জন্মদিন জিনিসটা মনে হয় আসলেই মজার। অনেক অনেক মজার স্মৃতি থাকে এই দিনটাকে ঘিরে।ছোটবেলায় অবশ্য এইদিনটা আরও মজার। যত যাই হোক না কেন এই দিনে কোনো শাসন নেই। বাপী মামনির বকা বা মাইর ধারের কাছে নাই।
এখনও এতবড় হবার পরও এই দিনটির জন্য বসে থাকি বন্ধু বান্ধবের উইশ পাবার লোভে।
এবারের জন্মদিনে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হয়েছে জীবনে সবচেয়ে বেশী উইশ পেয়েছি এবং উইশ পেয়েছি তাদের কাছ থেকেই যাদেরকে কখনোই চোখে দেখি নাই এবং তাদের সাথে কখনো দেখা হবে কিনা তাও জানি না।
পুরানো বন্ধু দের মাঝে মাত্র তিন জন মনে রেখেছিল এই অধম কে। সেই তিন জনের ১ম জন ১ম প্রহরেই আমাকে সারপ্রাইজ দিয়েছে। আরেকটা অবাক হইছি ঝড়কন্যার এই পোষ্ট টাতে....
আমার "মিলিয়ন ডলার হাসি" ভাইয়ার জন্মদিন!!!
যেখানে ব্লগাররা আমাকে উইশ করেছেন। সবাইকে আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
হটাৎ করে মনে পড়ল পুরানো এক স্মৃতি। দেশে থাকলে যেখানেই থাকি না কেন আমার জন্মদিনে বিকালে অবশ্যই বাসায় থাকতে হবে। সৌভাগ্য বা দূর্ভাগ্য জনক ভাবে সেইদিন বিকেলে এক বান্ধবীর বাসায় যাবার কথা ছিল।যে কোনো কারনে ( কারন টা আর মনে নাই এতদিন পরে) তার বাসায় না যেয়ে আমার বাসায় চলে আসি। দুই দিন পরে দেখি বাপজান গোমড়া মুখে একটা প্যাকেট এনে দিয়ে বলছে এটা তোমার জন্য এসেছে।
প্যাকেট টা অর্ধেক ছেড়া দেখে একটু খটকা লাগায় বাপের চেহারার দিকে তাকাই।বলল আমাকে প্যাকেট টা ছেড়া থাকায় আমি খুলে দেখেছি। আমি কিছু না বলে প্যাকেট টা আমার ঘরে যেয়ে খুলে দেখি সুনীলের একটাবই এবং ভিতরে একটা কার্ড। কার্ড খুলতেই আমার বুক ধক করে উঠলো.... লেখা আছে " সন্ধ্যে পর্যন্ত তোমার জন্য অপেক্ষা করে ছিলাম ।তুমি এলে না । তাই আমার হৃদয় খানা লাল কাগজে মুড়ায়ে তোমাকে পাঠালাম যত্ন করে রেখ।"
লেখাটা পড়া শেষ না হতেই দরজায় দেখি বাপজান দাড়ায় আছে। ( পরের কাহিনী আর কমু না এখন.... )
আরেকজন ছিল যত যাই হোক না কেন এইদিন আমার বাসায় আসবেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাসায় থাকবে। আমি না থাকলেও মামনির সাথে বসে গল্প করবে। সেও কেমন করে জানি হারায় গেল। মনের কোনে ছোট্ট একটা আশা ছিল হয়তো ছোট্ট একটা এস এম এস পাবো!!!! কিন্তু
যদিও আজকে বেশীরভাগ সময় ঘুমায় কাটাইছি তবুও যতটুকু সময় জেগে ছিলাম ভালো কাটাইছি।
সবাইকে আবারও অনেক অনেক ধইন্যাপাতা আমাকে উইশ করার জন্য। ভালো থেকেন সবাই.....খুব ভালো থেকেন....