somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুধু জানি অনুভূতিগুলো ছিলো বড় অকপট আন্তরিক.।.২

২৭ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[ ............

জানি না আসলে এটি কি, কোনো কবিতা না নিছক অনুভূতির পঙতিমালা, শুধু জানি অনুভূতিগুলো ছিলো বড় অকপট আন্তরিক, সহজ-সরল আর অন্যরকম অসাধারণ|

লেখা হয়েছিলো সাতানব্বুই এর মাঝামাঝি, এস।এস।সি পরীক্ষার পর নাম্বার হিসাবের পারমুটেশন-কম্বিনেশান যখন
জঘন্যমাত্রায় বিরক্তিকর, ঝিমধরা সময়গুলো কাটতেই চায়না; আবার কিছুদিন ছিলাম বিষণ্ণতার এক শহর ঢাকায় তখন|

কোনো এক কঙ্কাবতীর চোখের মায়ায় লিখেছিলাম, কেন জানি তারে আর মনে পড়ে না অনুযোগে| এখনকার সমীকরণে মনে হয় কোনো ঘাত নেই, অনুরণ নেই , আলোড়ন নেই – কেন জানি কেবলই বয়ে যাওয়া
জীবন| কিছুটা মরা নদীর মতো|

কর্ণফুলীর হলদেটে কাগজে লেখা সেই অনুভূতির পঙতিমালাগুলো হঠাৎ করে কুড়িয়ে পেয়ে ব্লগের দ্বিমিক পাতায় তুলে দিলাম| কোনো কোনো লাইন পড়ে খুব হাস্যকর কাঁচা অনুভূতি মনে হতে পারে, কিন্তু তাই তো ছিলাম | না?
তাই পুরোপরি সেইরকমই তুলে দিলাম|



............ ]


এটি দ্বিতীয় অংশ , প্রথম অংশ প্রথম অংশ





১.৬

মাত্র সপ্তাখানিক শিশির, এক তীব্র বৃষ্টিমুখর দিনে কঠিন এক যুদ্ধে সন্তোষের হাসি হেসে আমরা সবাই,কলেজিয়েটের অডিটোরিয়ামে আর বাইরে তুমি দাঁড়িয়ে ভিজছো জলে; সমস্ত শ্লেষ আর বিদ্রুপ উপেক্ষা করে তোমার আহবান – কী সহজ সরল, আর আমার ফেলে দেওয়া কাগজপত্র| সাধারণ স্বাভাবিক কিংবা উদ্দেশ্যমূলক ,
কেইবা বলতে পারে সঠিক| চৈত্রের অকাল বৃষ্টিতে সিক্ত আমি আর তুমি আর তোমার চুল থেকে ঝরে পড়া মুক্তোকণায় ফেনিয়ে ফেনিয়ে দুজনের অর্থদ্ব্যোতক অর্থহীন পংতিমালা বয়ে |
পচাঁশি একশোর প্রাপ্য ফলাফলের মাত্রাগুননে ব্যস্ত আমি আড়চোখে দেখি লাজুক আর অবনতা তোমাকে , আমার আম্মা এক অনবদ্য জননীর স্বাভাবিক কন্ঠে মিইয়ে যাওয়া তুমি; ভাবতে কি পেরেছিলাম এ লতা হেলে পড়া বাশেঁর মতো ন্সোজা হয়ে তীব্র আঘাতে ভাঙতে পারে তীব্র ব্যঞ্জনায়|


১.৭

শিশির , তবুও কি তুমি ফুটেছিলে আমার কাছে নাকি আধফোটা জাইলোজিনিয়ার শেষাংশ যেন বিস্ময়াপ্লুত অপেক্ষা শিহরণের , গোলাপ বলবো না কারণ সেটাতো এখন সাধারণ গণ আর রক্ত ঝরায়, সেতো শিশির নয়, শিশির মানে স্নিগ্ধ আর কোমল শরতের প্রথম কাশফুল শিমুলের ঊড়ে যাওয়া ।
ক্লান্ত ফিনিক্সের অসমাপ্ত সমাপ্তি দিয়ে , মৃদু পায়ে এলে, দাঁড়ালে কালো স্ট্রাইপের উপর গোলাপী শার্টে অদ্ভুত অনন্ত অনিন্দ্য এবং কোমলতা নিয়ে নরোম চোখে নিঃশ্বাসে দাঁড়িয়ে তুমি দাঁড়িয়ে আমি জানালায়, যেনো সে জানালা অপার , যেনো প্রাচীন টেরাকোটার শিলালিপি দেখছে মুগ্ধ মানুষ অপার বিস্ময়ে|

১.৮

আমি সেরাতে অনেক জ়েগেছিলাম শিশির , শুক্লপক্ষের চাঁদ ছিলনা আকাশে কিংবা ফিনকি ছোটা জোছনা – অন্ধকারে ক্লান্ত আমি যন্ত্রের মতো করে যাই কাজ মেলাই হিসেব মেলেনা হিসেব|
কলেজিয়েট| সেতো মিলনমেলা এক এপ্রিলের ত্রিশে| অডিটোরিয়াম গ্যালারি লাল বিল্ডিংটা ল্যাবের করিডোর মাঠের পশ্চিমে শাদা কালো সবুজ শাদা লাল শাদা ইউনিফর্ম আর প্রদীপ্ত বিষণ্ণ স্বাভাবিক হাসিমুখ চুপচাপ সব মুখের ভীড়ে কোথায় খুঁজিনি আমি তোমায়, ব্যস্ত সময়সূচীকে পেছনে ফেলে|

১.৯

আমার চোখ ছিলো এক অস্থির আকাশ , ভোকাট্টা ঘুড়ির মতো এদিক ওদিক| কাটা সূতো ঘুরে কলেজিয়েটের করিডরে ইউক্যালিপটাসগুলোর ঝটপটানো নিয়ে যায় এলিয়ে পড়া বিকেলে, গ্যালারিতে বসে থাকি নোনাধরা দেয়াল দেখে দেখে|

যখন বুড়িগঙা বয়ে যায় , কর্ণফুলী ও পড়ে সাগরে , প্রতিটি সেকেন্ড মিলে মিনিট হয় , পদে পদে দিনও বয়|
শিশির , তারপর দিন গেছে রাত গেছে বাতাস ছুঁয়ে গেছে পরীর পাহাড়ে আইস ফ্যাক্টরি রোডে বয়ে গেছে সময়
একইরকম বা পুনঃ পুনঃ পার্থক্যে| শেষবার কি এসেছিলে তুমি তীব্র গরমে হতচকিত, ধোঁয়াটে ফ্যাকাশে আলোয়
বরাবরের অগোছালো আমি, বরাবরের মতোই বিব্রত|

১.১০

আকাঙ্খার তীব্রতা এবং গভীরতা আমাদের কতটুকু আসলে , ইচ্ছা ও স্বপ্ন,প্রত্যাশা এবং বাস্তবে?
শিশির , আমরা প্রত্যাশা করি বিচার্য না দিয়ে এবং স্বপ্ন দেখি অবাস্তবভাবে| অবাস্তবতা ও বাস্তবতা
স্বপ্ন ও স্বপ্নভংগ আশা ও হতাশা সব মিলিয়েই এই ধূসর সোনালী মায়াবী খাঁচায় নাচি আমরা|



......... ১.১১ হতে ১.১৫ ......
( বিষাদের গল্প না হয় বাদই থাক )


১.১৬

... রোদে খাঁক হয়ে যাওয়া নিউমার্কেটের দিকের রাস্তায় নির্ণিমেষ তাকিয়ে থাকা আমি দেখছি তোমায় নিয়ন জ্বলা রাতে, কলেজিয়েটের ফুটপাথে হেঁটে আসা প্রলম্বিত ছায়া ধরে ধরে......।


০৫-জুন-১৯৯৭ এ শেষ|
আইস ফ্যাক্টরি রোড,চট্টগ্রাম ও পর্বতা সেনপাড়া,মিরপুর।
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেট্রোরেল পেয়েছি অথচ হলি আর্টিজানে নিহত জাপানিজদের ভুলে গেছি

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১১

জাপানে লেখাপড়া করেছেন এমন একজনের কাছে গল্পটা শোনা৷ তিনি জাপানে মাস্টার্স করেছিলেন৷ এ কারণে তার অনেক জাপানিজ বন্ধু-বান্ধব জুটে যায়৷ জাপান থেকে চলে আসার পরেও জাপানি বন্ধুদের সাথে তার যোগাযোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুদ্ধে নিহত মনোজ দা’র বাবা

লিখেছেন প্রামানিক, ২৫ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৭১ সালের এপ্রিলের ছব্বিশ তারিখ। দেশে তখন ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। উচ্চ শিক্ষিত এবং কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের নিয়েই বেশি সমস্যা। তাদেরকে খুঁজে খুঁজে ধরে নিয়ে হত্যা করছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিয়ে থেতে ভাল্লাগে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৫ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯

আমার বিয়ে বাড়ির খাবার খেতে ভালো লাগে। আমাকে কেউ বিয়ের দাওয়াত দিলে আমার খুসি লাগে। বিয়ের দিন আমি সেজে গুজে বিয়ে বাড়িতে আয়োজন করা খাবার থেতে যাই। আমাদের এলাকায় বর্তমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুর সামনের পাতার ৯টি পোষ্টে শুন্য (০ ) মন্তব্য।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৫ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০



আজকে সকালে একটু দেরীতে ( নিউইয়র্ক সময়, সকাল ৮:২১ ) সামুতে লগিন করলাম; লগিন করে আজকাল প্রথমে নিজের লগিন স্ট্যাটাস পরীক্ষা করি: এখনো সেমিব্যানে আছি। মোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহর সাহায্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪০



দুই মেয়ের পরীক্ষা বিধায় আমার স্ত্রীকে লক্ষ্মীপুর রেখে আসতে গিয়েছিলাম। বরিশাল-মজুচৌধুরীর হাট রুটে আমার স্ত্রী যাবে না বলে বেঁকে বসলো। বাধ্য হয়ে চাঁদপুর রুটে যাত্রা ঠিক করলাম। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×