somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিনবদলের পালা

০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক ছিলো পন্ডিত,সে সবাইকে বুদ্ধি পরামর্শ দেয়। একদিন এক রাজনীতিবিদ তার কাছে এসেছেন। সে বলল"পন্ডিত মশায় আমার নির্বাচন এলাকায় বেশ কিছু তরুন আমার বিরুদ্ধে প্রচারনা করছে,এখন আমি কি করব?" পন্ডিত মশায় জানতে চাইল,তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কি? সে বলল আমার বিরুদ্ধে গত বছরে ক্লাবে কিছু অনুদান ছিলো সেই গুলো একাই খেয়ে ফেলেছি। পন্ডিত একটু চিন্তা করে বলল"তা অবশ্যই অন্যায়।যা হোক আপনি তাদের পাওনা গুলো ফিরে দাও এবং বল ভবিষ্যতে এই রকম কোন ঘটনা ঘটবেনা। তোমাদের জন্য আগামী দিনে ভাল কিছু করব।তোমাদের মতামতের মুল্য সবসময় দিবো।" রাজনিতিবিদ পন্ডিতকে বলল " ঠিক আছে আমি তাই কর!" সে এলাকায় এসে চিন্তা করল আচ্ছা কত টাকা দিতে যেন হবে? দু'হাজার টাকা! আমি যদি একহাজার টাকা পুলিশকে দেয় তাহলে তো আমার আরও এক হাজার টাকা রক্ষা পায়।সালা পন্ডিত কি বুদ্ধি দিল। পুলিশকে দিয়ে ওদের এলাকা ছাড়া করব।তখন আর কেউ আমার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবেনা।সে থানায় গিয়ে ওসি সাহেবকে একহাজার টাকা দিয়ে বলল "আমার নির্বাচন যেন পক্ষে থাকে আর কিছু অবুঝ পোলাপান আছে ওদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।"ওসি মহাখুশিতে টাকাটা পকেটে রাখলেন। ওসি ভাবলেন এক হাজার টাকা হলে আমার অন্তত একদিনের বাজার খরচ হবে।আর কন্সটেবলকে ৫০/- টাকা দিলে ওরা পান বিড়ি খাবে আর একবার গ্রামে ঢুমেরে এলে পোলাপান এলাকা থেকে ভয়ে পালিয়ে যাবে।
পরেরদিন পুর্বপরিকল্পনা মতে পুলিশ সেই অভিযুক্ত গ্রামে গিয়ে পোলাপানদের বকাবকি করল, এবং বলল আমরা এই ঘঠনা জন্য থানা থেকে এসেছি তাই খরচ হিসেব করে বুঝে দিন নয়লে সব ক'টারে হাড্ডি ভেঙ্গে তারেক জিয়ার মত অবস্থা করব। আর আজকের মধ্যে এলাকা থেকে পালিয়ে যাও যদি ক্রসফায়ারে না পড়তে চাও। যুবকরা কোন ভয় পাচ্ছেনা, তারা অভিযোগের কাগজপত্র দেখতে চাইল,কিন্তু পুলিশ তা উপস্থাপন করতে পারলনা,এদের মধ্যে থেকে একজন ডিজিএফ এর লোক ছিলেন ওনি সরাসরি পুলিশ লাইনে ফোন করে এদের ধরিয়ে দেয়,ওসি খুব চালাক ছিলেন ওনি উপর থেকে ফোন পাওয়ার সাথে সাথে নিজেই চাদা বাজির অভিযোগে পুলিশকে গেপ্তার করল।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গল্প-একাকীত্বের অন্ধকার

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:০১





ব্রাজিলের পান্তানাল রেইন ফরেস্টে এর নির্জন জায়গায় পাশাপাশি বসে আছে ম্যারিনা ও মুহিব। পৃথিবীর অন্যতম এই বন রোমাঞ্চপ্রিয় পর্যটকদের কাছে অসম্ভব শিহরন জাগানিয়া। অনেক অনেক মানুষের ভীরে ম্যারিনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে বসবাস করছি

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩

মুক্তিযুদ্ধের কোটা নিয়ে অভিযোগ তোলা উচিত নয়।
তাদের পরিবারকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই।

৬০% নারী কোটা শতকরা ১০০ জনের ভিতরে ৬০ জনের বেশি নারী পাওয়া যাবে। দেশের পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। গত... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাদৃশ্য- বড়ই অদ্ভুত এক বৈশিষ্ট্য!

লিখেছেন আহলান, ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯




সাদৃশ্য- বড়ই অদ্ভুত একটি বৈশিষ্ট্য। আল্লাহর রাসুল ( সাঃ) বলেন কাল কেয়ামতে কোন ব্যাক্তির হাসর নাসর তাদের সাথেই হবে, যাদের সাথে তার সাদৃশ্য থাকবে। অর্থাৎ দুনিয়াতে যারা যাকে যেভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি কল্পকথা

লিখেছেন কালো যাদুকর, ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬

আমি খুঁজে পাবো তোমায়
পুরোনো সব রাস্তায়
এ মন বাধাঁ - যেখানে, যেথায়।

সারাদিন ধরে ঘুরে-
ঐ খেলাঘরে,
ঐ মেলায়,
ঐ পলাশ শিমুল বনে,
ঐ নির্জন গলির কোণে,
ঐ ছোট্ট ড্রইং রুমে,
ঐ জীবন্ত ছবির ফ্রেমে,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

EU বাংলাদেশ, আফ্রিকা ও আরবদের সাহায্য করার চেষ্টা করে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩



EU বাংলাদেশকে বিবিধভাবে সাহায্য করে আসছে স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকে; বিশেষ করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে সচল করার জন্য সহযোগীতা করতে চায়। আমাদের দেশে ও আফ্রিকায় ভালো যা ঘটছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×