার হাত ধরে চলে যাই— তোমার কিছু করার আছে? মনে করো সে গড়িয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো, আমার ঠোঁটে চুমু খেলো—তোমার কিছু করার আছে?... শহীদ কাদরী বললো, কালো রাতগুলি বৃষ্টিতে হবে শাদা। আমি চিরদিন বেকার থাকবো এইটা ভাবছো কেনো—চাকরি তো একটা হবেই...। বাল হবে। আমি ইনকাম করি, আমি খরচ করবো। পাশের রুমটা সাবলেট দিয়ে দিই, চলো।

দাদা, আমার জীবনটা এমন হলো কেনো? ক্রমশ একা হয়ে যাচ্ছি। আরিফ কথাগুলি বলে শূন্য চোখে গুরু ফরিদের দিকে তাকিয়ে রইলো।
তোর কবিতা যেমন তরল, তোর ভালোবাসাও মনে হইতেছে তরল...

আরিফ বাসায় ফিরে দেখে সে নেই। অফিসের কাজে সে বোধহয় বাহিরে গেছে—ফিরতে লাগবে তেরোদিন। অতঃপর মনে হলো ডিপফ্রিজে ঢুকলে তার ভালোবাসা তরল থেকে কঠিন হবে। এই ভেবে সে ডিপফ্রিজে আইচক্রিম, চিংড়ি, কয়েকপ্যাকেট গরুর কলিজা এবং মুরগির কাঁচামাংসের পাশে বসে ডালাটা টেনে দিলো। খুট করে শব্দ হলো। সে অবশ্য ভাবে নাই এইটা অটো লক হয়ে যাবে। সে মনে মনে দস্তয়ভস্কির হোয়াইট নাইট গল্পটা ভাবতে ভাবতে জমে শাদা হয়ে গেলো।’

পড়া শেষ? এইবার বলি শোনেন, এই গল্প প্রথাগত কাঠামোতে লেখা নয়। এইখানে পাঠকের জন্যে অনেক ফাঁকা জায়গা রাখা আছে। কবিতায় সাধারণত আমি যে ধরনের স্পেস ব্যবহার করি, এইখানেও অনেকটা সেইরকম। এইটা একটা অণুগল্প। পশ্চিমারা এই ধরনটাকে বলে ফ্লাশ ফিকশান। এটা হঠাৎ করে শুরু হয়, যেনো মাঝখান থেকে। এর শুরু নাই, শেষ নাই।

প্রথাগত কাঠামো হলো সেই আদি-মধ্য-অন্ত নির্মাণ। আর আমাদের রবিনাথ বলেন, ‘ছোটো বালুকার কণা/ ছোটো ছোটো দুঃখকথা...’ তারপর বলেন, ‘শেষ হইয়াও যার হইলো না শেষ’ এই হলো গল্প। এইখানেই গল্পকারের মৃত্যু পাঠকের শুরু। গল্পকার যেখানে শেষ করলেন পাঠক সেখানে তার কল্পনার দ্বার উন্মোচন করবেন। তারপর রোঁলা বার্থ তার ‘ডেথ অব অথর’-এ কী বলেছিলেন আপনার মনে আছে?

আমার নিজের কথাই বলি, আমি লেখালেখির ক্ষেত্রে কাউকে অনুসরণ করি না। করতে চাইও না। তবে নিজের লেখার মধ্যে মহান, অতিশয় ভালো কোনো লেখার প্রচ্ছন্ন প্রভাব থেকেই যায়। এটা এড়ানো সম্ভব না, আবার দরকারও নেই। এটা সবার মধ্যেই ছিলো। এবং থাকবে। তবে নিজের স্বর আবিস্কারের চেষ্টাটা ভয়ানক জরুরি।

যদি ফিওদর দস্তয়ভস্কির ছেলেটি—যার নাম রাস্কলনিকভ—তার যন্ত্রণা ধরতে পারেন তাহলে আপনি যথার্থ পাঠক। ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট সারারাত পড়ে শেষ করে আমার মনে আছে আমি পরদিন সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে রেড়িয়েছি। মনে হয়ে আমিই রাস্কলনিকভ, ভিড়ের মধ্যে গিয়ে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছিলো, আমি খুনি, আমি খুনি...।

লেখক হওয়ার পূর্বশর্ত পাঠক হওয়া। আমাদের প্রধান সমস্যা হলো আমরা পাঠক হওয়ার আগে লেখক হতে চাই। আমরা জানতে চাই না যে আমাদের জন্যে এটা অতিশয় খারাপ। এবং দুর্ভাগ্যের ব্যাপার।

আমরা নিকোলাই গোগোল না পড়েই গল্প লিখতে বসে যাই। অন্তত তার ওভারকোট পড়েন, পড়তে না পারেন খানিকটা পরে দেখেন। শতছিন্ন একটি ওভারকোটের ভিতর থেকে কেমন করে বাহির হয়ে আসে গল্পের নদীদল, তা আপনাকেই জানতে হবে। আমরা দস্তয়ভস্কি না পড়েই লেখক হয়ে যাই। এমন কি আমরা রবিনাথও পুরোপুরি পড়ি না। আমরা পুরাণ-কুরান, দর্শনবিজ্ঞান, ইতিহাস ভাসাভাসা জানি, একলাইন মাইকেল পড়িনি। কিন্তু দুইলাইন ভাবালুতা করে বলি, ইহা কবিতা। লিখতে গেলে আমাদের সাহিত্যের মহান ওল্ডমাস্টার (মাইকেল, বঙ্কিম, রবিনাথ, বিভূতি, মানিক, তারাশঙ্করসহ সবাই)দের সব লেখাই পড়তে হবে—তাও জানি না। কারণ আমাদের ধৈর্যের বড়ই অভাব। সানগ্লাস পরে, দামি কাগজ আর মলাটে চারফর্মা বীর্য ছাপিয়ে লেখক হয়ে যাই। কিংবা দুইপেগ(মদ খাওয়াটাও আমরা ঠিক মতো জানি না) গিলে কোনো মহান লেখক বা কবির সমাধির ওপর পড়ে কান্নাকাটি করে রাত কাটাই। আহ্ একেই বলে লেখক!

একবার অক্তাভিও পাস-এর একটা গল্প পড়ে আমি দীর্ঘদিন ঘোরের ভিতর ছিলাম; গল্পটার ভিতরই যেনো সারাক্ষণ ঘুরে বেড়াতাম, আমি হয়ে গিয়েছিলাম যেনো সেই লোকটি—সমুদ্রের একটা ঢেউ যার পিছু নিয়েছিলো, ঢেউটির জন্য তার জেল হয়, সে জেল থেকে বের হয়ে ঘরে ফিরে দেখে তার ঘর হয়ে আছে সমুদ্র—ঢেউটি তার জন্য প্রতীক্ষা করে আছে।

হাসান আজিজুল হকের অনেক গল্প পড়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমার আলব্যের ক্যামুর কথা মনে হয়েছে। হাসান আধুনিক এবং চমৎকার স্পেসের ব্যবহার জানেন। তারপর আসি শহীদুল জহিরের কাছে। তিনি অনন্য ছিলেন। তিনি গল্পে প্রচুর কথা বলতেন কিন্তু গতির কারণে বাহুল্য মুখ্য হয়ে উঠতো না। তার ভাষা অসাধারণ। যদিও তার ধরন বেরিয়ে এসেছে গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের নিঃসঙ্গতার একশবছর থেকেÑতারপরও সেটা তিনি নিজস্ব করে প্রকাশ করেছেন। এ ধরন অনেকটা মন্দিরের আঙ্গিনায় বসা কথকঠাকুরের মতো, মানে গল্পবলার ধরন। বড় কবি-শিল্পী-লেখকের সৃষ্টির মধ্যে খানিকটা রিপিটেশন থাকেই। যেমন ধরেন, আমাদের জীবনানন্দ দাশ, এস এম সুলতান ইত্যাদি। আর তাছাড়া শহীদুল জহির একটা ধরন ঠিকমতো তৈরির আগেই মারা গেলেন। আমাদের কতিপয় লেখকের মতো দিস্তায় দিস্তায় কাগজ নষ্ট করার বা কয়েক গিগাবাইট ওয়ার্ডফাইল ভরিয়ে ফেলার সময় পাননি। তার সমসাময়িকদের লেখার সঙ্গে তুলনা করলে তাদের দশভাগের একভাগও লিখেননি পৃষ্ঠার পরিমাণের দিক থেকে। তারা অনেকেই শহীদুলকে ব্যর্থ লেখক বলেন। আঙ্গিক নির্মাণের পর অনেক বড় লেখকই সেই আঙ্গিকে স্বাচ্ছন্দ্যে বন্দী থেকেছিলেন এটা বলা বাহুল্য। কিন্তু সেই দোষে শহীদুল জহিরকে যদি ব্যর্থ বলা হয় তবে তার প্রতি কি অবিচার করা হয় না? ডুমোরখেকো মানুষ এ আমরা যে রিপিটেশন দেখি তা কতোটা ডলুনদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্পে প্রলম্বিত। কিংবা ধরেন, জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা আর আবু ইব্রাহিমের মৃত্যু কি এক জিনিশ হলো? একজন লেখককে বাতিল করার আগে তার নিরীক্ষা এবং ধরণ নির্মাণের জন্যে তাকে লেখার যে সময়টা দেয়া দরকার সেই সময় কি শহীদুল জহির পেয়েছেন? তবে তিনি যদি গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের মতো সময় পেতেন তাহলে আমরা পাঠক হিশেবে আরো উৎকর্ষিত হওয়ার সুযোগ পেতাম। সবাই তো আর সকল আঙ্গিকের বাইরে গিয়ে নিকোলাই গোগোল আর দস্তয়ভস্তির মতো ক্লাসিক সৃষ্টির মতো ব্যাপ্ততা নিয়ে লিখতে আসে না।

তারপর বলি আরেকজন গল্পকারের কথা। তার নাম শাহাদুজ্জামান। অনেক অনেক দিন আগে তার একটি গল্প ‘মিথ্যে তুমি দশ পিঁপড়া’ পড়ে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। গল্পটা আসলে এক লেফটেনেন্টের চিঠি। তারপর তার অনেক গল্প পড়েছি ভালো লেগেছে। কিন্তু পরে বিরক্ত হয়েছি, যখন দেখি তিনি গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস আর হোর্হে লুইস বোর্হেস-এর গল্পবলার ধরনকে অনুকরণ করে গল্প লিখছেন।

আর সবচে’ আগে যার কথা বলা দরকার ছিলো তার নাম হুমায়ূন আহমেদ। গল্পের ক্ষেত্রে ইনি শ্রেষ্ঠ এবং ইউনিক। প্রিয় পাঠক, এই নাম শুনে দয়া করে আগে হুমায়ূন আহমেদ-এর লেখা সব গল্প পড়ে আসেন, তারপর নাক ছিটকান। আমাদের দেশে হুমায়ূন আহমেদ এর সঙ্গে তুলনা চলে এমন গল্পকার নাই। বাহিরে আপনি হারুকি মুরাকামির সঙ্গে তুলনা দিতে পারেন। অবশ্য আমার মনে হয় হুমায়ূন মুরাকামির চেয়ে বড় গল্পকার। কেউ সংকলিত করুক বা না করুক হুমায়ূন আহমেদ রবিনাথের পরে বাঙলাসাহিত্যের সবচে’ বড় গল্পকার। এটা শিক্ষিত পাঠক মাত্রই জানেন। অবশ্য কতিপয় আঁতেলেকচুয়াল ঈর্ষাপ্রসূত হুমায়ূন আহমেদকে বর্জন করে থাকেন। তাতে তিনি মুছে যাবেন না।

তারপর আপনি পড়তে পারেন খোকন কায়সারের গল্প। পড়তে পারেন কাজল শাহনেওয়াজের গল্প, পড়তে পারেন সুমন রহমানের গরিবি অমরতা। পড়তে পারেন মানস চৌধুরীর লেখা গল্প। পড়তে পারেন কৃষ্ণ জলেশ্বর, দেলোয়ার হোসেন মঞ্জু, লাবণ্য প্রভা, হাসান মাহবুব, দুপুর মিত্র কিংবা ফজলুল কবিরীর লেখা গল্প। আমাদের আরো অনেক তরুণ গল্পকার আছেন যাদের লেখা গল্প খুবি ভালো। এইসব গল্প খুঁজে বের করার ভার আপনার, কারণ আপনি পাঠক।

আমরা লিখতে গেলেই অন্য অনেক লেখকের নকল হয়ে যায়। ধরা পড়লে বলি, আমিতো তার লেখা কখনোই পড়ি নাই। কিংবা বলি এইটা হইলো, নৈর্ব্যক্তিক অবচেতনের ফল। অনেকে আবার ইংরিজিতে বলি, দাদা, ইহা কালেক্টিভ আনকনসাস। হাহাহাহা...

এইসব বলে হয়তো কিছু সময়ের জন্যে পার পেয়ে যাই। কিন্তু সময় যে কী কঠোর জল্লাদ তা আমরা জানি না। জানি না যে সময় ঠিকই আমাদের গলা কেটে নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলে রেখে যাবে, হয়ে যাবো ইঁদুর আর গন্ধমুষিকের আহার। আহা! তারপরও জীবনানন্দকে নকল করে আমরা সময়কে বুড়ো আঙুল দেখাই, বলি, চমৎকার! ধরা যাক দুয়েকটা ইঁদুর এবার...

আঙ্গিকগত মিল থাকতেই পারে। এইখানে আমি অনুকরণের কথা বলেছি। যেটা বলতে গেলে চুরির পর্যায়ে পড়ে। যেটা আসলে চোখে লাগে। চুরি করে যদি নিজের ধরনের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়া যায় তাহলে শিল্পের সৃষ্টি হয়, এমন চুরি অনেক মহান লেখকই করেছেন। জীবনানন্দ চুরি করেছেন ইয়েটস, অ্যালেন পো প্রমুখ কবির কবিতা থেকে—সেটা তার নিজের কবিতা হয়ে গেছে। রবিনাথ অ্যালেন পোর গল্প থেকে নিয়েছেন। এমন কি তার রক্তকরবী নাটকের প্লট এবং কিছু সংলাপ পর্যন্ত বাইরের একটা রচনা থেকে নেয়া। আবার রবিনাথের ডাকঘর নাটকের মতোই লাগে ল্যুসুনের কাব্য নাটক দ্য পাসার বাই। এটা ল্যুসুন রবিনাথ থেকেই নিয়েছেন। শামসুর রাহমানের অনেক কবিতা ডিলান টমাস থেকে নেয়া। কিন্তু তা তার নিজস্ব হয়ে উঠেছে। চোকা পেরেকের মতো চোখে লাগে না।

এই ব্যাপারটা আগেও ছিলো এখনো আছে। আমি আসলে তাদের কথাই বলেছি যারা চোরাইমালের ব্যবহার জানেন না। চৌকির মাঝখানে যা চোখা পেরেকের মতো হা করে থাকে, শুলেই পিঠে বিঁধে। খুঁজলেই পাবেন, এমন চোর আশেপাশেই আছে। এইসব নিয়ে ইতোমধ্যে কবি সবুজ তাপস লিখেছেন। কবি মুজিব মেহদীও লিখেছেন। আরো অনেকেই লিখছেন। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। কিন্তু সময় এদের ক্ষমা করবে না।

আমরা জানি না যে, অন্যদের থেকে আলাদা হওয়ার জন্যে, নিজস্ব ধরন তৈরি করার জন্যেই পড়তে হবে।

আর দায়-ফায় বাজে এবং বস্তাপচা কথা। এইটুকু জানি ব্যক্তিসত্তা নৈব্যর্ক্তিক সত্তার পূর্বগামী। আমি সত্য হলে জগৎ সত্য, আমি মিথ্যা হলে জগত মিথ্যা। আমি বিন্দু। আমাকে ঘিরেই বৃত্ত, বৃত্তের পরিধি। প্রথমত রাস্তা বানাবো আমি নিজে হাঁটার জন্যে। অপর সেই রাস্তাতেই হাঁটবে পরে। যেহেতু নিজের জন্যে বানাবো, ভালো মতোই বানাবো নিশ্চয়ই।

আমরা মনে করি লেখক হওয়া অনেক সহজ, অনায়াসে হওয়া যায়—যেনো লিখতে পারলেই লেখক। কিন্তু জানি না যে, এ বড় কঠিন কাজ, অনেক সাধনার, অনেক পাঠপরিক্রমার। উদ্ভিদের মতো বীজ থেকে অঙ্কুরোদ্গম, তারপর চারা, ক্রমশ বৃক্ষ এবং বৃক্ষের বয়স। বালিকার স্তন গজানোর মতো—দিনের পর দিন প্রতীক্ষা, অনেক রক্তের স্রোতে সাঁতার, ভয়, আনন্দ, সংকোচের ভিতর বন্ধুর পথে হেঁটে হয়ে উঠা গোপনগোলাপ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নিছক স্বপ্ন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৮



©কাজী ফাতেমা ছবি
তারপর তুমি আমি ঘুম থেকে জেগে উঠব
চোখ খুলে স্মিত হাসি তোমার ঠোঁটে
তুমি ভুলেই যাবে পিছনে ফেলে আসা সব গল্প,
সাদা পথে হেঁটে যাব আমরা কত সভ্যতা পিছনে ফেলে
কত সহজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একদম চুপ. দেশে আওয়ামী উন্নয়ন হচ্ছে তো?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৯



টাকার দাম কমবে যতো ততোই এটিএম বুথে গ্রাহকরা বেশি টাকা তোলার লিমিট পাবে।
এরপর দেখা যাবে দু তিন জন গ্রাহক‍কেই চাহিদা মতো টাকা দিতে গেলে এটিএম খালি। সকলেই লাখ টাকা তুলবে।
তখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×