বন এ বাংলাস্বাদের মাছ পাওয়া বেশ দায়। এখানে এসে আমি বেশ খুঁজে খুঁজে একটা মাছের দোকান বের করলাম। আমাকে দেখে দোকানী হেসে ভাঙ্গা ইংরেজীতে বললো, মাছ আছে নিতে পারো। ভালো মাছ। গতকালই এসেছে।
:কি মাছ?
পরিস্কার বাংলায় বললো
:কৈ
প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি। দোকান পাটে, পথে ঘাটে বাংলা শুনিনা । না শোনার অনভ্যস্ততার কারণেই আমার এ হাল। আমি আবার তাকে জিজ্ঞাস করি। সে একই উত্তর দেয়। আমি বুঝতে পারি।
গলায় কালো একটি সূতো বাধা ছেলেটির। তাবিজ নাকি। হতেও পারে। আমি তাকে জিজ্ঞাস করি
: এটাকে যে আমরা কৈ মাছ বলি তা তুমি শিখলে কি করে।
: এখানে তোমাদের মতো অনেকে আসে। তারা বলে তাই আমি শিখে নিয়েছি। সোমবার এসো পাবদা মাছ আসবে। এবারও পাবদাটা বাংলায় বললো, তবে একটু অন্য ভাবে। পাবডা।
আমি সোমবার একটু সময় বের করে গিয়েছিলাম। সেখানে সেদিন পেয়ে গেলাম লাউ। একটু বেশী দাম, তবুও নিযে নিলাম। আমার ফোন নম্বর রেখে দিলো ছেলেটি। ওর নাম নিয়া সি। দেশী মাছ এলেই আসে ওর ফোন। আমি যাই...
দুরদেশে থেকে মাঝে মাঝে দেশী মাছ রান্না করি। নিজে এখন অনেক কিছু বাধঁতে পারি। খাই। খাওয়াই।
সবাই বলে আমার হাতে নাকি রান্নাটা বেশ হয়।
আমি হাসি.....
(খেরোখাতার শব্দগুলো হচ্ছে আমার প্রবাস জীবনের ছোট্ট ছোট্ট কাহিনী। এ শিরোনামে মাঝে মাঝেই লিখবো)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:০৯