বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আটক প্রায় ৮০০ বাংলাদেশীকে কুয়েত সরকার দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
বুধবার অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব এম কে মাহমুদ একথা জানান।
এদিকে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েত সরকার শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে ৪০ দিনার করার চিন্তা করছে বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কুনা-র বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে।
অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব এম কে মাহমুদ বলেন, "প্রায় ৮০০ বাংলাদেশীকে আটক করা হয়েছে। কুয়েতের সরকার তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।"
আটককৃত বাংলাদেশীদের দেশে ফেরত না পাঠানো এবং বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার জন্য কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তারা সেদেশের সরকারকে আবেদন জানাবেন বলে তিনি জানান।
সচিব জানান শ্রমিকদের চারদিনের এ ধর্মঘট ও আন্দোলনের সময় পুলিশ ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা আহত হন।
কুয়েতের পুলিশ ভিডিও চিত্র থেকে হামলাকারীদের সনাক্ত করেছে।
কুয়েতের মন্ত্রী বদর আল-দুয়ালার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সামাজিক ও শ্রম বিষয়ক মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের মাসিক বেতন নূন্যতম ৪০ দিনার করার জন্য ক্যাবিনেটে একটি সুপারিশ করবে।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা অভিযোগ করেছে মাসিক ৫০ দিনারের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হলেও অসৎ নিয়োগকারীরা তাদের মাত্র ২০ দিনার বেতন দেয়। এ থেকেও ভিসা ফি-র নামে অর্থ কেটে রেখে মাত্র ৮ দিনার বা ২০০০ টাকা দেওয়া হয়। এ কারণে এবং দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে কুলাতে না পেরে তারা আন্দোলনের পথ বেছে নেয়। কাজের পরিবেশ উন্নত করা তাদের অন্যতম দাবি।
কুয়েত সরকারের সঙ্গে সমঝোতার পর মঙ্গলবার ধর্মঘট প্রত্যাহার করে শ্রমিকরা।