somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

হাসির গল্প

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১/ এক মহিলা জৈনিক বুযুর্গের নিকট এসে বললো! হযরত আমাকে এমন একটি তাবিজ দিন, যা ব্যবহার করলে আমার স্বামী আমার প্রতি নম্র-কোমল হয়ে যাবে। উক্ত বুযুর্গ কিছু পানি নিয়ে তাতে কোন কিছু না পড়ে তাকে দিয়ে দিলেন এবং বললেন, এ পানি বোতলে রেখে দিবে। যখন তোমার স্বামী ঘরে আসবে, তখন এ পানি হতে সামান্য কিছু মুখে নিয়ে বসে থাকবে এবং সে ঘর থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত পানি মুখেই রাখবে। ফলে তোমার স্বামী পানির মতো হয়ে যাবে।
মহিলা তাই করলো। স্বামী যখন ঘরে আসতো, সে বোতলের মুখ খূলে কিছু পানি মুখে নিয়ে বসে থাকতো, ফলে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই স্বামী তার প্রতি অত্যন্ত নম্র-কোমল হয়ে গেলো।
তখন মহিলাটি কিছু নযরানা নিয়ে উক্ত বুযুর্গের কাছে গিয়ে বললো, হযরত! আমার স্বামী এখন আর আমাকে কঠিন কোন কথা বলে না। আমার প্রতি অত্যন্ত নম্র-কোমল ও সদয় হয়ে গেছে।
বুযুর্গ তখন মুচকী হেসে বললেন, সেটা তো একটা কৌশল ছিল। ঝাড়-ফুক বলতে কিছুই ছিল না। তোমার আচরণ থেকে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, তুমি তোমার স্বামীর প্রতি রুক্ষ ভাষা প্রয়োগ করতে। ফলে সেও তোমার উপর কঠোরতা করতো। তাই আমি তোমার মুখ বন্ধ করার জন্য এ কৌশল গ্রহন করেছিলাম। যাও, এখন থেকে আর স্বামীর সাথে রুক্ষ ভাষায় কথা বলবে না। আর তোমার এ টাকা ও মিষ্টি আমি গ্রহন করলাম না। তা তুমি নিয়ে যাও।”

বাস্তবিকই মানুষের মুখের ভাষা বড় বিপদ জনক। মুখের ভাষার কারনেই অনেক বিপত্তি ঘটে।

২/ এক লোক মরুভূমিতে হারিয়ে গেছে। পথ চলতে চলতে ক্লান্ত, হঠাৎ খুঁজে পেলো এক চেরাগ। তুলে ঘষা দিতেই বেরিয়ে এলো দৈত্য। যে কোন হুকুম তামিল করবে সে। লোকটা বললো, আমি বাড়ি ফিরে যেতে চাই। দৈত্য বললো, তথাস্তু, আমার পিছু পিছু আসুন। এই বলে বালির ওপর হাঁটা ধরলো সে। কিছুদূর হেঁটে চটেমটে লোকটা বললো, আমি আরো জলদি জলদি বাড়ি ফিরতে চাই। দৈত্য বালির ওপর দৌড় শুরু করে বললো, তথাস্তু, আমার পিছু পিছু দৌড়ান।

যাঁরা এই গল্প পড়ে হাসলেন, তাদের এবার জিজ্ঞেস করি, কেন হাসলেন? কোন জায়গায় এসে হাসলেন? যাঁরা হাসেননি, তাঁদেরও বলি, কেন হাসলেন না?

৩/ ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়েছে এই গাধাটি। কাঁচের নিচে দিয়ে কাউন্টারের মেয়েটিকে একটি চিরকুটে লেখা নোট আর একটা কাগজের ঠোঙ্গা পাঠালো সে। তাতে লেখা আছে,‘আমার পকেটে পিস্তল আছে। চুপচাপ দশ মিলিয়ন ডলার এই কাগজের ঠোঙ্গার মধ্যে পুরে আমাকে দাও। অন্যথায় তোমার কপালে দুঃখ আছে।‘ মেয়েটি বুদ্ধিমতী, গাধা চিনতে তার ভুল হয়নি। সে মুচকি হেসে জবাব দিল,‘তোমার কি মাথা খারাপ? আমাদের এই ছোট্ট শাখাতে এত টাকা থাকে কখনো? তবে দুশ্চিন্তা করোনা, আমাদের কাষ্টমার সার্ভিস ভয়ানক ভালো। আমি আমাদের হেড অফিসে এক্ষুনি ফোন করে দিচ্ছি, এবং তারা ঘন্টাখানেকের মধ্যেই টাকা নিয়ে এখানে চলে আসবে। আর তোমার দেওয়া ছোট্ট এই কাগজের ঠোঙ্গাতেও এত টাকা ধরবে না। হেড অফিসের লোকেরা একটা বড়সড় ব্যাগও সাথে নিয়ে আসবে। ওরা না আসা পর্যন্ত তুমি খামাখা এখানে কষ্ট করে দাঁড়িয়ে থাকবে কেন? বরঞ্চ তুমি আমাদের ম্যানেজারের অফিসে বসে আরাম করো, সে আজকে ছুটিতে আছে। টাকা এলেই আমি তোমাকে খবর দেব।‘ মহা বুদ্ধিমান ব্যাংক ডাকাতটি সে হাসি এবং আশ্বাসবাণীতে গলে গিয়ে ম্যানেজারের অফিসে ঢুকে পড়লো। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইনস্টাইন বাবাজী এখনো জেলে বসে ভাবছেন যে তার প্ল্যানের খুঁতটা কোথায় ছিল।

৪/ ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাস। সারাদেশ জুড়ে যুদ্ধ চলছে। ক্রমশই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। মুক্তিযোদ্ধারা বিপুল বিক্রমে একের পর এক ঘাঁটি দখল করে নিচ্ছে।
পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর একটা গ্রুপ ঘাঁটি গেড়েছে এক গ্রামের স্কুল মাঠে।
একদিন মুক্তিযোদ্ধারা সেই ঘাঁটি আক্রমন করলো। দুই দল মুখোমুখি! মুক্তিযোদ্ধারা গাছের আড়ালে, ঝোঁপের ভেতর থেকে গুলি করছে! পাকিস্তানী মিলিটারীরা বালির বস্তার আড়াল থেকে গুলি করছে। মুখোমুখি অবস্থা!
হঠাৎ মুক্তিবাহিনীর একজন যোদ্ধা চেঁচিয়ে উঠলো, “জাফরি, কাঁহা হো তুম?”
বালির বস্তার আড়াল থেকে জাফরি উঠে দাড়িয়ে বললো, “কেয়া হুয়া?” সাথে সাথেই মুক্তিবাহিনীর ভেতর থেকে একজন গুলি করে তাকে ফেলে দিলো!
একটু পরে মুক্তিবাহিনীর আরেকজন যোদ্ধা ডাক দিলো, “হাশমি, তুম কিধার হ্যায়?”
বালির বস্তার আড়াল থেকে হাশমি উঠে দাড়িয়ে বললো, “কেয়া হুয়া?” সাথে সাথে মুক্তিবাহিনীর ভেতর থেকে কেউ একজন মেশিনগান দিয়ে হাশমিকে ঝাঁঝরা করে দিল।
দুজন সৈন্য হারিয়ে পাকিস্তানীদের কিঞ্চিৎ বুদ্ধি বাড়লো। তাদের ভেতর থেকে একজন চিৎকার করে বললো, “জাব্বার, তুম কাঁহা হো?”
মুক্তিযোদ্ধাদের ভেতর থেকে একজন বললো, “জাব্বার ঘার চালা গায়া। কেয়া তুম খালিলি হ্যায়?”
খালিলি উঠে দাড়াবার সাথে সাথেই একজন মেশিনগান দিয়ে তাকে ফুটো করে দিল।
১১টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রফেসদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×