কর্মসূচি বা আন্দলনের চিত্র যাই হোক, এই একটি দলের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই, থাকতে পারেনা।
যারা আজকে রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামির বিক্ষোভ মিছিলের খোঁড়া উদাহরণ দিয়ে জামায়াতকে সাধু বোলার অপচেষ্টা করছিল, তাদের পরিচয় আমরা সবাই জানি। ঠিক যেমন জানি জামায়াত শিবিরের আসল চেহারা, সেই একাত্তুর থেকেই দলটি বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন নামে অরাজকতা ও নাশকতা করেছে অ করে চলেছে। তাদেরকে একটি পুরদস্তুর জঙ্গি দল ও চরমপন্থি হিসেবে উল্লেখ করে নিষিদ্ধ করা মোটেই ভুল হবেনা বরং এমন না করাই দেশের জন্যে অমঙ্গলজনক পরিস্থিতি বয়ে নিয়ে আসবে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। এমন দলের ছত্রছায়াতেই পূর্ববর্তী বিএনপির শাসনামলে বাংলা ভাই, সায়খ আব্দুর রহমান, হুজি সহ আরও নানা ধর্মভিত্তিক জঙ্গি দলের উত্থান ঘটে, আমরা দেখেইছি দেশ ঠিক কতটা সংকটের ভেতরে পড়ে গিয়েছিল বিএনপির যুদ্ধপরাধি প্রীতির ফলে। আর না, এদের প্রতিরোধ করে ও ধ্বংস করে দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে সাম্প্রদায়িকতাহীন একটি সোনার বাংলাদেশের পথে। সাম্প্রদায়িকতা কোনোদিনও একটি জাতিকে "একত্র" হতে দেয়না, সাম্প্রতিক ইতিহাসে আম্রা দেখেছি সাম্প্রদায়িকতার হাতে যে দেশ পড়েছে, হয় আমেরিকা নয়তো নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করে দিয়েছে! ইরানও সেই পথেই হাঁটছে, আমাদের সময় হল, সচেতন হবার! প্রতিরোধ করবার!!!!!
এই দেশে জামায়াত শিবিরর রাজনীতি চলতে পারেনা, তাহলে বাংলাদেশকে স্বাধীন বলা বন্ধ করতে হবে!!!!!!! কারন ওরাই সাম্প্রদায়িকতার সেই শৃঙ্খল, সেই ধর্ম ব্যাবসায়ির দল যারা কোনোদিন এই দেশের মুক্তি চায়নি, চায়নি এই দেশের ভাল!
কোন মানবতা প্রযোজ্য নয় এদের তরে, এরা কিছু ব্রেইন ওয়াশড ধর্মন্ধ ছাড়া আর কিছুই নয়। ক্ষমতার লোভে ও তথাকথিত ধর্মের আরালে যারা ভাল খারাপের পার্থক্য করতে ভুলে গেছে, রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাদেরকে সঠিক পথে নিয়ে আসা।
নেশাগ্রস্ত কিছু লুন্যাটিক যাদেরকে খুব ভালভাবে ধর্মের পুড়িয়া দিয়া করা হয়েছে আচ্ছন্ন, কিন্তু আদতে করছে তারা ক্ষমতার তাবেদারি! যেকোনো মুল্যে তাদেরকে হটিয়ে দিতেই হবে।
সহিংস জামায়াত শিবিরঃ খবর-
শনিবার সকাল থেকে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর হয়েছে, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে, চলছে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াও।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল এবং আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবারের হরতালে তিনজন নিহতের প্রতিবাদে জেলাব্যাপী এই হরতাল ডাকা হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের শিলিংপুর এলাকায় পুলিশের একটি পিকআপভ্যান লক্ষ্য করে হাতবোমা ছোড়ে পিকেটাররা।
সদর থানা ওসি সৈয়দ শহীদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হরতাল সমর্থনকারীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে হাতবোমার পাশাপাশি ইট ছুড়েছে।
বগুড়া-নওগাঁ সড়কের এরুলিয়া নামক স্থানে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা।
নাশকতা এড়াতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানান ওসি। এক শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া শেরপুর উপজেলার শিরুয়া বটতলায় পাঁচটি গাড়ি ভাংচুর করা হয় বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান।
হরতালে দূরপাল্লার কোনো বাস চলছে না। কিছু রিকশা ছাড়া শহরে যানবাহনও চলছে না।
বিভিন্ন বেসরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও যানবাহনের অভাব মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।
__________________________________________________
জামায়াত শিবির বাংলা ছাড়, নয়তো পৃথিবী ছাড়তে হইতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩