খবরটা সমকাল থেকে নেয়া:
আওয়ামী লীগ নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কাছে ভিড়তে শুরু করেছে ছাত্রদলের ক্যাডাররা। গতকাল বুধবার ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একটি শোডাউনে ছাত্রদল ক্যাডার কাওছারসহ কয়েকজন যোগ দেয়। এতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জানান, তারা গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে রুটিন মিছিলের অংশ হিসেবে শোডাউন করেন। এ সময় শোডাউনে ছাত্রদল ক্যাডার কাওছারসহ কয়েকজন অংশ নেন। এতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শোডাউন শেষে তারা দলীয় টেন্টে কাওছারকে ডেকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল বেরুনী ফারুক তাকে ছাত্রলীগ করার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন। তাই তিনি ছাত্রলীগে যোগদানের জন্য শোডাউনে অংশ নেন। এ সময় উত্তেজিত ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে মারতে উদ্যত হন। জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে তাকে সেখান থেকে নিরাপদে বের করে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন মুন বলেন, দলীয় সদস্যপদ না পাওয়া পর্যন্ত ছাত্রলীগের কার্যত্রক্রমে অংশ নেওয়ার কারো কোনো অধিকার নেই। এ ব্যাপারে আল বেরুনী ফারুক সমকালকে জানান, কাওছারকে তিনি চেনেন না।